v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-22 17:07:06    
বিদেশে চীনের চিকিত্সা দল বিরাট  সাফল্য অর্জন করেছে

cri
    বর্তমানে চীনের চিকিত্সা দলের এক হাজারেরও বেশি সদস্য বিশ্বের চল্লিশটিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে আছেন । তারা এই সব দেশে রোগীদের চিকিত্সা করছেন , স্থানীয় চিকিত্সকদের স্বাস্থ্য প্রকৌশল শিক্ষাদান করছেন । তাদের সাহায্যে সেই সব দেশগুলোর চিকিত্সার মান অনেক উন্নত হয়েছে । সম্প্রতি সি আর আইকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরএকজন কর্মকর্তা বলেছেন , পরবর্তীকালে চীন সেবাগ্রহনকারী দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে এবং সে সব দেশগুলোকে দেয়া সাহায্যের পরিমান বাড়াবে ।

    ১৯৬৩ সালে চীন সরকার আলজেরিয়ার কাছে প্রথমবারের মতো চিকিত্সক দল পাঠিয়েছে । এ পর্যন্তচীন বিশ্বের পাঁচ মহাদেশের চল্লিশটিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে মোট ২০ হাজার চিকিত্সক পাঠিয়েছে এবং ৩০কোটিরও বেশি রোগীকে চিকিত্সা করেছে । চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের উপপ্রধান ওয়াং লিচি সি আর আইকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন , বহু বছর ধরে চীনের চিকিত্সক দল সেবাগ্রহনকারী দেশগুলোর স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ জোরদার , তাদের চিকিত্সক ও ওষুধের অভাব পূরণ এবং সেবাগ্রহনকারী দেশগুলোর জনগণের স্বাস্থ্যরক্ষার মান উন্নত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । চীন সরকার বিনার্শতে আফ্রিকান দেশগুলোতে চিকিত্সক দল পাঠিয়েছে । আফ্রিকার এই সব দেশে জনসাধারণের সঙ্গে কথাবার্তাবলার সময়ে যদি আপনি চীনের চিকিত্সক দলের কথা তুলে ধরেন তাহলে তারা বুড়ো আঙ্গুল তুলে প্রশংসা করবেন ।

    মিঃ ওয়াং লিচি বলেছেন , গত চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে একের পর এক চীনা চিকিত্সক দল মৃতকে সত্কার ও আহতদের চিকিত্সা করার মানবিক মনোবল নিয়ে বিপুল সাধারণ ব্যাধির রোগীদের চিকিত্সা করেছেন এবং সাফল্যের সঙ্গে হৃদপিন্ডের অপারেশন করেছেন । টিউমার কেটে ফেলেছেন এবং ভাঙ্গা হাতপা রিপ্ল্যান্টেশনকরেছেন । আধুনিক চিকিত্সার প্রকৌশল ব্যবহারের পাশাপাশি তারা আকুপাংচার ও মালিশ সহ চীনের ঐতিহ্যিক ওষুধ ও স্বাস্থ্যপ্রকৌশল এবং পাশ্চাত্ত্য পদ্ধতির সঙ্গে চীনের ঐতিহ্যিক পদ্ধতি সমন্বিত চিকিত্সার প্রকৌশল নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক গুরুতর রোগীকে আরোগ্য করে তুলেছেন । এক অসমাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা গেছে , গত ৪০ বছরে চীনের চিকিত্সা দল সেবাগ্রহনকারী দেশগুলোর জন্যে চিকিত্সকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন । কেবল আফ্রিকায় তারা মধ্য ও প্রাথমিক পর্যায়ের ৩০০০ চিকিত্সককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন । এদের মধ্যে অনেকে এখন নিজনিজ দেশের চিকিত্সা দলের প্রধান হিসেবে পরিণত হয়েছেন ।

    আফ্রিকা চীনের চিকিত্সা দলের সাহায্যপ্রাপ্তপ্রধান অঞ্চল । মালি আফ্রিকার সবচেয়ে গরিব দেশের মধ্যে অন্যতম । সেখানে চিকিত্সক ও ওষুধের অভাব থাকায় ম্যালেরিয়া , কুষ্ঠ প্রভৃতি ব্যাধি মালিতে ব্যাপকাকারে দেখা হয় । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা চিকিত্সকদের চিকিত্সায় ৩০০০ গুরুতর রোগী প্রাণেরক্ষা পেয়েছেন । চীনা চিকিত্সা দল ৫০০০ লোকের শৈল্য চিকিত্সা করেছেন ।

    ২০০৪ সালে চীন দক্ষিণ আমেরিকায় চিকিত্সক দল পাঠাতে শুরু করেছে । গায়না প্রজাতন্ত্র চীনের সাহায্যপ্রাপ্ত প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান দেশ । একটি অনুন্নতদেশ হিসেবে গায়নার চিকিত্সার মান অত্যন্ত পশ্চাত্পদ ।দীর্ঘদিন ধরে অনেক রোগীরা যথাযথ চিকিত্সা পেতে পাচ্ছেন না । বিগত দু বছরে চীনের চিকিত্সা দল নানা অসুবিধা অতিক্রম করে গায়নার রোগীদের চিকিত্সা করার চেষ্টা করে আসছেন । চিকিত্সা দলের নেতা ইয়াও ইয়ুন বলেছেন , গত দু'বছরে আমরা নানা অসুবিধা অতিক্রম করে মোট ৩২০০০ রোগী চিকিত্সা করেছি এবং ৩৯০০ রোগীর জন্যে শৈল্য চিকিত্সা করেছি । আমরা প্রত্যেক চিকিত্সকই সর্বাধিক চেষ্টা করে রোগীদের সেবা করেছি । চীনা চিকিত্সকদের উন্নতমানের চিকিত্সা প্রশংসা লাভ করেছে ।

    চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওয়াং লিচি বলেছেন , পরবর্তীকালে চীনের চিকিত্সা দলের প্রধান কাজ হবে আফ্রিকার দারিদ্র দেশকে এইডস, যক্ষা, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি সংক্রামক রোগের চিকিত্সা করতে সাহায্য করা এবং আগামী বছরে ঘানা ও আংগোলায় চিকিত্সক দল পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ।