শুরুতেই বলে রাখা প্রয়োজন, কেবল ছোটো-খাটো শারীরিক সমস্যা হলে চীনা ঐতিহ্যিক চিকিত্সা পদ্ধতিতে মূলত ভেষজ পথ্য তালিকার সাহায্যে এসব সমস্যার প্রতিকার সম্পর্কে এখানে সামান্য তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। তার জন্যে চীনের বিদেশী ভাষা প্রকাশনালয় থেকে ইংরেজী ভাষায় মূদ্রিত Eating your way to health বইটির সাহায্য নেয়া হয়েছে। বইটির বাংলা নাম বোধ করি বলা যায়: যা যা খেলে সুস্থ থাকা যায়। বইটি আসলে নিত্যনৈমিত্তিক ছোটোখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে উপশমের উদ্দেশ্যে কিছু পথ্য থেরাপী বা ইংরেজীতে Dietotherapy নিয়ে আলোচনা করেছে।
চলুন তালে শুরু করা যাক। শুরুতে "সর্দির" সমস্যাটিকেই বেছে নেয়া হয়েছে। কারণ, কী গরম, কী শীত-যে কোনো ঋতুতেই এ সমস্যার উদয় হতে পারে। গরম থেকে হঠাত্ ঠান্ডায় থাকলেও এমনটি হয়। চীনা চিকিত্সা শাস্ত্রে সর্দিকে উত্সভেদে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছেঃ ঠান্ডা হাওয়া প্রকৃতির এবং অন্যটি হচ্ছে গরম হাওয়া প্রকতির।
আজকের আলোচ্য ঠান্ডা হাওয়া প্রকৃতির সর্দি। এক্ষেত্রে রোগের লক্ষনগুলো হচ্ছে জ্বর ও শীত শীত অনুভূতি, তবে ঘাম নেই। মাথাব্যথা, সারা শরীরে ব্যথা, নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে পানি পড়া, জিভ সাদা হয়ে যাওয়া এবং নাড়ীর স্পন্দনের সামান্য বৃদ্ধি। এবারে ব্যবস্থাপত্র বা সরল ইংরেজীতে প্রেসক্রিপশন: ব্যবস্থাপত্র দু'প্রকারের।
প্রথমতঃ
আদা-সেদ্ধ ও গুড়ের সিরাপঃ পঁচিশ গ্রাম পরিষ্কার আদার ছোটছোট টুকরো একটি বাটিতে রাখুন। তারপর ফুটন্ত পানি বাটিতে ঢালুন। মনে রাখবেন ফুটন্ত পানি, ফুটানো ঠান্ডা পানি নয়। মিশ্রণটি পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। সব শেষে আদার সমপরিমান অর্থাত্ ২৫ গ্রাম পরিষ্কার গুড় আদাজলে মিশিয়ে দিন।
স্রষ্টা না করুন, যদি উল্লেখিত লক্ষণগুলো থাকে, তবে এক্ষুনি এই মিশ্রনটি সেবন করুন এবং বিছানায় আরাম করে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘাম দিয়ে আপনার জ্বর, সর্দি ব্যথা বিদেয় হবে।
|