v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-23 18:33:07    
চীন মাদকদ্রব্য অপরাধ রোধের আইন প্রণয়ন করছে

cri
    ২২ আগস্ট চীন আনুষ্ঠানিকভাবে " মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ আইন" প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে । চীন সরকার ও বিধান সংস্থা আইনের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত করতে চায় , যাতে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করা পুরো সমাজের অভিন্ন দায়িত্ব পালন সহ রাষ্ট্রের সামগ্রিক মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণের কাজ পরিপূরণ করার ব্যবস্থাকরা যায় । চীন সরকার আইনের মাধ্যমে সকল মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে । এর আগে মাদকদ্রব্য সেবন করা অপরাধ সাধন করে কি না , মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ কাজে সমাজের বিভিন্ন মহলের দায়িত্বপ্রভৃতি সমস্যার উপর চীনের সর্বস্তরের মানুষ যে গুরুত্ব দেয় তা খসড়া আইনে স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।

    এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে , গত বছর চীনে তালিকাভূক্ত মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের সংখ্যা ১১ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে । ৭ লাখ সেবনকারীদের সেবন করা হেরোইনের পরিমান অনুযায়ী প্রত্যেক বছরে হেরোইন সেবনের জন্যে ৪০ বিলিয়ন রেনমিনপি ব্যয় হয় । চীনে প্রায় ২১০০টি জেলা মাদকদ্রব্যের ব্যবসারসঙ্গে জড়িত।

    কিন্তু মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কে চীনা সমাজ তেমন সচেতন নয় । মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ , প্রতিরোধ ও মাদকদ্রব্যের নেশা পরিত্যাগ করানোর ব্যবস্থা উন্নত করা প্রয়োজন । ২২ আগস্ট বিধান সংস্থা -- চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে " মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ আইনের" খসড়ার নীতি ব্যাখ্যা করার সময়ে চীনের গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী চাং সিনফোং জোর দিয়ে প্রতিরোধের সঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সমন্বয় করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন । তিনি বলেছেন , মাদকদ্রব্য সেবন করলে তা পরিত্যাগ করা অত্যন্ত কঠিন । তাই প্রতিরোধমূলক কাজ জোরদার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । এক দিকে মাদকদ্রব্যের ক্ষতি সম্পর্কে প্রচার ও শিক্ষাদানের কাজ জোরদার করতে হবে । প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কড়াকড়ি করতে হবে । বিশেষ করে কিশোরকিশোরী বা যুবকযুবতীদের মাদকদ্রব্য সেবন করা রোধ করতে হবে । অন্য দিকে মাদকদ্রব্যসংক্রান্ত অপরাধ সাধনের আচরণ কে শাস্তি দেয়ার মাত্রা জোরদার করতে হবে । যাতে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ কাজ রাষ্ট্রের শক্তিশালী নিশ্চয়তাবিধান পায় ।

    খসড়া আইনের নিয়ম অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ করা পুরো সমাজের অভিন্ন দায়িত্ব । খসড়া আইন অনুযায়ী চীন মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ কাজকে রাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে এবং নিশ্চিত করার জন্যে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ ব্যয় রাষ্ট্রের আর্থিক বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করবে ।

    " মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ আইনের" খসড়ায় একে এক কঠিন সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে , মাদকদ্রব্য সেবন করাকে অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করবে । বর্তমানে বিশ্বের বেশির ভাগ রাষ্ট্রেই মাদকদ্রব্য সেবন করাকে আইন লংঘন করার এক অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করা হয় । চীনের " মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ খসড়া আইনে" মাদকদ্রব্য সেবন করা , ইন্জেক্ট করা বা অন্যকে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করা প্রভৃতি আচরনের উপর কড়াকড়িবাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।

    খসড়া আইনে মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের মাদকদ্রব্য ছেড়ে দিতে সাহায্য করার ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন মহলের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে নির্ধারন করা হয়েছে । খসড়া আইনে সেবনকারীদের নিসঙ্গ করে মাদকদ্রব্যের নেশা থেকে মুক্ত করানো বা বাধ্যমূলকভাবে মাদকদ্রব্য ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ।এ সম্পর্কে চীনের গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী চাং সিনফোং বলেছেন , মাদকদ্রব্য সেবনকারীরা যেমন আইন লংঘনকারী তেমনি ক্ষতিকারকও বটে । তাদেরকে যেমন শাস্তি দিতে হবে তেমনি শিক্ষা দান সহ নেশা পরিত্যাগে সাহায্য করতে হবে ।

    বিগত বছরগুলোতে চীন সক্রিয়ভাবে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন সংক্রান্তআন্তর্জাতিক চুক্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অংশ নিয়েছে বলে খসড়া আইনে বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয় যেমন তথ্য বিনিময় , রাসায়নিক দ্রব্য পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ।

    ১৯৯০ সালে চীন মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কেআইনগত দলিল ও নীতি প্রকাশ করেছে । বহু বছর ধরে চীনে ব্যাপকাকারে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে । গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত চীন মোট ৪৫ হাজার মাদ্রকদ্রব্য অপরাধের মামলা নিষ্পত্তি করেছে এবং সাড়ে ১৭ টন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে ।