v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-08 16:29:11    
লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ মোকাবেলায় আরব দেশগুলোর সমন্বয় জোরদার

cri

 আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরী অধিবেশন ৭ আগস্ট লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ মোকাবেলার জন্য অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সমন্বয় জোরদার করার কথা উল্লেখ করেছেন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে আরব দেশগুলোর লেবানন সরকারকে সমর্থন করা, ইস্রাইলের আগ্রাসন বিরোধীতা করার বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে।

 আরব লীগের মহাসচিব অমর মুসা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছেন। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ফাউদ সিনিওরা এবং ১৭টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। তারা একবাক্যে জোর দিয়ে বলেছেন যে, তাঁরা লেবানন সরকারের উত্থাপিত লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ সমাধানের সাতটি প্রস্তাব পুরোপুরি সমর্থন করেন। এটা হচ্ছে লেবানন ও ইস্রাইলের সংকট সমাধানে আরব দেশগুলোর অভিন্ন অবস্থান।

 গত মাসের শেষ দিকে লেবানন ও ইস্রাইল সমস্যা সংক্রান্ত রোম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে লেবানন সরকার সাতটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে লেবানন ও ইস্রাইল পরস্পরের বন্দী বিনিময় করা, ইস্রাইলী বাহিনী ইস্রাইল ও লেবাননের সীমান্ত অঞ্চলের ইস্রাইলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সরে যাওয়া, যুদ্ধের দরুণ সৃষ্ট শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনা, ইস্রাইলের দখলকৃত সাবা কৃষিখামার জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে আনা, ইস্রাইল কর্তৃক লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল মাইন বসানোর মানচিত্র দাখিল করা, লেবাননের সরকারী বাহিনীর সারা দেশ নিয়ন্ত্রণ করা, লেবাননে মোতায়েন জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী জোরদার করা, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে লেবানন ও ইস্রাইলের মধ্যে ১৯৪৯ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধিবিরতি চুক্তি কার্যকর করা।

 এবারকার আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরী অধিবেশনে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আর ফ্রান্স যৌথভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাখিল করা লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ সমাধান সংক্রান্ত খসড়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই খসড়াটি স্পষ্টভাবে ইস্রাইলের পক্ষপাতীত্ব রয়েছে বলে অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, আরব লীগের মহাসচিব, আরব লীগের পরিষদের পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশ কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ নিয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলকে অবিলম্বে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পাঠাবে। তাঁরা নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য এবং মহাসচিব কফি আনানের কাছে আরব দেশগুলোর মতামত অবহিত করবেন এবং এই খসড়া সংশোধনের জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন। প্রতিনিধি দল নিরাপত্তা পরিষদকে জানাবে যে, লেবাননের স্বার্থ উপেক্ষা করে কোন সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব অনুমোদিত হবে না, না হলে লেবানন ও ইস্রাইলের পরিস্থিতি আরো জটিল হবে এবং গোটা মধ্য প্রাচ্য অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, যদিও এবারকার আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরী অধিবেশনে ব্যাপক আলোচনার পর তারা নীতিগতভাবে মতৈক্যে পৌঁছুতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ সমাধানের ব্যাপারে এর ভূমিকা খুব সীমিত। প্রথমতঃ লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষের অবসানে যুক্তরাষ্ট্র আর ইস্রাইলের প্রধান ভূমিকা পালন করা। সংঘর্ষ শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সর্বদাই ইস্রাইলের সামরিক অভিযানকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছে এবং ইস্রাইলের মাধ্যমে লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠন নিরস্ত্রীকরণের অপচেষ্টা করেছে, যাতে লেবাননের সমর্থক সিরিয়া আর ইরানকে দুর্বল করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা যায়। সুতরাং আরব দেশগুলোর পক্ষে লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুব কঠিন। দ্বিতীয়তঃ সিরিয়া ছাড়া অন্যান্য আরব দেশগুলোর হিজবুল্লাহ সংগঠনের উপর তেমন প্রভাব নেই। যদিও এই দেশগুলো হিজবুল্লাহ-এর আচরণের উপর অসন্তুষ্ট নয়, কিন্তু কোন উপায় নেই।

 জনসাধারণ প্রত্যাশা করেন , আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবারকার আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরী অধিবেশনে লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ সমাধানের জন্য চালানো প্রয়াসের উপর বাস্তব ও সক্রিয়ভাবে সাড়া দেবে, যাতে স্থায়ীভাবে লেবানন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষ সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যায়।