সাম্প্রতিক বছরে নিম্ন পযায়ে অবস্থিত চীনের নারী ফুটবল দল ফুটবল মোদীদের কাছে হঠাত্ বিস্ময় বয়ে এনেছে। ৩০ জুলাই সমাপ্ত ১৫তম নারী এশীয় কাপে চীনের নারী ফুটবল দল শিরোপা অর্জন করেছে। সেজন্যে আবার আদের প্রত্যয় ফিরে পেয়েছেন।
চীনের নারী ফুটবল দল এথেনস অলিম্পিক গেমসে ও ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে রৌপ্যপদক অর্জন করে। এবং যার মান বিশ্বে উচ্চ পযায়ের। কিন্তু তাঁরা সাত বার এশীয় কাপের চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করার পর ১৯৯৯ সাল থেকে এবারকার পযন্ত তাঁরা এশীয় কাপের চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নি। চীনের নারী ফুটবল দল বিশ্বের শীর্ষ অবস্থান হারিয়েছে, এবং এশিয়ায় তাদের কিছুটা অবনতি হয়। একটানা সাত বছরে চীনের নারী দল উত্তর কোরিয় দলকে পরাজিত করতে পারে নি। এথেনস অলিম্পিক গেমসে চীনের নারী দল ০:৮ গোলে জার্মানী দলের কাছে হেরেছে। গত কয়েক বছরে চীনের নারী ফুটবল দল চীনা ফুটবলমোদীদের কাছে সাফল্য তুলে ধরতে পারেনি।
কিন্তু এ পরিস্থিতিতে চীনের নারী ফুটবল দল এবারকার এশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন অর্জন করেছে। হাফ ব্যাক হান তুয়ান বলেছেন, চীনের নারী দল অনেক দুঃসময় পেরিয়ে, এবারকার এশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাঁরা আবার তাদের প্রত্যয় ফিরে পেয়েছেন। দলনেতা ফু ওয়েই বলেছেন, 'যদি আমরা এবারকার এশীয় কাপে শিরোপা অর্জন করতে না পারি, তাহলে নিজের প্রতি আঘাত হানা হবে। সবাই ষ আমাদেরকে সন্দেহ করবে, আমাদের সামর্থ্য সম্পর্কেও সন্দেহ করবে। কিন্তু আমরা জয়ী হয়েছি, আমাদের সামর্থ্য স্বীকার করা হবে। আমরা ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ও আকল্য পাবো।'
দীর্ঘকাল ধরে নিম্ন পযায় থাকা চীনের নারী ফুটবল দলের সম্বন্ধে এবারকার এশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন অর্জন শুধু সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্য নয়, শিরোপা অর্জনের প্রক্রিয়ায় তাঁরা যে দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে দিয়েছেন, তাও খুবই প্রশংসনীয়। এবারকার চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথমে কয়েক প্রতিযোগিতায় চীনের নারী দলের সাফল্য ভালো ছিলো না। জাপান দল এবার তাঁদেরকে পরাজিত করেছে, এর আগে বহু বছর জাপান দল বার বার চীনা দলের কাছে হেরেছিল। সে পরাজয়ের পর বেশির ভাগ মানুষ চীনা দলে প্রতি আস্থা হারিয়েছিল, এবং কোচ মা লিয়াংসিং তখন পদত্যাগ করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন।
কিন্তু পরের প্রতিযোগিতায় চীনা দল প্রথমে উত্তর কোরিয়া দলকে ১:০ গোলে পরাজিত করে, এবং ফাইনালে ২ গোল করে সমতা এনেছে, তারপর টাই ব্রেকারে অস্ট্রেলিয়া দলকে পরাজিত করেছে। এ দু'টি প্রতিযোগিতায় চীনা দল নিজের দৃঢ় মনোবল দিয়ে জয় হয়েছে।
তাছাড়া, এবারকার এশীয় কাপে চীনের নারী ফুটবল দলের মা সিয়াওস্যু সর্বশ্রেষ্ঠ হাফ ব্যাক হয়েছেন।
এশীয় কাপের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এশীয় গেমস হবে আরেকটি পরীক্ষা। কিন্তু ২০০৭ সাল নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ও ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমস হবে চীনে অনুষ্ঠিতব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। মা সিয়াওস্যু বলেছেন, 'আগামী লক্ষ্য হবে এশীয় গেমস, আমরা আরেকটি শিরোপা অর্জনের চেষ্টা করবো। তারপর ২০০৭ ও ২০০৮ সালের প্রতিযোগিতা, এসব হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা।'
কোচ মা লিয়াংসিং বলেছেন, 'আমি মনে করি আমি, আমাদের দল, চীনের ফুটবল ফেডারেশন বা চীনা ফুটবলমোদীরা, কেউইশুধু এশীয় কাপে শিরোপা অর্জন করলেই সন্ত্তষ্ট হবে তা নয়।'
|