v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-01 19:44:17    
ইরানের পরমাণু সমস্যা কোন দিকে চলবে?

cri
    জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৬৯৬ নং প্রস্তাবে ইরানকে ৩১ আগস্টের আগে ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধকরণ মুলতবী রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল ।বলা হয়েছিল নইলে ইরান শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে । আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাসচিব আল বারাদেই ৩১ আগস্ট এই সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাখিল করা একটি রিপোর্টে বলেছেন , ইরান নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী চূড়ান্ত সময়সীমার আগে ইউরোনিয়ামের সমৃদ্ধকরন বন্ধ করে নি । ফলে ইরানের পরমাণু সমস্যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরেকবার মনোযোগ আকর্ষণ করছে ।

    সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্ররাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইরানের ওপর শাস্তি আরোপের বিষয়ে আলোচনা করেছে । মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রসচিব বানর্স্ বলেছেন , যদি ইরান ৩১ আগস্টের আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলতে অস্বীকার করে এবং ইরান অব্যাহতভাবে ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধকরণ চালাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা প্রমাণ করতে পারে , তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে ইরানের ওপর শাস্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা নেবে ।

    মার্কিন 'নিউইর্য়ক টাইমস্' পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে , যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্ত্য দেশগুলো ইরানের ওপর শাস্তি আরোপ বিষয়ক একটি কার্যক্রম প্রণয়ন করছে এবং তা সম্ভবতঃ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে অর্পণ করবে । যাতে ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক শাস্তি প্রয়োগ করা যায় । শাস্তিমূলক ব্যবস্থাদি কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যাবে । এক, ইরানের পরমাণু সরঞ্জাম ও উপকরণের আমদানি সীমিত রাখা হবে; দুই, পরমাণু প্রকল্পগুলোতে নিয়োজিত ইরানী কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমাবদ্ধ ও বিদেশে ইরানের সম্পদ ফ্রিজ করা হবে এবং তিন, ইরানের বেসামরিক ফ্লাইটের সংখ্যা ও ইরানের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ঋণদানের পরিমাণ সীমিত রাখা হবে ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন যে , ইরান শাস্তির শিকার হতে চায় না । কিন্তু ইরান সম্ভবতঃ ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধকরণের ব্যাপারে তার কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারছে না । তবে ইরানের পরমাণু সমস্যায় আপোস করার সম্ভাবনা এখনো বিদ্যমান ।

    প্রথমতঃ যদিও ইরানের দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর , কিন্তু তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সম্ভাবনা এখনো রয়েছে । ইরানের পরমাণু সমস্যা বিষয়ক বৈঠকের প্রধান কর্মকর্তা লারিজানি আগস্ট মাসের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া , চীন , ব্রিটেন , ফ্রান্স ও জার্মানীর কাছে পাঠানো একটি লিখিত জবাবে বলেছেন , ইরান ছ'টি দেশের সঙ্গে একাগ্রচিত্তে বৈঠক করতে চায় । গ্রীস সফররত ইরানের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কমিটির একজন উচ্চ পদরস্থ কর্মকর্তা ৩১ আগস্ট বলেছেন , ইরান যে কোনো একটি স্থানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমস্যা নিয়ে বৈঠক করার প্রস্তুতি নিচ্ছে । তিনি বলেছেন , প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে সঙ্গে ইরান সহযোগিতা বাছাই করবে । একই দিন জাপান সফররত ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীও অনুরুপ মতামত প্রকাশ করেছেন ।

    দ্বিতীয়তঃ বিশ্ব সম্প্রদায় পরমাণু বিষয়ে ইরানের আপস-মীমাংসা ত্বরান্বিত করার অপেক্ষায় রয়েছে । আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিষ্পত্তির সম্ভাবনা থাকায় ই ইউসহ বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের প্রচেষ্টা আনায়াসে পরিত্যাগ করতে পারবে না ।

    তৃতীয়তঃ ইরানের পরমাণু বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের আলোচনার অবকাশ ও সময় এখনো আছে । জাতিসংঘের ১৬৯৬ নং প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে , ইরান সাময়িকভাবে ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধকরণ বন্ধ অস্বীকার করলেও ইরানের ওপর জাতিসংঘের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখনই অবিলম্বে নেয়া যাবে না । নিরাপত্তা পরিষদে আরো আলোচনা করতে হবে ।

    উল্লেখযোগ্য যে , শাস্তি প্রয়োগ করতে হলে ইরান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর স্বার্থও ক্ষুন্ন হবে ।