v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-01 15:54:38    
ইঞ্জিনিয়ার এফ আর সিদ্দিকীর সাক্ষাত্কার

cri

 প্রশ্নঃ এবারের সফরের উদ্দেশ্য কি?

 উঃ এবার বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক , অর্থনৈতিক ও গণ সংযোগ কেন্দ্রের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনের বৈদেশিক গণ মৈত্রী সমিতির আমন্ত্রণে আমরা চীন সফর করছি। এবারের সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেক্টরওয়াইজ আমাদের মধ্যে যাতে আদানপ্রদান হয়। যেমন, এবার আমরা আলাপ করলাম যে, চীনের যে বিচার ব্যবস্থা সেটা হচ্ছে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে পরাধিন বিচার ব্যবস্থা। ব্রিটিশের দু'শো বছরের গোলামীর বিচার ব্যবস্থা। আজকে বাংলাদেশে যে জেএমবি'র উত্থান হয়েছে , সেটা এই উপনিবেশিক বিচার ব্যবস্থার কারণেই। কাজেই চীনের এই বিচার ব্যবস্থার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার আজ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সেজন্য আমি চীনা গণ মৈত্রী সমিতির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াংয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি , যাতে আমাদের একটি বিষয়সংস্কার বিষয়ক প্রতিনিধি দল চীন সফরে আসতে পারেন। একই ভাবে চীনা বিচার প্রতিনিধি দল যাতে বাংলাদেশ সফর করতে পারে। পারস্পরিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে যাতে আমাদের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করা যায়। এটি হল একদিক। অপর দিকে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছে। তারা আমাদের তেল গ্যাস নিয়ে যেতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আমরা চীন সরকারের সমর্থন প্রত্যাশা করি।

 প্রশ্নঃ পেইচিং ছাড়া আর কোন কোন শহরে যাবেন?

 উঃ আমরা যাব শিয়ান, চানছি ও ছিনতাও।

 প্রশ্নঃ বেশ কয়েকটি জায়গা। আপনি তো আগেও গিয়েছেন।

 উঃ আগে আমি চানছি যাই নি। অন্যান্য জায়গায় গিয়েছি।

 প্রশ্নঃ প্রায় প্রতি বছর আপনি চীনে আসেন?

 উঃ প্রতিবছর কমপক্ষে দশবার আমি চীনে আসি। কারণ আমি বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট। প্রতিবছর দু'বার ক্যাম্টন ফেয়ার হয়। সেখানে আমি ৫০/৬০ জন ব্যবসায়ী নিয়ে অংশ নেই। এদিকে কুনমিংয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার হয়। সাংহাইতে হয়। পেইচিংয়ে আমাকে আসতে হয়। এসব ফেয়ার আমাকে আসতে হয়।

 প্রশ্নঃ মাত্র ক্যান্টন ফেয়ার শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। এবার কেমন হয়েছে?

 উঃ এবার নতুন বৈচিত্র দেখলাম। এবার বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ হয়েছে। এখন শুধু চায়নার পণ্য প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু বিদেশী পণ্যও যাতে প্রদর্শিত হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে। তাহলে বিদেশে আসলে অন্যান্য দেশের পণ্যের সঙ্গে চাইনিজ পণ্যের তুলনা করতে পারবে। ফেয়ারে সবাই অংশ নেয় মূলত তুলনা করার জন্যই। যেমন কুনমিং ফেয়ার আমার খুব ভাল লেগেছে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এবং চীনের বিভিন্ন প্রদেশের পণ্য এখানে ছিল। এতে পণ্যের তুলনা করা সহজ হয়েছে। আগামী মেলায় নিটিং ২০টি, তৈরী পোষাক, সবজির স্টল নিবে বাংলাদেশ।

 প্রশ্নঃ আপনার ঐ প্রতিনিধি দল যারা কুনমিং ফেয়ারে আসবেন , তারা কি চুক্তি করবেন বলে আশা করছেন?

 উঃ কুনমিং ফেয়ারে অংশ নিতে চুক্তি করতে হয় না। এটা বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করলে তিনি মেলায় অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

 প্রশ্নঃ আমি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে চাই। আপনি চীনা ভাষা শিখেছেন। চীনা বন্ধুদের সঙ্গে মৈত্রী করে এত বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। আপনি কখনো ভেবেছেন যদি চীনা ভাষা না শিখতেন , তবে আপনার জীবন কেমন হতো?

 উঃ চীন মানেই চীনা ভাষা। চীনা ভাষা শেখা ছাড়া চীনের সংস্কৃতি, অর্থনীতি কিছুই বোঝার উপায় নেই। সে জন্য আমি চীনা ভাষা শিখে নিজেকে ধন্য মনে করি। কারণ চীনা ভাষা এখন বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ লোকের ভাষা। এবং চীন এখন ইকোনোমিক সুপার পাওয়ার। তাছাড়া চীনের পণ্যের সঙ্গে জাপান, আমেরিকা, জার্মানীর পণ্য টিকে থাকতে পারছে না। ফলে চীনের প্রযুক্তি আমাদের শিখতে হবে। এজন্য চীনা ভাষা শেখাও দরকার। বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ এখন চীনা ভাষা শিখছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চীনা ভাষা শিক্ষাচ্ছে। আমি নিজেও ভাষা সেন্টার চালাই। এ ছাড়া নর্থসাউথ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি চীনা ভাষা শেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

 প্রশ্নঃ আপনার চীনা ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র কেমন চলছে?

 উঃ এটা ভালই চলছে। ছাত্র এক সময় একেক রকম থাকে। আমি আসলে শর্ট কোর্স করাই ব্যবসায়ীদের জন্য।

 প্রশ্নঃ শিক্ষকতা আর কে করেন?

 উঃ আমি নিজেও পড়াই। গনি আছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখেছেন, চীনেও শিখেছেন। আরেকজন আছেন মান্নান।

 প্রশ্নঃ আমাদের চীন সরকার চীনা ভাষা শিক্ষা কার্যালয় আমাদের সি আর আইয়ের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন দেশে চীনা ভাষা শিক্ষার সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশেও দুটি সেন্টার খুলতে চায়। এক্ষেত্রে আপনার ও আমাদের প্রতিষ্ঠান কি পারস্পরিক সহযোগিতা করতে পারবে?

 উঃ হ্যা, আমরা পারি। কারণ আমরা যে চীনা ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র চালু করেছি তা সরকারী অনুমতি নিয়েই। তত্কালীণ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ এটার উদ্বোধন করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত তত্কালীন চীনা রাষ্ট্রদূত মি. চ্যাংও উপস্থিত ছিলেন। আমাদের প্রতিষ্ঠান উভয় সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান। কোন ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয়।

 প্রশ্নঃ আপনিতো চীনা ভাষা শিখেছেন এবং চীনাদের সঙ্গে আপনার একটা মৈত্রী হয়েছে। এতে আপনি কতটা লাভবান হয়েছেন?

 উঃ আমার ব্যক্তিগত লাভ কতটুকু হয়েছে তা বড় কথা নয়। তবে দু'দেশের মধ্যে শিক্ষা , অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক আদান প্রদান আমি অনেক কাজ করেছি।

 প্রশ্নঃ চীনা ভাষা শিক্ষা নিয়ে আপনি শিক্ষার্থীদের কিছু পরামর্শ দিতে পারবেন?

 উঃ চীনা ভাষাতো বাংলাদেশের জনগণের শেখা খুবই জরুরী। কারণ চীন ছাড়া বাংলাদেশ অচল। ভারতের চেয়ে বেশি চীনা পণ্য এখন বাংলাদেশে যায়। চাইনিজ বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে আসেন। চীনা ভাষা জানা প্রচুর লোকের প্রয়োজন হবে। আমি নিজেও অনেকে কাজ দিয়েছি। চীনা ভাষা শেখা থাকলে বাংলাদেশে ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পাওয়া কোন বিষয় নয়।

 প্রশ্নঃ আমাদের বেতারের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের একটা বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

 উঃ আমাদের শিক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা, ১৭৫/৬, মহাখালী, ঢাকা-১২১২, মহাখালী তিতুমীর কলেজের বিপরীতে। ফোনঃ ৯৮৯৮৬৩২।

 প্রশ্নঃ ফি কেমন?

 উঃ আমরা ব্যবসায়ীদের জন্য তিন মাসের শর্ট কোর্স করি। ফি মাত্র ৩ হাজার টাকা।

 সংবাদদাতাঃ আমি আশা করি আপনার মাধ্যমে আমাদের শ্রোতারা উপকার পাবেন।