v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-21 17:12:55    
চীনে  প্রথম এইডস টিকার  প্র্রথমপর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষামূলক কাজ  সম্পন্ন হয়েছে

cri
    চীনের গবেষণার মাধ্যমে তৈরী প্রথম এইডস টিকার প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষামূলক কাজ শেষ হয়েছে । চীনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন , পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , টিকাটি নিরাপদ এবং মানুষের দেহে এইডসের ভাইরাসে অনাক্রম্যের প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলতে সক্ষম ।

    জাতিসংঘের এইডস কার্যক্রম পরিষদের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের প্রথমটি এইডসরোগী সনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে আড়াই কোটি মানুষ এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন । বর্তমানে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে , গবেষণা করে এইডস টিকা উত্পাদন করা মানবজাতির এইডস রোগ নির্মূলেরএক মৌলিক পথ । তাই বিভিন্ন দেশ এই টিকার গবেষণা ও তৈরীর কাজ করছে । চীনও ব্যতিক্রমনয় ।

    ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত চীনের বৈজ্ঞানিক ও গবেষকরা চীনে প্রচলিত এইডসের ভাইরাস নিয়ে বিপুল গবেষণা চালিয়েছেন এবং অবশেষে এক ধরণের এইডস টিকা উদ্ভাবন করেছেন এবং টিকার নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্যেগত বছরের মার্চ মাসে এই টিকার প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করেছে ।

    টিকার গবেষণার দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রফেসর খুং উই বলেছেন , তারা পুরোপুরিই আন্তর্জাতিক প্রণালী অনুযায়ী টিকাটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালিয়েছেন । গত এক বছরে পরপর মোট ৪৯জন স্বেচ্ছাসেবক এই টিকা গ্রহণ করেছেন এবং চিকিত্সা প্রতীকপরীক্ষা, ১৮০ দিনের মধ্যে ডাক্তারের পর্যবেক্ষণগ্রহণ সহ ধারাবাহিক পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন ।

    টিকার নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক চীনের ওষুধ ও জীবজাত দ্রব্য পরীক্ষাগারের প্রধান সাং কোওয়েই বলেছেন , পরীক্ষার ফলাফল থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , এধরণের এইডস টীকার নিরাপত্তা আছে । তিনি বলেছেন , পরীক্ষার ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে, পরীক্ষাপ্রাপ্ত সকলের আংশিক বা গোটা শরীরের কোনো গুরুতর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি । যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের দেহে এইডস-ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোষ ও হরমোন অনাক্রম্যের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ।

    চীনের জাতীয় খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি চাং ওয়েই বলেছেন , এ ধরণের এইডস-টিকার প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে বটে , কিন্তু তার অর্থ এই দাঁড়াবে না যে , চীনা বৈজ্ঞানিকরা এখনি টিকার ব্যাপক ক্লিনিক্যাল গবেষণা চালাতে পারবেন । তিনি বলেছেন , বৈজ্ঞানিকরা প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন এবং সারসংকলন করছেন । দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল গবেষণা শুরু করতে পারবেন কিনা প্রথম পর্যায়েরক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের কড়াকড়িবাবে মূল্যায়ন করার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ।

    এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ১২০টি এইডস টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হয়েছে । এর মধ্যে বেশির ভাগ পরীক্ষা প্রথম পর্যায়ের গবেষণায় রয়েছে ।

    সাম্প্রতিকতম এক পরি সংখ্যানে জানা গেছে , গত বছরের শেষ নাগাদ চীনে এইডস ভাইরাসগ্রহণকারীর সংখ্যা এক লাখ ৪০ হাজার । চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লিউ ইয়েনহুয়া বলেছেন , চীনে এইডস রোগের বিস্তার রোধের জন্যে কড়াকড়িভাবে ব্যবস্থানেয়া দরকার । এই টিকার প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলে তিনি আশাবাদী ।

    লিউ ইয়েনহুয়া বলেছেন, চীন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে মিলিতভাবে এইডস প্রতিরোধের কঠিন সমস্যা মোকাবেলা করতে চায় । তিনি বলেছেন , আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের প্রদ্ধতিঅনুযায়ী এইডস টিকার গবেষণা চালাতে হবে । চীনকে আরও বেশি আন্তর্জাতিকসংস্থার সহযোগিতা গহণ করতে হবে । যাতে গবেষণার ফলাফল আরও ভালভাবে চীনের এবং বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে ।