গবেষণা থেকে জানা গেছে, মানুষের ঘুমের গভীরত্ব সারা রাতে এক রকমের নয় । অধিকাংশ লোক তাঁদের ঘুমের ১ বা ২ ঘন্টার মধ্যে ঘুমের সবচেয়ে গভীরতায় ভুবে যান । তখন তাঁরা বাইরের আওয়াজ শুনতে পারবে না । সম্পূর্ণ শরীর বিশ্রাম ও প্রায় অচেতন অবস্থায় থাকে । গভীর ঘুমের ১ ঘন্টা পর , লোকদের ঘুম ধীরে ধীরে হাল্কা হয়ে যাবে । তখন মানুষ স্বপ্ন দেখে, যদিও এ সময় বাইরের উদ্দীপক বস্তুর প্রতি আস্তে আস্তে অনুভূতি জাগে, তখন একটু শব্দেই সহজভাবে জেগে উঠতে পারে । যদি লোকদের ঘুমের সময় যথেষ্ঠ এবং গভীর ঘুমের সময়ও যথেষ্ট হয় , তাহলে জেগে উঠার পর তাদের স্বাস্থ্য ভালো হবে । কিভাবে ভালো ঘুমানো যায় ? আমি আপনাদের জন্যে এ সম্পর্কিত কিছু পদ্ধতি জানাবো ।
প্রথম. ভালো ঘুমের ভংগিমা রাখুন
ঘুমানোর সময় আপনাদের শরীর ডান দিকে কাত করে শুয়ে থাকুন । এ ভংগিমা হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ কমে যায় ,গোটা শরীরটাকে হাল্কা মনে হবে ।কিন্তু নাকডাকারোগীরা ঘুমের সময় বাম দিকে তাঁদের শরীর কাত করে রাখলে ভালো লাগবে ।
দ্বিতীয়.আরামদায়ক বিছানা ঘুমের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে ভালো বিছানা হল শক্ত কাঠের বিছানার ওপর নরম ও পাতলা তোশক রাখা । বালিশের উচ্চতা সাধারণত আপনাদের কাঁধের উচ্চতার চেয়ে কিছুটা কম হলে ভাল । যদি বালিশের উচ্চতা খুব উঁচু হয়, তাহলে আপনাদের গ্রীবায় ব্যথা ও ক্লান্তি লাগবে । বালিশের উচ্চতা খুব নিচু হলে, আপনাদের ঘুমও অসহায়ক হবে । তা ছাড়া ঘুমের সময় নরম কাপড় পরলে ভালো এবং হাল্কা ও গরম লেপ ব্যবহার করাও ভালো । ভারী লেপ আপনাদের শরীরে চাপ সৃষ্টি করে , এটা ঘুমের পক্ষে সহায়ক হবে না ।
তৃতীয়. শোয়ার ঘর পরিষ্কার ও শান্ত রাখতে হবে এবং বাতাস ভালভাবে চলাচল করতে দিতে হবে
প্রতিদিন জানালা খুলুন, বাতাস পরিবর্তন করুন, যাতে ঘরের দূষিত বাতাস পরিবর্তিত হয় । শীত্কালে ঘুমের আগে জানালা খুললে ভাল হবে , তা আপনাদের ঘুমের জন্য সহায়ক হবে ।
চতুর্থ. ঘুমের আগে ভালো অভ্যস বজায় রাখুন
ঘুমের আগে ধুমপান ,চা বা কফি খাবেন না । অল্প বিশুদ্ধ পানি বা দূধ খেলে ভালো । ঘুমের আগে উত্তেজনাময় অনুষ্ঠান বা বই দেখবেন না । কিন্তু কিছু সুন্দর সংগীত শুনলে আপনাদের মনে শান্তি লাগবে । তা ছাড়া, দাঁত পরিষ্কার করলে, আপনাদের দাঁত সংরক্ষণ করার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমেরও সহায়ক হবে । ঘুমের আগে চুল সুন্দর রাখুন , তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান ।
আরেকটি ভালো পদ্ধতি হচ্ছে ঘুমের আগে গরম পানি দিয়ে আপনাদের পা পরিষ্কার করা । তাতে আপনাদের মাথা একটি সুষ্ঠু উদ্দীপক হবে । রক্ত পায়ের দিকে গেলে, ঘুম ও ক্লান্তি কমানোর ক্ষেত্রে তা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে । ভালো ও সুশৃঙ্খল সময়সূচী বজায় রাখলে, আপনাদের ভালো ঘুমের জন্যে খুবই গুরত্বপূর্ণ ।
|