v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-18 16:20:29    
ভারত মহাসাগরের মুক্তা --শ্রীলংকা

cri
    শ্রীলংকা হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ। "শ্রীলংকা" সিনহালিসে অর্থ হচ্ছে উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ জমি। আকৃতিগত দিক থেকে দেশটির দৃশ্য খুবই সুন্দর বলে শ্রীলংকাকে ভারত মহাসাগরের মুক্তা বলে অভিহিত করা হয়।

    শ্রীলংকার আয়তন ৬৫.৬ হাজার বর্গকিলোমিটার, তার তটরেখার দৈর্ঘ্য এক হাজার তিন'শরও বেশী কিলোমিটার। লোকসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার। শ্রীলংকা সিনহালিস, তামিল প্রভৃতি জাতি নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে সিনহলীর সংখ্যা দেশের লোকসংখ্যার ৮১.৯ শতাংশ। সিনহালিস ও তামিল ভাষা হচ্ছে শীলংকার জাতীয় ভাষা। সমাজের উচ্চ স্তরে ইংরেজি ভাষা খুব জনপ্রিয়। শ্রীলংকার বাসিন্দারা বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, ইসলাম ধর্ম ও খৃষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী। তাদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগণের সংখ্যা দেশের লোকসংখ্যার ৭৬.৭ শতাংশ।

    শ্রীলংকারের সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ২ হাজার ৫'শ বছর আগে উত্তর ভারত থেকে আসা আর্যরা এখানে এসে সিনহালিস রাজ প্রতিষ্ঠা করেন। খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতের তামিল ভাষাভাষীরা এখানে এসে বসবাস করেন। খ্রীষ্ট্রীয় ১৬ শতাব্দীতে পর্তুগীজ ও ডাচরা যথাক্রমে শ্রীলংকাকে পরিচালনা   করে। ১৮ শতাব্দীর শেষ দিকে শ্রীলংকা বৃটেনের উপনিবেশে পরিণত হয়। শ্রীলংকা ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে স্বাধীনতা লাভ করে এবং সিলোন (Ceylon) হিসেবে দেশের নামকরণ করা হয়। ১৯৭২ সালের মে মাসে নাম পরিবর্তন করে শ্রীলংকা প্রজাতন্ত্র রাখা হয় এবং ১৯৭৮ সালের আগষ্ট মাসে শ্রীলংকা গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে রূপান্তর করা হয়।

    শ্রীলংকায় চা হচ্ছে প্রধান ফসল এবং অর্থনীতি ক্ষেত্রে কৃষি প্রধান দেশ। মত্স্য শিল্প, কাঠ শিল্প ও পানি সম্পদ খুব বৈচিত্র্যময়। চা পাতা, রবার ও ডাবর হচ্ছে শ্রীলংকার জনগণের আয়ের তিন'টি প্রধান দিক। শ্রীলংকারের প্রধান প্রধান খনি সম্পদের মধ্যে রয়েছে, কালো সীসা, মূল্যবান পাথর, গোমেদ প্রভৃতি, এদের মধ্যে কালো সীমার উত্পাদনের পরিমাণ বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। শ্রীলংকার মূল্যবান পাথর বিশ্বে খুব বিখ্যাত। শ্রীলংকার শিল্পের মধ্যে রয়েছে, বস্ত্র, কাপড়, চামড়া, খাবার, তামাক , তেলের প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি। তার রপ্তানি পণ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, বস্ত্র পণ্য, চা পাতা, পোশাক, ডাবর ও তেলের পণ্যদ্রব্য। তা ছাড়া, পর্যটন শিল্প হচ্ছে শ্রীলকংকার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

    শ্রীলংকা স্বাধীন ও জোট নিরপেক্ষ কূটনৈতিক নীতি অনুসরণ করে। চীন ও শ্রীলংকা হচ্ছে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দু'দেশের জনগণের মধ্যে গভীর ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী আছে। ১৯৫৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর চীন ও শ্রীলংকার সম্পর্কের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক আদান প্রদান, আর্থ-বাণিজ্য সম্পর্ক ধাপে ধারে জোরদার হচ্ছে। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট মূল্য ২৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৪ সালে দু'দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৭০ কোটি'রও বেশী মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় এটা ৩৬.৯ শতাংশেও বেশী। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বজায় রয়েছে।