v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-08-04 15:29:41    
মৌমাছি মেয়ে ছেন চিন

cri
    চীনের নিংসিয়া হুই জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কুইউয়ান শহর এক খরা জায়গা । সেখানে খুব কম বৃষ্টি হয় । জুন মাসে কুইউয়ান জেলার মাঠে মাঠে রঙবেরঙয়ের ফুল ফুটে,এই সময় মৌমাছি শ্রমিকদের সবচেয়ে ব্যস্ত মৌসুম ।এই সব মৌমাছি শ্রমিকদের মধ্যে এক মেয়ে আছে,তার গল্পে লোকেরা যেমন মুগ্ধ হন তেমনি উত্সাহিতও হন ।

    এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পর ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ছেন চিন বাড়ি থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মৌমাছি ফার্মে দিন মজুরি হিসেবে কাজ করতে শুরু করে ।

   ছেন চিনের পরিবার ধনী না হলেও তারা সুখ-শান্তিতে জীবনযাপন করত । ছেনচিনের স্মৃতিতে যখন বাবা ছেন ইয়াওউ কৃষি-জমির কাজ শেষ করে যখন বাড়ি ফিরে তাদের ভাইবোন দুজনের সঙ্গে খেলাধুলা করতেন তখন ছিল তার সবচেয়ে বেশি আনন্দের সময় । সাধারণ সময় বাবা তাদের ভাইবোন দুজনের পড়াশোনার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন । পক্ষান্তরে ছেনচিন ও তার ভাই বাবার আশাকে বিফল করেনি । প্রাথমিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল পযন্ত ভাইবোন দুজন ভাল করে লেখাপড়া করেছে।

    আনন্দের দিন তাড়াতাড়ি পার হয়ে গেলো । ২০০০ সালে ছেনচিনের দাদা ৯বছর ধরে রোগে ভোগার পর মারা যান । সুখ আনন্দের এই পরিবারটি প্রথমবারের মত স্বজন হারানোর দুঃখ-দুর্দশায় নিমজ্জিত হলো । ২০০২ সালে ছেনচিনের পরিবার ধীরেধীরে দুঃখের মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং কয়েক হাজার রেনমিনপির ঋণ পরিশোধ করেছে । কিন্তু এসময় বাবা ছেন ইয়াওউ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ।

    বাবার মৃত্যুতে ছেনচিনের পরিবারে ধ্বস নেমে আসে । ছেনচিনের মা স্যু পিং ছোটো বেলায় হাল্কা হিস্টীরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । দীর্ঘকাল ধরে সুখের পারিবারিক জীবনযাপনে তার হিস্টীরিয়া কখনোই হয়নি । কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার পর তার শুধু হিস্টীরিয়া বারবার হচ্ছে তা নয় বরং তার গুরুতর মানসিক রোগও দেখা দেয় । ছেনচিনের বৃদ্ধ দাদীমা ব্যথায় আর বিছানা থেকে উঠতে পারেননি । ছেনচিনের বাবা মারা যাওয়ার ৪ মাস পর ছেনচিনের দাদীমাও মৃত্যুবরণ করেন।

    সুখের পরিবার এখন ছিন্নবিচ্ছিন্ন । ছেনচিন এখন এই পরিবারের স্তম্ভে পরিণত হয়েছে । ছেনচিন একদিকে পড়াশুনা করে অন্য দিকে মা ও ছোটো ভাইকে দেখাশোনা করার দায়িত্বভার গ্রহণ করে । স্কুলে পড়াশুনা করার সময়ে ছেনচিনের অনুরোধে প্রতিবেশীরা তার মাকে দেখাশুনা করেন আর ছেনচিন ছুটির সময়ে প্রতিবেশীদের কৃষিজমির কাজ করতে সাহায্য করে ।

    ব্যস্ত ও ক্লান্ত হলেও ছেনচিনের লেখাপড়া পুরোদমে চলতে থাকে ।ভালে নম্বর নিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল পাশ করে সে কুইউয়ান শহরের ২নং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হয় ।

    উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ছেনচিনের স্কুল ফি অনেক বেড়েছে , মা'র ওষুধ, ছোটো ভাইর দৈনন্দিন জীবন টাকাপয়সা প্রয়োজন । তাই ছেনচিন ছুটির সময়ে দিন মজুরি করে উপার্জন করে । সে উপার্জন করা টাকাপয়সা দিয়ে মার ওষুধ কিনে দেয় এবং ছবি আঁকতে পছন্দ করার ভাইকে চিত্রকরের তুলি কিনে দেয় ।

    কুইউয়ান শহরের ২ নং মাধ্যমিক স্কুলের "আশা প্রকল্প" অফিসের শিক্ষকরা ছেনচিনের পারিবারিক অবস্থা জানার পর তাকে কিছু আর্থিক সাহায্য দেয় । সহপাঠীরাও তাকে বেশ কয়েকবার আর্থিক সাহায্য করে । ছেনচিন বলে,আমি নিজেকে অত্যন্ত সুখী বলে মনে করি । শিক্ষক ও সহপাঠীদের ভালবাসায় আমি এক কষ্টের সময় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি ।

    সবাইর সাহায্য পেয়ে ছেনচিনের বোঝা অনেকটা কমেছে । হয়ত মেয়ের এই আনন্দের প্রভাবে ছেনচিনের মার অবস্থা অনেক ভাল হয়েছে । ব্যস্ততার মধ্যেও ছেনচিন তার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ শেষ করেছে । এ বছর ছেনচিন সহপাঠীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষায় অংশ নেয় ।তার পরীক্ষার ফলাফল নিংসিয়া হুই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সবার চেযে বেশি ।

    ছেনচিন থিয়েনচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে অনেক টাকাপয়সা লাগে ।তাই সে ব্যাংকের ঋণ নেবে এবং স্কুল খোলার আগে মৌমাছি ফার্মে দিন মজুরি করে থিয়েনচিন যাওয়ার ট্রেনের টিকেট কেনার অর্থ সংগ্রহ করবে । ছেনচিন বলেছে,সেসত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী । কারণ এটা শুধু তার পরিবারের আশা তা নয়,এটা তাকে সাহায্য করেছে এমন সহানুভূতিপূর্ণ লোকদের আশাও । ছেনচিনের একটা গোপন আকাঙ্ক্ষাও আছে যে,পরবর্তীকালে তার মতো ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে সে সাহায্য করবে ।

    দিনে কোন সময়ে ফল খাওয়া উপকার হয় ?

    সাধারণ সময় লোকেরা মনে করেন যে,খাওয়ার পর ফল খেলে ভাল ।তারা মনে করেন,এ সময় ফল খাওয়া যেমন বেশি পুষ্টি পাবে তেমনি হজমও সাহায্য করতে পারে ।কিন্তু পুষ্টিগত দিক থেকে বলতে গেলে খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের অনুকূল হবে না এবং ধীরেধীরে হজনের ক্ষমতা গোলমাল হতে পারে । তাহলে কোন সময়ে ফল খাওয়ার উত্তম সময় ?এক,খাওয়ার পরের ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে ফল খাওয়া মানুষের হজম ও গ্রহণের পক্ষে উপকার হবে । দুই,খাওয়ার আগে২০-৪০ মিনিট পূর্বেকিছু ফল খাওয়া ওজন কমানো লোকদের পক্ষে সহায়ক হবে এবং ফলের সুগার সহজে গৃহিত হয়ে শরীরের রক্ত ও ওক্সিজেনের প্রয়োজন পূরণ করতে পারবে ।