২৪ জুলাই লেবানন-ইস্রাইল সংঘর্ষের ১৩তম দিন। লেবাননে প্রবেশকারী ইস্রাইলের স্থল বাহিনী অব্যাহতভাবে উত্তরাঞ্চলে গিয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনের সশস্ত্র শক্তির সঙ্গে তুমুল গুলি বিনিময় করেছে। ইস্রাইলের জঙ্গী বিমানগুলো লেবাননের দক্ষিণাংশের টায়ার অঞ্চল এবং একটি ফিলিস্তিনী শরণার্থী ক্যাম্পের উপর একাধিক বার বোমাবর্ষণ করেছে।
২৪ জুলাই লেবাননের সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, হিজবুল্লাহ সংগঠন সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে জিম্মী বিনিময়ের ব্যাপার নিয়ে ইস্রাইলের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ফৌয়াদ সিনিওরা জোর দিয়ে বলেছেন, লেবানন ও ইস্রাইলের সংকট সমাধানের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ইস্রাইলের আটককৃত লেবাননীকে মুক্ত করা, ইস্রাইলী বাহিনীর দখলকৃত শেবা কৃষিখামার থেকে সরে যাওয়া এবং লেবাননের ভূভাগে স্থল মাইন বসানোর মানচিত্র দাখিল করা। ইস্রাইলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি পুনরায় ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত হচ্ছে লেবানন গ্রেফতারকৃত ইস্রাইলী সৈন্যকে মুক্ত করা, হিজবুল্লাহ সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করা এবং লেবানন সরকারকর্তৃক লেবাননের দক্ষিণাংশে বাহিনী মোতায়েন করা।
একই দিনে ইস্রাইল সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজ্জা রাইস বলেছেন, সংকট সমাধানের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫৫৯ নং সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতেই হবে অর্থাত্ হিজবুল্লাহ সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করা এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে লেবানন সরকারী বাহিনী মোতায়েন করা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন লেবাননে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের গুরুত্বের কথা আরেকবার ঘোষণা করেছে । ইরান সরকার বলেছে, ইরান যাবতীয় বৈধ ও কূটনৈতিক পদ্ধতির মাধ্যমে লেবানন ও ইস্রাইল সংঘর্ষ অবসানের চেষ্টাকে সমর্থন করে যাবে , তবে তারা সৈন্য পাঠাবে না।
|