v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-07-26 09:29:32    
মাছ খাওয়ার কিছু সহায়কতা

cri
    ২০ শতাব্দীর শেষ দিকে জাপান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘআয়ু বিশিষ্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে । পুরুষদের গড়পড়তা বয়স ৭৭.৭২ বছর এবং নারীদের গড়পড়তা বয়স হচ্ছে ৮৪.৬ বছর । এর প্রধান কারণ হল তাঁদের দীর্ঘকাল ধরে মাছ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে । এর জন্যে সবসময় মাছ খাওয়া আপনাদের জন্যেও স্বাস্থ্য সহায়ক হবে ।

    ক. বেশি মাছ খেলে মন ভাল হবে

    হল্যান্ডের বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে জানা গেছে,প্রত্যেক সপ্তাহে একবার মাছ খাওয়া লোকেরা কয়েকবার মাছ খাওয়া লোকদের চেয়ে বিষন্নতা রোগে আক্রান্তের হার ৩১% বেশি । যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপোর্টে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিষন্নতা রোগে আক্রান্ত লোকের হার ৫% । কিন্তু জাপানে এই রোগে আক্রান্ত লোকের হার শুধু ০.১% । ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞরা ১৬০০জন ৬৮ বছরও তার বেশি বয়স্ক লোকের সাত বছরব্যাপী খাবারের জরীপ থেকে জানা গেছে, প্রত্যেক সপ্তাহে একবার মাছ খেলে ,তাঁদের নির্বুদ্ধিতা রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার স্বাভাবিকভাবে কমে যায় । বিশেষজ্ঞদের গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, মাছের শরীরে একধরনের বিশেষ উপাদান রয়েছে ,এর নাম অমিগা-৩ । এটা মানুষের মাথায় এক ধরনের সুখী উপাদানের উত্পাদনে সাহায্য করে । বেশি মাছ খেলে মানুষের শরীরে সেই সুখী উপাদান বেশি থাকবে । যারা মাছ কম খায়, তাদের বিষন্নতা ও নির্বুদ্ধিতা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।

    খ. মাছ খেলে হৃদরোগ ও রক্তনালীর রোগ প্রতিরোধ করা যায়

    বর্তমানে হৃদরোগ ও রক্তনালীর রোগ মানুষের জীবন বিপন্ন করার প্রধান কারণ । যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র বলেছে যে, প্রত্যেক সপ্তাহে একবার মাছ খেলে বৃদ্ধকালে হৃদরোগ ও রক্তনালীর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৪% কমে যাবে । জাপানে এ দু'টি রোগে আক্রান্ত হওয়া লোকের সংখ্যা ইউরোপীয় দেশের চেয়ে অনেক কম । এর প্রধান কারণ হল জাপানীরা সবসময় মাছ খায় এবং মাছের মধ্যে বিশেষ উপাদান অমিগা -৩ শরীরের রক্তমেদ সমন্বয় করা, হৃদরোগ ও রক্তনালীর রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সহায়ক হয় ।

    ঘ. টাটকা মাছ খেলে ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়

    সুইডেনের বিশেষজ্ঞদের গবেষণা অনুযায়ী, মাছ না খেলে ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ মাছ খাওয়া লোকদের চেয়ে দুই বা তিন গুণের বেশি । কিন্তু শুষ্ক মাছ সবসময় খেলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে । শুধু টাটকা মাছ খেলে ক্যাসার প্রতিরোধ করা যায় ।

    তাছাড়া গবেষণা থেকে জানা গেছে, টাটকা মাছের মধ্যে অমিকা-৩ উপাদান লোকদের সন্ধিবাত প্রতিরোধে সক্ষম । চিকিত্সকরা মনে করেন বেশী বয়স্ক লোকদের শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধের সামর্থ্য কমে যাচ্ছে, এর জন্যে প্রত্যেক সপ্তাহে এক বা দুই বার টাটকা মাছ খাওয়া ভালো ।