v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-29 16:34:37    
২০০৬ ভারতীয় চলচিত্র দিবস চীনে শুরু হয়েছে

cri
     চলতি বছর হল চীন-ভারত মৈত্রী বছর , চলতি বছরও চীন-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৬ বার্ষিকী । উদযাপন অনুষ্ঠানের একটি অংশ হিসেবে ভারতীয় চলচিত্র দিবস ২৫ আগস্ট পেইচিংয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে ।

    চীনের জাতীয় প্রচার , চলচ্চিত্র ও টি ভি ব্যুরো এবং চীনে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৮ দিনব্যাপী এই ভারতীয় চলচিত্র দিবসে ১০টি ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখানো হবে । এসব চলচ্চিত্র দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় চলচিত্র প্রেমী চীনা দর্শকদের জন্য একটি সুখবর । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের জাতীয় প্রচার , চলচ্চিত্র ও টি ভি ব্যুরোর উপ প্রধান চাং হুং সেন বলেন :

    চলচ্চিত্র জাতীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে । তা হলো বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন জাতির মধ্যে অনুভূতির বিনিময় এবং উপলব্ধির সেঁতু । ভারতের "আয়ারা" , "কারাভান" ইত্যাদি চলচ্চিত্র বহু চীনা দর্শকদের প্রিয় চলচ্চিত্র ।সুন্দর সুন্দর শারী , চুলি ইত্যাদি , সিনেমায় নায়ক-নায়িকাদের নাচ গান চীনের দর্শকদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে । এবারকার চলচ্চিত্র দিবস চীনের চলচ্চিত্র মহল ও দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে । এসব চলচ্চিত্র দু'দেশের জনগণের উপলব্ধি বাড়াবে এবং দু'দেশের সহযোগিতা ও মৈত্রীকে ত্বরান্বিত করবে ।

    অনেক চীনা দর্শক ভারতীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে বিশেষ অনুভূতি আছে । ভারতীয় চলচ্চিত্রের সুন্দর নাচ গান , রোম্যান্টিক দৃশ্য চীনা দর্শকদের মনে খুব সুন্দর এক কল্পনার সৃষ্টি করে । ভারতের চলচ্চিত্র শিল্প এত উন্নত যে এখন বিশ্বের প্রথম স্থানে বলা চলে । প্রত্যেক বছর ভারতে প্রায় হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়ে দেশের প্রায় ১৩ হাজারটি সিনেমা হলে দেখানো হয় । এবার চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষের উদযাপন অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখানো দশটি চলচ্চিত্রের সবগুলিই ১৯৯০ সালের পর তৈরী হয়েছে । তা ভারতের আধুনিক চলচ্চিত্রের অবস্থার বহিপ্রকাশ । চীনা দর্শকরা এসব চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আধুনিক ভারতকে উপলব্ধি করতে পারবেন । সংস্কৃতির আদান-প্রদান সম্পর্কে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্র দূত নলিন সুরি সংবাদদাতাকে বলেন :

    (সংস্কৃতিক আদান-প্রদান) সবাইকে যুক্ত করতে পারে , বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে পারে । সাবই আরো সহজেই পরস্পরকে উপলব্ধি করতে পারে । আমরা চীনা দর্শকদের জন্য আরো বেশি ভারতীয় গান , টি ভি অনুষ্ঠান ইত্যাদি দেখাবো । চলচ্চিত্র দিবস একটি সুচনা , আমরা দু'দেশের আদান-প্রদানের জন্য আরো বেশি প্রয়াস চালাবো ।

    চীন-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫৬ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতার লক্ষ্যণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে । এবার দু'পক্ষ চলচ্চিত্রের দেখানোর মাধ্যমে দু'দেশের সংস্কৃতিক আদন-প্রদান ত্বরান্বিত করবে । চীনের দর্শকরাও এই ভারতীয় চলচ্চিত্র দিবসকে স্বাগত জানিয়েছে । দর্শক মিস ইয়াং বলেন :

    আগে আমি বেশ কয়েক বছর আগে ভারতের "কারাভান" সহ অন্যান্য ছবি দেখে ভারতকে উপলব্ধি করতাম । তবে আমি ভারতীয় চলচ্চিত্র খুবই পছন্দ করি । এবার জেনেছি যে পেইচিংয়ে এই চলচ্চিত্র দিবস আয়োজন করেছে । আমি দু'দিনের আগেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকিট কিনেছি । দেখার পর আমার খুব ভালো অনুভূতি হয়। তা আমাদের সবাই চীনা দর্শকদের জন্য আধুনিক ভারতকে উপলব্ধি করার সুযোগ দিয়েছে । আমরা এ থেকে আধুনিক ভারত ও ভারতীয়দের জীবন সম্পর্কে জানতে পারি ।

    সঙ্গে সঙ্গে চীনে চাকরি বা লেখাপড়া করা ভারতীয়রাও খুব আনন্দিত । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা একজন ভারতীয় মেয়ে দেখেছি । তিনি বলেন :

     রুণ তরুণীর জন্য এই চলচ্চিত্র দিবস খুবই ভালো । তারা এসব চলচ্চিত্রকে পছন্দ করবেন । কারণ এসব চলচ্চিত্র চমত্কার । এবার ভারতীয় চলচ্চিত্র চীনে দেখানো হচ্ছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত । কারণ এসব চলচ্চিত্র আধুনিক ভারতকে দর্শকদের দেখানো হবে ।

    টিকিট অফিস থেকে আমরা জেনেছি যে , এই চলচ্চিত্র দিবসের খবর পাওয়ার পরপরই অনেক দর্শক টিকিট কিনতে এসেছে । এর মধ্যে অনেকেই মধ্যবয়সী দর্শক । যখন তারা তরুণ , তখন ভারতীয় চলচ্চিত্র চীনে খুবই জনপ্রিয় । তাঁরা মনে করেন এই দিবস খুবই ভালো একটি সুযোগ । তারা তরুণ সময়ের অনুভূতিকে আবার অনুভব করতে পারবেন ।

    চীনা দর্শক ভারতীয় চলচ্চিত্রকে এত পছন্দ করে দেখে চীন নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নালিন সুরি খুব আনন্দিত । তিনি বলেন , চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষের উদযাপন অব্যাহতভাবে চলছে । তিনি বলেন : পরবর্তী মাসে আমরা চীনে ভারতীয় বই মেলার আয়োজন করবো । সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি ভারতীয় নাচ-গান অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করবো । মধ্য চীনের হোনান প্রদেশের লো ইয়াং শহরের পাই মা মন্দিরে আমরা একটি ভারতীয় মন্দির নির্মাণ করেছি । বিশ্বাস করি এতে দু'দেশের আদন-প্রদান আরো গভীর হবে ।  

    চীন-ভারত মৈত্রী বর্ষ উদযাপনের জন্য চীনা চলচ্চিত্র দিবস আগামী বছরে ভারতে আয়োজনও করা হবে । দু'দেশের সংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরো প্রসারিত হবে । যদিও ভাষা আলাদা , তবে দর্শক হিসেবে আমরা শিল্পকে ভালোবাসি । চলচিত্রের মাধ্যমে দু'দেশের জনগণের উপলব্ধি আরো গভীর হয়েছে । বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে দু'দেশের মৈত্রী আরো বাড়বে ।