v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International Friday Apr 11th   2025 
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-07-28 20:56:32    
পটার্স হুইল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া স্কুলের ক্রীড়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার নুরুল ইসলামের সাক্ষাত্কার

cri
    সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন বাংলা বিভাগের কর্মী শুয়ে ফেই ফেই।

    প্রশ্নঃ অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার নুরুল ইসলাম আপনার কাছে জানতে চাই পোটার্স হুইলের সঙ্গে আপনি কীভাবে যুক্ত হলেন? আপনি বাংলাদেশের নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখানে এসে কেমন লাগছে?

    উঃ ধন্যবাদ আপনাকে। স্কুল-কলেজে ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রীড়াবিদ হিসাবে আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর টেনিস খেলার সুযোগ আসে। বিশেষ করে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তত্কালীণ যুগোস্লাভিয়ায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ গ্র্যাজুয়েশন করার সময় ইউরোপে টেনিস খেলার সুযোগ পাই । পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশের বিভিন্ন টেনিস টুর্নামেন্ট খেলে অনেক ট্রফি পেয়েছি। এমন কি ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পেইচিংয়ে নেভাল এটাশে থাকার সময় পেইচিং মিলিটারি এটাশে কোরে বরাবর চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এ সময় পটার্স হুইলের প্রতিযোগিতা জনাব মাইকেল ইহুর সঙ্গে পেইচিংয়ে টেনিস প্রমোশন বা প্রচার সম্পর্কে মত বিনিময় হয়। ২০০৪ সালে নেভাল এটাশের দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরে গেলেও পেইচিংয়ের জন্য মন বিচলিত হতো। বিশেষ করে যখন মনে পড়তো জনাব মাইকেল ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের দান গেমের মাধ্যমে টেনিস শেখার আমন্ত্রণ জানাতেন। তখন জানুয়ারী ২০০৬ সাল থেকে নৌ বাহিনীর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পুনরায় পেইচিংয়ে ফিরে আসি। সুন্দর নিষ্পাপ শিশুদের সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পাচ্ছি এবং ভালো লাগছে।

    প্রশ্নঃ পোটার্স হুইলের কাজকর্ম ও লক্ষ্য সম্পর্কে একটু পরিচয় দেবেন। এখানে আপনার দায়িত্ব কি?

    উঃ পোটার্স হুইল সম্পর্কে বলার শুরুতেই এর নামকরণ সম্পর্কে বলা প্রয়োজন। আমরা জানি একজন পটার বা বাংলা ভাষায় যাকে বলে কুমার , তার হাতের কারুকার্য ও একস্রতা দিয়ে হুইল বা থাকে বলে চাকতি , তা থেকে অতি উত্কৃষ্ট পট বা পাত্র তৈরি করেন। তেমনি আমাদের প্রশিক্ষণে একটি নিষ্পাপ শিশুকে তার প্রতিভা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত করার পুর্ণাঙ্গ মানুষ করার সুযোগ রয়েছে। এ মনোভাব থেকেই পটার্স হুইলের নামকরণ করা হয়েছে।

    এ  প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডকে চার ভাগে দেখা যেতে পারে। প্রথমতঃ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রি কিন্ডার গার্টেন থেকে "এ" লেভেল পর্যন্ত ওয়াকমেডো ইউএসএ কর্তৃক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত। ওয়াকমেডো ইউএসএ "এ" লেভেল পাশ করার পর গ্র্যাজুয়েশন সাটিফিকেট প্রদান করে। এছাড়া আমেরিকা এবং ইউরোপের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট স্কলার শিপের ব্যবস্থা করে দেয়।

    দ্বিতীয় কার্যক্রম হলো প্রফেশনাল টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করা। টেনিস প্রোগ্রম শুরু হয় ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে তিন মাসের প্রমোশন টেনিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে এসব ছোট ছোট শিশুরা ১০০টি দান গেমের মাধ্যমে টেনিস খেলার উপযুক্ত শারিরীক অবকাঠামো এবং টেনিস বল, ব্যাকেট ও শারিরীক সমন্বয় গড়ে তোলার সুযোগ পায়। প্রমোশন প্রোগ্রাম শেষে টেনিস খেলায় আগ্রহী ও সক্ষম ৬ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের মিনি টেনিস প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচন করা হয়। এ প্রোগাম ৬ স্তরে বা ৬ ধাপে সমাপ্ত হয়। প্রতি স্তর তিন মাসের /১৮ মাস পর মিনি টেনিস প্রোগ্রাম শেষে ছেলে-মেয়েরা স্ট্যান্ডার্ড টেনিস বল দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড কোর্টে খেলার দক্ষতা অর্জন করে। ৯ থেকে ১৬ বছরের যে সব ছেলেমেয়েরা প্রদেশনাল টেনিস খেলোয়াড় হবার সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তাদেরকে উইনার টেনিস প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচন করা হয়। লন টেনিস এসোসিয়েশন, ইউএসপিটি আর অথবা ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশনের অতি উচ্চমানের কোচ দিয়ে প্রতিদিন ৫ ঘন্টা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। স্থানীয় বিভিন্ন টেনিস টুর্নামেন্টের পাশাপাশি বছরে ২ মাস আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। উপযুক্ত প্রফেশনাল টেনিস খেলোয়াড়দের জন্য ওয়াকমেডো ইউএসএ অথবা ইউরোপের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর টেনিস প্রশিক্ষণের জন্য স্টুডেন্ট স্কলার শিপের ব্যবস্থা করে দেয়।

    তৃতীয় সুবিধা রয়েছে গলফ প্রশিক্ষণের। এ কর্মসূচি ৩ বছরের। চতুর্থত পটার্স হুইল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের সুবিধা। এ ক্লাবে প্রায় ৫০ জনের বেশি মেম্বার রয়েছে। ক্লাবের , দলীয় বা পারিবারিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পিকনিক করার , অফিস মিটিং, কিংবা সেমিনার আয়োজন করার ও হেলথ কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা রয়েছে।

    প্রশ্নঃ আপনি চার বছর পেইচিংয়ে ছিলেন। সে সময়কার এবং এখনকার চীনে খেলাধুলার মানের কোনো পার্থক্য আছে কি?

    উঃ অবশ্যই। চীন প্রযুক্তি সুবিধা নিয়ে প্রতিনিয়ত খেলাধুলার মান উন্নত করছে। বিশেষ করে ২০০৮ সালের অলিম্পিককে লক্ষ্য করে চীনের সব খেলাধুলায় উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ২০০৮ সালের অলিম্পিককে এর একটি বিপ্লব দেখা যাবে।

    প্রশ্নঃ চীনে আপনার স্মরণীয় অভিজ্ঞতা কি?

    উঃ প্রায় সাড়ে ৪ বছর চীনে থাকা অবস্থায় অভিজ্ঞতা অনেক। তার মধ্যে প্রেসিডেন্ট জিয়াং ছেমিন ও হু চিন থাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ ও ছবি তোলা আমার জীবনে স্মরণীয়।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China