(চেং চিয়ে আর ইয়ান চি) চীনের টেনিস উন্নয়নের সময় লম্বা না, গ্র্যান্ডস্ল্যামের চ্যাম্পিয়ন চীনা খেলোয়াড়দের কাছে অনেক দূর। কিন্তু ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পযন্ত, সারা বিশ্বের টেনিসপ্রেমীরা হঠাত্ উদ্ধার করেছেন যে, চীনা খেলোয়াড় দোরগোড়ায় গ্র্যান্ডস্ল্যাম। স্থানীয় সময় ৯ জুলাই সমাপ্ত ব্রিপেনের উইম্বলডন ওপেনে নারীদের দ্বৈতের ফাইনালে চীনা খেলোয়াড় চেং চিয়ে আর ইয়ান চি ২:১ সেটে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেন, চীনের জন্যে প্রথম উইম্বলডন ওপেনের চ্যাম্পিয়ন অর্জন করেন। এটা তাঁরা এ বছরের প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়া ওপেনের পর দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্ল্যামের চ্যাম্পিয়ন হন। এবারকার অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের কাছে চীনা খেলোয়াড়রা গ্যান্ডস্ল্যামের চ্যাম্পিয়ন অর্জন করার সম্বন্ধে কিছু বলবো।
২০০৪ সাল আথেনস অলিম্পিক গেমসে চীনা খেলোয়াড় লি থিং আর সুন থিয়ানথিয়ান টেনিসে নারীদের দ্বৈতের চ্যাম্পিয়ন হন, সারা বিশ্ব বিস্ময় প্রকাশ করা হয়, এবং চীনের টেনিসের উন্নয়ন ও চীনা টেনিস খেলোয়াড়দের সামর্থ্য দেয়া যায়। কিন্তু পরের দুই বছরে চীনা খেলোয়াড়দের উন্নয়ন আরো দ্রুত, শুধু দুই বছর অলিম্পিক গেমসের পযায় থেকে গ্র্যান্ডস্ল্যামের পযায়ে উন্নত হয়।
গ্র্যান্ডস্ল্যাম হল, সারা বছরের অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেনের উইম্বলডন ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। এ চারটি ওপেন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচী, সর্বোচ্চ পযায়ের ওপেন টেনিস। গত জানুয়ারী মাসে অস্ট্রেলিয়া ওপেনে চীনা খেলোয়াড় চেং চিয়ে আর ইয়ান চি নারীদের দ্বৈতের চ্যাম্পিয়ন হন, তারপর তাঁরা পেশাগত নারী টেনিস ফেডারেশনের এক নম্বর পযায়ের জার্মানী ওপনে চ্যাম্পিয়ন হন, এবং বিশ্বের দ্বৈতের প্রথম ১০ নম্বর অবস্থানে প্রবেশ করেন। গত মে মাসে ফ্রান্স ওপেনে তাঁরা সেমি ফাইনালে উঠেন। সদ্য সমাপ্ত উইম্বলডন ওপেনে তাঁরা আবার চ্যাম্পিয়ন হন, চীনের খেলোয়াড়দের উইম্বলডন ওপেনের সর্বশেষ্ঠ সাফল্য সৃষ্টি করেন। বর্তমানে, চীনা খেলোয়াড়রা গ্র্যান্ডস্ল্যামের সংগঠকরা ও বিশ্ববিখ্যাত্ টেনিস খেলোয়াড়দের কাছে পরাচিত হন।
ব্রিটেনে সি আর আই'র সংবাদদতা চাও ইয়াং বলেছেন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ছেনাল 'ইউরোপ ক্রীড়া' বলেছে, 'চেং চিয়ে আর ইয়ান চি চীনের সামর্থ্য প্রদর্শন করেন। আগের ফ্রান্স ওপেনে তাঁরাও ভালো সাফল্য অর্জন করেন, চীনা ক্রীড়াবিদদের টেনিসের নারী দ্বৈতে প্রবল সামর্থ্য আছে। চীনা খেলোয়াড়রা বিশ্ব টেনিসের নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন, তাঁদের সুবিধা বেড়ছে।' উইম্বলডন ওপনের টেনিসপ্রেমী বলেছেন, 'তাঁরা খুবই চমত্কার খেলেন!'
এ দুই বছরে চীনা খেলোয়াড়দের উন্নয়নের সম্বন্ধে চীনের জাতীয় নারীদের টেনিস দলের কোচ চিয়াং হংওয়েই প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে আশি করেন তাঁরা পরের প্রতিযোগিতায় এ প্রবল অবস্থা বজায় রাখেন, তিনি বলেছেন,
'দ্বৈত বিশ্বের প্রথম ১০ নম্বর অবস্থানে উঠেছে, এককও বিশ্ব অবস্থানের ৩০ নম্বর হয়েছে, এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেঙ্গে। এ ভালো প্রবনতা রাখলে, ভবিষ্যত্ প্রতিযোগিতায় ভালো সাফল্য অর্জিত হবে।'
চীনা ক্রীড়াবিদরা এত কম সময়ে গ্র্যান্ডস্ল্যামের চ্যাম্পিয়ন অর্জন করার কারণ হল পেশাগত খেলোয়াড়রা সার্বিনক ও প্রচুর নারীদের পেশাগত টেনিস ফেডারেশের পেশাগত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বজায় রাখা হয়। এর আগে আন্তর্জাতিক টেনিস মহল চীনা ক্রীড়াবিদদের প্রযুক্তি ভালো, কিন্তু অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পযন্ত পেশাগত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চীনা খেলোয়াড়দের দোড়গোড়ায় গ্র্যান্ডস্ল্যাম, সারা বিশ্ব তাঁদের সামর্থ্য বুঝতে পেলেছে। বর্তমানে বিশ্ব এক নম্বর সুইডেনল্যান্ডের বিখ্যাত্ খেলোয়াড় মার্টিনা হিনজিসসহ বহু বিশ্ববিখ্যাত্ খেলোয়াড় চীনা খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলন করতে ইচ্ছুক।
(লি না)
বর্তমানে চীনের টেনিস গ্র্যান্ডস্ল্যামের অবস্থান অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু চীনের টেনিস মহল চীনা খেলোয়াড়দের উন্নয়নের ওপর আর সজগ দৃষ্টি রাখে। কোচ চিয়াং হংওয়েই জোর দিয়ে বলেছেন, কোনো মানুষ মনে করাবে যে চীনা খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন অর্জন করা হল একটি অদূষ্টপূর্ব ঘটনা। তিনি বলেছেন,
এর আগে মানুষ সবসময় বলেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন অর্জন করা হল একটি অদূষ্টপূর্ব ঘটনা। বর্তমানে আমরা অদূষ্টপূর্ব ঘটনা বাস্তবিকতায় পরিবর্তন করবো, বাস্তবিকতা সত্যি সামর্থ্য পরিবর্তন করবো।
এ বছরের কয়েকটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মাধ্যমে চীনা খেলোয়াড়রা বিশ্বের কাছে তাঁদের সত্যি সামর্থ্য প্রদর্শন করেন। তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে পেইচিং অলিম্পিক গেমসে ভালো সাফল্য অর্জন করা, এবং আরো বেশি গ্র্যান্ডস্ল্যামের চ্যাম্পিয়ন অর্জন করা।
|