জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দফতরের ১৭ আগষ্ট অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লেবাননে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনীর জন্যে সেনা পাঠানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা। লেবাননের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, লেবানন সরকার ১৭ আগষ্ট থেকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সরকারী বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজিয়ালিক ১৬ আগষ্ট ঘোষণা করেছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ১৭ আগষ্ট অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লেবাননে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনীর জন্যে সৈন্য বাড়ানো সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা কবরে। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিছেল আলিওত মারি ১৬ আগষ্ট রাতে বলেছেন, ফ্রান্স আগামী ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়া লেবাননে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনীর নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী গাজি আরিদি ১৬ রাতে ঘোষণা করেছেন, লেবানন সরকার ১৭ আগষ্ট থেকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সরকারী বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লেবাননের সরকারী বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের শুধুমাত্র লেবাননের সশস্ত্র শক্তি হবে। তিনি বলেছেন, লেবাননের বাহিনীর কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্র স্বরক্ষা করা, নিরাপত্তা রক্ষা করা, নাগরিকদের সম্পদ সুরক্ষা করা এবং দেশের প্রশাসন ছাড়া অন্য কোন প্রশাসনের উপস্থিতি ঠেকানো। আরিদি আরো বলেছেন, লেবাননের বাহিনী কখনও হিজবুল্লাহর সঙ্গে বিরোধে জড়াবে না। লেবাননের প্রেসিডেন্ট এমাইল লাহুদ ১৬ আগষ্ট বলেছেন, হিজবুল্লাহর সশস্ত্র থাকা হচ্ছে লেবাননের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। যে সব ব্যাপারে লেবাননের জনগণ মতৈক্যে পৌঁছেছে সে সব ব্যাপার অবশেষে সমাধান করা হবে।
ইস্রাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি ১৬ আগষ্ট বলেছেন, লেবাননের সরকারী বাহিনী ও লেবাননে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী পৌঁছানোর আগে ইস্রাইল পুরোদমে লেবানন থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহার করবে না।
|