v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-18 16:26:52    
ফিলিস্তিনের প্রধান সম্প্রদায় ও সংগঠন

cri
    **ফাতাহ:

    ফাতাহ হলো ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের ৮টি সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, প্রভাবশালী এবং বড় সংগঠন। ফাতাহ সেনাবাহিনী, রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। আল-আকসা মার্টায়াস হলো ফাতাহর একটি প্রধান সামরিক শাখা।

    অনেক দিন ধরে ফাতাহ সামরিক তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিংশ শতাব্দীর আশির দশক থেকে ফাতাহের মতাদর্শ একটু পরিবর্তন হয়ে আরো নমনীয় ও বাস্তব অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। তারা ইসরাইলকে স্বীকার করেছে। এবং "ভূখন্ডের মাটির বিনিময় শান্তি"র নীতিতে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সংঘর্ষ সমাধান করতে রাজি হয়েছে।

    ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফাতাহ মোট ৮৮টি আসনের মধ্যে ৬৮টিতে বিজয়ী হয়।

    **হামাস

    হামাস হলো ফিলিস্তিনের প্রধান প্রগতিশীল সংগঠনের মধ্যে একটি। হামাস বরাবরই ফাতাহ ও ইসরাইল ১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত "ওসলো চুক্তি"র প্রতিবাদ করে আসছে। তাদের ইসরাইল-বিরোধী অবস্থান আরো স্থায়ী হয়েছে।

    হামাস ইসরাইলে অনেক বার আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলের "নির্মূল অভিযান" ও বড় আকারের সামরিক আঘাতের শিকার হয়েছে। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন এবং আব্দুল আজিজ রান্তিসি "নির্মূল অভিযানে" নিহত হয়েছেন।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুরুতর আঘাতে হামাস সামরিক তত্পরতা ছেড়ে না দিলেও নিজের মতাদর্শ একটু পরিবর্তন করেছে। তারা আরো নমনীয় ও বাস্তব মতাদর্শ নিয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে।

    ২০০৫ সালের মার্চ মাসে হামাস প্রথম বার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে জনকল্যানমূলক কাজ করায় হামাস ফিলিস্তিনী জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। ২০০৬ সালে আয়োজিত চার পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রথম পর্যায় ও চতুর্থ পর্যায় হামাস বেশি আসন পেয়ে ফাহাতের একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    **ফ্রন্ট পোপিউলার পোর লা লিবারেশন দি লা ফিলিস্তিন

    এই সংগঠন হলো ফিলিস্তিনের প্রধান প্রগতিশীল সংগঠনের মধ্যে একটি। এটি রাজনৈতিক পদ্ধতিতে মধ্য-প্রাচ্য অঞ্চলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে বিরোধিতা করে। তাদের মতে "সামরিক যুদ্ধ" হলো এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি।

    ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিনে বড় আকারের সংঘর্ষ ঘটার পর, ফ্রন্ট পোপিউলারের একটি সামরিক সংগঠন ধারাবাহিকভাবে ইসরাইল-বিরোধী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিন্তু তারাও "নির্মূল অভিযানের" শিকার হয়।