যুক্তরাষ্ট্র " ১ জুন " আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ও পাবলিক-দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি , সরকার শিশুদের শিক্ষার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় এবং শিশুদের গুণগত মান উন্নত করার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বৈধভাবে বসবাসকারী সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অবৈতনিক শিক্ষাদানসহ, শিক্ষার সকল ব্যয়ভার ও প্রয়োজনীয় শুল্ক দিয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রীর বাবা মা শুধু শিশুদের প্রয়োজনীয় বীমা খরচ বহন করে । বইপস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সকল জিনিসও সরকার সরবরাহ করে।
কিছু কিছুই স্কুল ছাত্রছাত্রীর কাছে অবৈতনিক করম, অনুশীলন কাগজ ইত্যাদি লেখাপড়ার বস্তু দেয়। কম আয়ের পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী দুপুরের খাবার বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে। এ ছাড়াও অনেক অধৈতনিক বিদ্যালয়ও ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার জন্যে বেছে নিতে পারে।
মার্কিন পাবলিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমের দৈনিক শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষা দেয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে প্রাথমিকভাবে মার্কিন পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে শপথ নেয় । সারা দিন ধরে , ছাত্রছাত্রীরা সবাই শপথ অনুষ্ঠানের কথা মনে রাখে। যা চিরদিন তাদের মনে থাকবে । শপথ নেবার পর, তারা মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত অথবা অন্য দেশপ্রেমের গান গায়।
জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাই হচ্ছে দেশপ্রেম ও মানাবক শিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীই ছোটবেলা থেকে নিজের দেশকে ভালবাসতে শেখে । মার্কিন পাবলিক বিদ্যালয় শিশুদেরকে সে দেশের সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিষয় পড়ানো হয় । এইভাবে শিশুরা দেশের মৌলিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে ।
তাছাড়াও, মার্কিন বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমের মনোভাব সৃষ্টি করার জন্যে ক্লাসের বিষয় নিয়ে গুরুত্বসহকারে শিক্ষা দেয় । স্কুলের সামাজিক ক্লাসের প্রধান বিষয় হচ্ছে মার্কিন ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক বিজ্ঞান। এর মধ্যে ছবিও আছে , যা শিশুরা ভালভাবে বুঝার জন্যে সহায়ক হয়। এমন অন্য ক্লাসের অনুশীলনেও দেশের ইতিহাস সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ।
মার্কিন বিদ্যালয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত । ছাত্রছাত্রীদের শুধু বইগুলোতের শিক্ষার পাশা পাশি নানা ধরণের উপায়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে উত্সাহ দেয়। এবং ক্রীড়া অনুশীলনেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার জন্য অনুপ্রেরনা যোগায়।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১.৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দৌঁড়াতে হয়। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর চুড়ান্ত রিপোর্টে লিখে দেয়া হয় ।
এছাড়াও, বিদ্যালয়গুলোতে বাস্কেট-বল, বেস-বল,ব্যয়াম ও সুইমিং ইত্যাদি ক্রীড়া শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু এগুলো খরচ দিতে হয়। তা ভবিষ্যতে শিশুদের জন্যে অনেক লাভ পারবে।
|