মিসর সফররত চীনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষদূত সুন পিকান ১৩ আগষ্ট কায়রোতে পুনরায় ঘোষণা করেছেন , রাজনৈতিক উপায়ে আরব-ইস্রাইল সংঘর্ষ নিষ্পত্তি করা মধ্যপ্রাচ্যেবাস্তবায়ন করার চাবিকাঠি ।
এই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে সুন পিকান বলেছেন , চীন জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত ও " ভূমির মাধ্যমে শান্তি বিনিময়"-এর নীতি আনুযায়ী শান্তিপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক পদ্ধতিতে আরব-ইস্রাইল সংঘর্ষ নিস্পত্তি করার পক্ষপাতি । এই সমস্যার সমাধান হলেই কেবল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে স্থায়ী ও ন্যায়সংগত শান্তি বাস্তবায়িত হতে পারে । তিনি পুনরায় লেবানন-ইস্রাইল সংঘর্ষের ব্যাপারে চীনের অভিমত ব্যক্তকরেছেন । সুন পিকান বলেছেন , এক, চীন অবিলম্বে আর বিনাশর্তে যুদ্ধবিরতি পালনের দাবী জানায় । চীন মনে করে , এটা মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা সমাধান করার আর আঞ্চলিক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি প্রশমনকরা সংক্রান্তএক জরুরী সমস্যা । অবিলম্বে ও বিনার্শতে যুদ্ধবিরতি পালন করলেই কেবল এই অঞ্চলের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি প্রশমিত হতে পারে এবং মানবিক সংকটের অবনতি রোধ করা যায় । দুই , আন্তর্জাতিক সমাজকে দুর্গত লেবাননী জনগণকে মানবিক সাহায্য করতে হবে । চীন ইতোমধ্যে লেবাননকে প্রয়োজনীয় ও সাধ্যমত সাহায্য করেছে । তিন , চীন জাতিসংঘকে যততাড়াতাড়ি সম্ভব বর্তমান পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার আহবান জানিয়েছে । এ জন্যে জাতিসংঘস্থ চীনা প্রতিনিধি দল সক্রিয় তত্পরতা চালিয়েছে ।
এই দিন সুন পিকান আরব লীগের মহাসচিব আমর মুসার সঙ্গে এক বৈঠকও মিলিত হয়েছেন । দুপক্ষ সর্বসম্মতিক্রমে মনে করে যে , সংশ্লিষ্ট সকল দেশকে বাস্তবভাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ সিদ্ধান্ত কার্যকরকরতে হবে ।
|