v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-29 15:04:50    
শ্রোতাদের চিঠির সারাংশ --- ২০০৬/৮/২৯

cri

    ** বাংলাদেশের পাবনা জেলার চাটমোহরের বিন্যাবাড়ী গ্রামের মোঃ কায়ছার রহমান লিখেছেন, আমার মতামত উপস্থাপন করছি। তা হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের দৈনন্দিন পত্রিকার পাতা থেকে একটি আসর প্রচার করেন। তাহলে বাংলাদেশ এবং ভারত সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবো।

    ** চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার সবুজ বেতার শ্রোতা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সকাল আহমেদ শাহীন লিখেছেন, আমাদের ক্লাবের সবার একটি প্রস্তাব আছে। তা হচ্ছে আপনাদের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের সংবাদ খুবই কম থাকে। সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রোতারাই বেশি শুনে থাকে। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের সংবাদ অন্যান্য দেশের মত বেশি বেশি প্রচার করবেন। আর আপনাদের সংবাদের সময় কিছুটা বাড়াতে হবে। সংবাদের সময়সীমা ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট করতে হবে। নতুবা ১০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। যেখানে শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের সংবাদ থাকবে।

    সকাল আহমেদ শাহীন আরো লিখেছেন, আরেকটি অনুষ্ঠান প্রচার করলে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের মান হয়তো আরো বৃদ্ধি পাবে। সেটা হচ্ছে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে একটা অনুষ্ঠান প্রচার করা। অনুষ্ঠানের নাম হবে "রোগ চিকিত্সা" । এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন ডাক্তার আসবেন এবং তারা বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে আলোচনা করবেন। আমি মনে করি এই আলোচনা থেকে অনেক শ্রোতাবন্ধু উপকৃত হবে। আমার প্রস্তাবটি কেমন তা শ্রোতাবন্ধু আপনারা ভেবে দেখবেন।

    প্রস্তাব দেয়ার জন্য বন্ধু সকাল আহমেদ শাহীন এবং মোঃ কায়ছার রহমানকে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের কথা আমরা বিবেচনা করবো, পুরোপুরি আপনাদের প্রস্তাবের মতো না হলেও ভবিষ্যতে এই দিকে নজর দেয়ার চেষ্টা করবো।

    ** বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জের দিশারি রেডিও শ্রোতা সংঘের এলিস পারভিন লিখেছেন, ডিএক্সিং বন্ধুদের আমি সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সি আর আই বাংলা বিভাগের কর্মকর্তাসহ সকলের হাতে হাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সারা পৃতিবীর সব মানুষ এক সাথে কাজ না করতে পারলে আমাদের একটি মাত্র পৃথিবীর সুখী, সমৃদ্ধ ও সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আসুন আমরা বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ডিএক্সিংকে ছড়িয়ে দেই, গড়ে তুলি মানুষের নির্ভেজাল মৈত্রীর সেতুবন্ধন। শ্রোতা ক্লাবের বন্ধুরা এ রকম দায়িত্ব পালনে স্বতঃস্ফুর্ত এগিয়ে আসেন বলেই সি আর আই বাংলা বিভাগের সাথে নিবিড় বন্ধন তৈরীতে আমাদের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা। ২০০৬ সালে আপনাদের সাথে আমাদের আন্তরিক বন্ধন আরো সুদৃঢ়, নির্মল ও কার্যকরী হোক এই শুভ প্রত্যাশা রইল।

    আমরাও এলিস পারভিনের মতো একই প্রত্যাশা করি।

    ** যশোর জেলার অভয়নগরের সোনালী আড়পাড়া ক্লাবের সুপর্না টিকাদার লিখেছেন, আমি সি আর আই এর একজন নিয়মিত শ্রোতা। এ অনুষ্ঠানটি আমার খুব প্রিয়। এটি আমার জ্ঞান অর্জনের পথকে সুগম করে তুলেছে। আমি এবং আমার আরও অনেক বন্ধুবান্ধবী মিলে একটি ক্লাব গঠন করেছি। ক্লাবটির নাম "সোনালী আড়পাড়া ক্লাব"। আমি ক্লাবে সচিব পদে উন্নীত হয়েছি। আমার নতুন ক্লাবের কথা সি আর আই এর মিতালী অনুষ্ঠানে না জানিয়ে পারলাম না।

    সুপর্না টিকাদারের নতুন ক্লাব গঠনকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, আপনাদের এই ক্লাব সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকবে।

    ** বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার মোঃ তানভীর আল রাজী "সেই সি আর আই" নামে প্রবন্ধ লিখেছেন।

    এটা সম্ভবত ২০০৩ সালের একদিন। আমার বাবার ফিলিপস এর দুই ব্যান্ড রেডিও আছে। যেটি দিয়ে তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিবিসি শোনেন। সেদিন হঠাত্ আমার মনে হল, আচ্ছা চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল এর কি কোন বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়? কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে, শুরু হল গবেষণা। অনেক ছোট বেলায় দেখতাম, আমার চাচাদের নামে চীন থেকে চিঠি আসতো। তখন খামের উপর সি আর আই লেখা দেখে কিছুই বুঝতাম না। অনুসন্ধিত্সু মন খুঁজতে লাগল, সেই চীন থেকে পাঠানো চাচাদের চিঠির খাম।

    অবশেষে খুজে বের করলাম সি আর আই থেকে পাঠানো বান্ডিল বান্ডিল চিঠির খাম। এতো চিঠির খাম দেখে বুঝলাম আমার চাচারা একসময় সি আর আই এর নিয়মিত শ্রোতা ছিলেন। আর এও বুঝতে পারলাম সেই প্রেম বংশগতভাবে আমার উপরও চলে এসেছে।

     তারপর একদিন সন্ধ্যায় বাসায় বিদ্যুত্ নেই। তাই রেডিও নিয়ে নব ঘুরাতে লাগলাম। হঠাত্ বেশ শক্তিশালী কর্কশ আওয়াজসহ একটি বেতার স্টেশন আবিষ্কার করলাম। নাম "চীন আন্তর্জাতিক বেতার" । সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। বেশ মনযোগ দিয়ে পুরা অনুষ্ঠানটি শুনলাম। শুনতে শুনতে ৩০টা মিনিট কেটে গেল। বুঝলাম সময় কি তাড়াতাড়ি চলে যায়। সেই থেকে নিয়মিত সি আর আই শুনে আসছি। আর যতদিন যাচ্ছে, ততই বুঝতে পারছি সি আর আই এর প্রতি আমার প্রেম, ভালবাসা বাড়ছে। বলা যায়, সেই থেকে সি আর আই আমার দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে।