v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-28 14:20:21    
উ পাং কুওয়ের লাতিন আমেরিকান সফর শুরু

cri

 চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান উ পাং কুও ২৮ আগস্ট পেইচিং ত্যাগ করে ব্রাজিল , উরুগুয়ে, চিলি এই তিনটি লাতিন আমেরিকান দেশে আনুষ্ঠানিক মৈত্রী সফর শুরু করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও এর মেক্সিকো সফরের পর এটা হচ্ছে লাতিন আমেরিকান দেশগুলোতে চীনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তত্পরতা।

 ব্রাজিলের সিনেটের স্পীকার রেনান কালহেইরোস আর প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার আলসো রেবেলো , উরুগুয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সংসদের চেয়ারম্যান, সিনেটের স্পীকার রোদোল্ফো গুস্তাভো নিন নোবোয়া, চিলির সেনেটের স্পীকার এদুয়ার্দো ফ্রেই রুইজ-তাগলে আর প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার আটোনিও লেয়াল লাবপ্রিনসহ লাতিন আমেরিকান সংসদের স্পীকার নে লোপেসের আমন্ত্রণে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান উ পাং কুও ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপরোক্ত তিনটি দেশে আনুষ্ঠানিক মৈত্রী সফর করবেন এবং ব্রাজিলের সাও পোওলোতে অবস্থিত লাতিন আমেরিকান সংসদ পরিদর্শন করবেন।

 তাঁর সফরসঙ্গী চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির উপ-মহাসচিব চাও ওয়ে চৌ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন, "সফরকালে চেয়ারম্যান উ তিনটি দেশের প্রধান প্রধান নেতৃবৃন্দ এবং লাতিন আমেরিকান সংসদের স্পীকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় করবেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতার পদ্ধতি এবং উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। সাক্ষাত্কালে সংসদগুলোর আদান-প্রদান জোরদার করার কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যায় সংশ্লিষ্ট দেশ আর সংসদ সংস্থার সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ করা হবে। "

 এবারকার সফরের প্রথম পর্যায় ব্রাজিলযাবেন। চীন ও ব্রাজিলের মধ্যে ১৯৭৪ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশ হিসেবে ব্রাজিল হচ্ছে চীনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রথম উন্নয়নমুখী দেশ এবং লাতিন আমেরিকায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০০৫ সালে চীন ও ব্রাজিলের বাণিজ্যিক লেন-দেন প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যা চীন আর লাতিন আমেরিকান দেশগুলোর মোট বাণিজ্যিক লেন-দেন এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ।

 উরুগুয়ে হচ্ছে এবারকার সফরের দ্বিতীয় পর্যায়। ১৯৮৮ সালে চীন ও উরুগুয়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হয়ে আসছে। অর্থনীতি ও বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রের আদান-প্রদান এবং সহযোগিতা দিনে দিনে জোরদার হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে দু'দেশের মধ্যে সৃষ্ঠু সহযোগিতা বজায় রয়েছে। ২০০৫ সালে দু'দেশের বাণিজ্যিক লেন-দেন ৪০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি ছিল। চীন হচ্ছে পৃথিবীতে উরুগুয়ের পশমের বৃহত্তম ক্রেতা। বর্তমানে দু'পক্ষ ঐতিহ্যিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করে বহুমুখী বাণিজ্য ত্বরান্বিত করছে।

 এবারকার সফরের শেষ পর্যায় হচ্ছে চিলি। দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যে চিলি প্রথম চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। জাতিসংঘে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের বৈধ মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার ব্যাপারে প্রথম চীনকে সমর্থন করেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীনের অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রথম চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীনের সম্পূর্ণ বাজার অর্থনৈতিক মর্যাদাকে প্রথম স্বীকার করেছে, প্রথম চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অবাধ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ সব কারণে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী চালিকাশক্তি যোগ হয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে চীন ও চিলির সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে বিকাশ হয়েছে। চিলি হচ্ছে লাতিন আমেরিকায় চীনের তৃতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন হচ্ছে চিলির ব্রোঞ্জজাত দ্রব্যের বৃহত্তম ক্রেতা।

 ব্রাজিল সফরকালে চেয়ারম্যান উ পাং কুও সাও পোওলোতে অবস্থিত লাতিন আমেরিকান সংসদে সফর করবেন। লাতিন আমেরিকান সংসদ হচ্ছে লাতিন আমেরিকা আর ক্যারিবীয় অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিনিধিত্বশীল সংসদীয় সংস্থা। এই সংস্থা আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য বৈশিস্ট্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০০৪ সালে চীন লাতিন আমেরিকান সংসদের প্রথম বিদেশী পর্যবেক্ষকে পরিণত হয়েছে।

 চাও ওয়ে চৌ বলেছেন, এবারকার সফর "মৈত্রি গভীরতর করা, মতৈক্য সম্প্রসারণ করা এবং আন্তরিক সহযোগিতা ও হাতে হাত মিলিয়ে কাজের মাধ্যমে উন্নয়নের একটি সফর হবে।