v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-22 16:20:09    
হুয়াং জান ও তাঁর ছায়াছবির গান

cri

    আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্য চীনের হংকংয়ের প্রয়াত বিখ্যাতর সংগীত চয়িতা হুয়াং জান ও তাঁর ছায়াছবির গানগুলো শোনাবো এবং ব্যাখ্যা করবো।

    হুয়াং জানের ইংরেজী নামঃ জেমস্ জে এস ওয়াং। তিনি ছিলেন হংকংয়ের বিখ্যাত সংগীত রচয়িতা। ১৯৪১ সালে তিনি চীনের কুয়াংচৌ শহরে গ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে তিনি বাবামার সঙ্গে হংকংয়ে থেকেছেন। ১৯৬৩ সালে তিনি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা বিভাগ থেকে স্নাতক হন এবং বিজ্ঞাপন, ছায়াছবি, রচনা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করেছেন। তিনি হংকং টি ভি কেন্দ্র ও বেতারের উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তার সঙ্গে চিন ইয়োং, নি খুয়াং ও ছাই লানকে "হংকংয়ের চারজন সুপণ্ডিত ব্যক্তি" বলে গণ্য করা হয়। তা ছাড়া, নি খুয়াং, ছাই লানের সঙ্গে তাকেও "হংকংয়ের তিনজন বিখ্যাত মুখ" কে বলে গন্য করা হয়। ২০০৪ সালের ২৪ নভেম্বর, নিউমোনিয়ার কারণে তিনি মারা যান। সারা জীবনে তিনি ২ হাজারেরও বেশী গান রচনা করেছেন, বিশেষ করে ছায়াছবির গান। তাঁর বহু গান এখনও জনপ্রিয়। সুতরাং লোকেরা হুয়াংজানকে "চিরদিন সুপণ্ডিত ব্যক্তি" হিসেবেই জানে।

     এখন আপনারা যে গান শুনছেন তার নাম "সাংহাইথান"। হুয়াংজান গানের কথা লিলেছেন এবং কু চিয়াহুই গানের সুর সৃষ্টি করেছেন। এই গান হচ্ছে টিভিনাটক "সাংহাইথান"-এর গীতিনাট্যের টাইটেল সঙ্গীত এবং ম্যাডাম ইয়ে লি ই এই গানের গায়িকা। গানের কথা হলোঃ সমুদ্র উদ্দাম-উত্তাল, হাজার বছরেও সমুদ্রের পানি কখনও শেষ হয়না । বিশ্বের জিনিস সমুদ্রের জল পরিবর্তিত হয়েছে। সমুদ্রের অতলতার মতই আমরা জানি না জীবন কি এটা খুবই সুখের অথবা দুঃখের? এর পাশা পাশি সফলতা বা ব্যর্থতা কতটুকু পানির মতই তা বোঝা যায় না। এই গানে বীরের উদার চরিত্র ও উদ্দীপনাময় অনুভূতির কথা সাবলীলভাবে প্রকাশ পেয়েছে। গত শতাব্দীর ৮০ দশকে চীনে এই গান খুবই বিখ্যাত ও জনপ্রিয় ছিল। সবার মুখে মুখে এবং সারা বিশ্বের ছড়িয়ে গিয়েছিল।

    ১৯৬৫ সালে হুয়াং জান বিজ্ঞাপনতৈরী এবং গানের কথা রচনা করেন। ফলে তাকে "জনপ্রিয় গানের কথার মহা আদর্শ সৈদ্রক" এই উপাধি দিয়েছে। তিনি ছিলেন হংকংয়ের জনপ্রিয় সংস্কৃতি ক্ষেত্রের প্রতিনিধি এবং হংকংয়ের সুপরিচিত চলচ্চিত্র পরিচালক স্যু খেয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশী সহযোগিতা করা সীতিকার । হুয়াং জানের রচিত সংগীত উদার ও উদ্দীপনাময়। তার লেখার বৈশিষ্ট্য স্যু খেয়ের কাজের ধারার সঙ্গে মিলে খায়। সুতরাং এই দু'জনের সহযোগিতা মানুষের জন্য বিরল শিল্প-কর্ম হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্র "সুন্দরী ভূত", "সময় ঘুরঘুর করে" ও "পুরুষের আত্মবলীয়ান হওয়া উচিত" প্রভৃতি শাস্ত্রীয় গান সব হুয়াং জানের সৃষ্টি শিল্প-কর্ম।

    এখন আপনারা যে গান শুনচ্ছেন, তার নাম--সময় ঘুরঘুর করে। এটা হচ্ছে চলচ্চিত্র "সবুজ সাপ"-এর জন্য হুয়াং জান রচিত গান। গানটিতে একটি ব্যতিক্রমী জীবনের কথা প্রকাশ পেয়েছে । গানের অর্থ হলোঃ অর্ধেক ঠান্ডা আর অর্ধেক উষ্ণ শরত্কাল। মেঘ তোমায় ঘীরে থাকে, নিরিবিলি সময় ঘুরঘুর করে সারাবেলা ঘুরে বেড়ায় । বাতাসের দোলনায় লাল পাতার ঝিলিমিলি হৃদয়ের মেনি কৌঠায় কল্পনাকে জাগিয়ে তোলে। গায়িকা ছেন সুহুয়ার সুমধুর কন্ঠে গাওয়া গান মানুষের হৃদয়কে আরো গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে । আসুন, আমরা এক সঙ্গে এই গানটি শুনবো।

    যদিও হুয়াং জান মারা গেছেন। তবুও তাঁর রচিত সঙ্গীত এখনও এই পৃথিবীতে তাঁর শ্রম ও ভালোবাসার কথা জেগে থাকবে চিরদিন। অনেক অনুরাগী বলেছে, প্রত্যেক বার হুয়াং জানের রচিত সঙ্গীত শুনলে, মনে হয় যেন তাঁর সঙ্গে মিশে গেছে এই দয়। সারা জীবনে হুয়াং জান ছিলেন প্রান খেলা এক বন্ধু প্রতীম মানুষ। কাবিতার মতো তাঁর গানের কথাগুলোর মতই , তাঁর আনন্দময় হাসি আজো জেগে রয়েছে। তাঁর গানগুলোর মধ্যে "ছোটো পৃথিবী" নামে একটি গান রয়েছে। গানের অর্থ হলোঃ মানুষ সব সময় হাসি আর আন্দে মেতে থাকে । কাঁদতে চায়না । সব সময় আশায় বুক বেধে রাখেঅ হৃদয় উত্তেজনালালনের দরকার নেই। সারা বিশ্বের সবাইকেই পারস্পরিকভাবে সাহায্য করা উচিত। এরপর, হুয়াং জান অন্য আর একটি কৌতুক সম্পর্কিত গান রচনা করেন। আচ্ছা, এখন আমরা এক সঙ্গে এই গানটি শুনবো।

    আজকের অনুষ্ঠানের প্রান্ত শেষ প্রান্তে এসে আমি হুয়াং জান রচিত আরেকটি গান আপনাদের শুনাবো।

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা হুয়াং জান রচিত কয়েকটিগান শুনলেন। আজকের সুরের ভূবন এখানেই শেষ হল। শোনার জন্য ধন্যবাদ। আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে।