v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-21 19:21:04    
চীন দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের  সাহায্য দেয়ার  নীতি ব্যবস্থা মৌলিকভাবে গড়ে তুলেছে

cri
    চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য দেয়ার কাজ জোরদার করার জন্যে চীন আর্থিক সাহায্য প্রদানের রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন ও তা কার্যকর করেছে। বর্তমানে এই নীতি সারা দেশে জনপ্রিয় হয়েছে। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা মৌলিকভাবে মেটানো হয়েছে। আজকের শিক্ষার আলো অনুষ্ঠানে আমি চীনের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য দেয়ার নীতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আপনাদের শুনাবো।

    সম্প্রতি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দেয়া সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, চীনা গণ ব্যাঙ্ক , ব্যাঙ্ক তত্ত্বাবধান কমিটি ইত্যাদি বিভাগ দশ বছর ধরে গবেষণা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে এ পর্যন্ত চীনে বৃত্তি ও দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের ঋণ দানের ব্যবস্থা চালু হয়েছে, যাতে তারা তাদের লেখাপড়া চালানোর পাশা পাশি কিছু কাজ করে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে, তার ওপর একটি নীতি ব্যবস্থা মৌলিকভাবে গড়ে তুলেছে।

    বর্তমানে চীনে বৃত্তি প্রদানের সাতটি পদ্ধতি আছে। এই সাতটি পদ্ধতি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় লেখাপড়া সহায়তা বৃত্তি, শ্রেষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি, পেশাদার বৃত্তি, বিশেষ বৃত্তি,স্নাতকত্তোর বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের নিজের অবস্থা অনুযায়ী রাখা নানা রকম বৃত্তি এবং দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দেয়া বা প্রতিভা আকর্ষণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক সংস্থা বা ব্যক্তি বিশেষের রাখা বিভিন্ন বিশেষ বৃত্তি। বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা ছিল চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করার সূচনা। এটা ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে।

    বর্তমানে চীনে ছাত্রছাত্রীদের ঋণ দেয়ার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত , রাষ্ট্রীয় লেখাপড়া সহায়তা ঋণ । দ্বিতীয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুদবিহীণ ঋণ । তৃতীয়ত, সাধারণ লেখাপড়া সহায়তা বাণিজ্যিক ঋণ। ছাত্রছাত্রীদের কাছে ঋণ দেয়ার নীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দেয়ার একটি প্রধান ব্যবস্থায় পরিণত হবে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় লেখাপড়া সহায়তা ঋণ ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দেয়ার নীতির প্রধান ব্যবস্থায় পরিণত হবে।

    তাছাড়া, দরিদ্র ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ অসুবিধায় পড়লে বিভিন্ন স্তরের ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদেরকে বিশেষ ভাতা দেয়। এটি হচ্ছে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সাহায্য দেয়ার নীতির একটি অনুপূরক ব্যবস্থা।

    ১৯৯৫ সালে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের ফি মওকুফ বা ফি কমানোর ব্যবস্থা চালু করার অনুরোধ করেছে। এই ব্যবস্থা হচ্ছে বিশেষ দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য দেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা।

    ২০০৬ সালে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করেছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ভর্তি হওয়া সকল দরিদ্র ছাত্রছাত্রীকে "সবুজ পথ" চালু করবে এবং "সবুজ পথ" সুগম করার ব্যবস্থা নেবে। জানা গেছে, ২০০৫ সালে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে "সবুজ পথ"-এর মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৩.৯ লাখ । এটি ছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার ১৩ শতাংশ।