লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা শেখ হাসান নাসরাল্লাহ ২৭ আগষ্ট জোর দিয়ে বলেছেন, হিজবুল্লাহ কখনও ইস্রাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা যুদ্ধ করবে না। তিনি বলেছেন, ইস্রাইলের অব্যাহত চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য হচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করার জন্যে হিজবুল্লাহকে উস্কানি দেয়া এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো। হিজবুল্লাহ সংযম বজায় রাখবে।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট এমিল লাহুদ একইদিন প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আনানের কাছে লেবানন সংঘর্ষে ইস্রাইলের আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা তদন্ত করার জন্যে যত তাড়াতাড়িসম্ভব বিশেষজ্ঞ গ্রুপ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। লাহুদ বলেছেন, ইস্রাইল লেবাননে গুচ্ছবোমাসহ বিশ্বে নিষিদ্ধ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। এটা দীর্ঘকাল লেবাননের জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। ইস্রাইল গুরুতর ভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এজন্য লেবানন মামলা করার অধিকার রাখে।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী গাজি আরিদি বলেছেন, লেবানন সরকার জাতিসংঘের কাছে যত তাড়াতাড়িসম্ভব লেবাননের বিরুদ্ধে অবরোধ তুলে নিতে ইস্রাইলকে তাড়া দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
ইস্রাইলের প্রতিরোক্ষামন্ত্রী আমির পেরেজ একইদিন বলেছেন, তিনি আশা করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লেবানন এবং সিরিয়া সীমান্ত তত্ত্বাবধান করবে, যাতে সিরিয়ার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র গেরিলাদের হাতে অস্ত্র পৌঁছাতে না পারে। তাই সঙ্গে তিনি বলেছেন, লেবাননের নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতি ইস্রাইলী বাহিনীর অবরোধ অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী ও লেবাননের বাহিনী অবস্থান না নেয়া পর্যন্ত ইস্রাইলী বাহিনী লেবাননে মোতায়েন থাকবে।
|