v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-07-28 17:07:05    
চীন ও জাতিসংঘের সংস্কার

cri
    আন্তর্জাতিক কর্মকান্ডে জাতিসংঘ যে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করছে চীন বরাবরই তেমন মনে করে। জাতিসংঘের সংস্কার, তার ভূমিকা ও নিরপেক্ষতা জোরদার করায় চীন বরাবরই সমর্থন করে যাচ্ছে। যাতে তা বিশ্বের হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর হয়।

    জাতিসংঘের সংস্কার সমস্যা অনেক দিন ধরে রয়েছে। স্নায়ু যুদ্ধ শেষের পর জাতিসংঘের সংস্কার সংক্রান্ত বিষয়টি আলোচ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এতে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান চীনের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিয়েন চি শেন-সহ জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন। তারা বিশেষ করে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ এবং জাতিসংঘের সংস্কার ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে গবেষণা করবে। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে এই বিশেষ কমিটি " আরো নিরাপদ পৃথিবী-আমাদের অভিন্ন দায়ীত্ব" নামক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্ট ১০১টি সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে এবং দুটি পদ্ধতি জুড়ে দেয়া হয়েছে। পদ্ধতি এক, আরো ৬টি ভেটো অধিকার ছাড়া স্থায়ী সদস্য দেশ এবং ৩টি অস্থায়ী সদস্য দেশ বাড়ানো। পদ্ধতি দুই, ৮টি চার বছর মেয়াদী স্থায়ী সদস্য দেশ এবং দুই বছর মেয়াদী একটি স্থায়ী সদস্য দেশ বাড়ানো।

    চীন এ প্রসঙ্গে বলেছে, রিপোর্টটি পর্যলোচনা করে এই কমিটি সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় করবে। চীন আরো বলেছে, যে কোনো সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘের সদস্য দেশের সঙ্গে গণতান্ত্রিক উপায়ে সার্বিক আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপক ঐকমত্য অর্জন করা উচিত। চীনের আশা, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আরো সম্প্রসারিত হবে বং তার প্রতিনিধিত্ব, বিশেষ করে ব্যাপক উন্নয়নমুখী দেশের প্রতিনিধিত্ব আরো জোরদার হবে।

    ২০০৫ সালের ২১ মার্চ আনান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে সংস্কার রিপোর্টটি পেশ করেছেন।

    ২০০৫ সালের ৬ এপ্রিল ৫৯তম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আনানের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার সময় চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ওযাং কুয়াং ইয়া চীনের মতামত ব্যাখ্যা করেছেন। চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সমর্থন করে কিন্তু তার জন্য সময় সীমা বেঁধে দেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে না। ব্যাপক ঐকমত্য অর্জিত না হলে প্রস্তাব নিয়ে ভোটদানে চীন অংশ নেবেনা।

    মে মাসে জার্মানী, জাপান, ভারত ও ব্রাজিলকে নিয়ে গঠিত "চার দেশ গোষ্ঠী" একটি খসড়া কাঠামো প্রকাশ করেছে। তারা ৬টি স্থায়ী সদস্য দেশ এবং ৪টি অস্থায়ী সদস্য দেশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। "চার দেশ গোষ্ঠী" ৮ জুন জাতিসংঘের সদস্যদের কাছে খসড়া বিতরণ করেছে এবং জুন মাসের শেষ দিকে তা সাধারণ পরিষদে পেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

    এ প্রসঙ্গে চীনের মতামত হলো জাতিসংঘের সংস্কার ব্যাপক এবং বহুমুখী হওয়া উচিত। যে প্রস্তাব ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করা উচিত। ব্যাপক সমর্থন না পাওয়া প্রস্তাবগুলো নিয়ে আরো আলোচনা করা প্রয়োজন।

    ২০০৫ সালের ৭ জুন চীন সরকার "জাতিসংঘের সংস্কার বিষয় চীনের অভিমত সংক্রান্ত" দলিল প্রকাশ করেছে। চীন জাতিসংঘের সদস্য দেশের মধ্যে প্রথম দেশ যারা নিজের অভিমত প্রকাশ করেছে। এবং প্রথম দেশ হিসেবে সরকারি দলিলের মাধ্যমে সার্বিকভাবে চীনের মতামত ও পরামর্শ প্রকাশ করেছে। দলিলের চারটি প্রধান অংশ রয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়, আইন ব্যবস্থা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এবং জাতিসংঘের ভূমিকা জোরদার করার ওপর চীনের অভিমত সার্বিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।