২০০৬ সাল জার্মানী বিশ্বকাপ সমাপ্ত হয়েছে, সার্থক অনুষ্ঠান বিভিন্ন পক্ষের প্রশংসা অর্জিত হয়েছে। যদিও চীনা দল এবারকার বিশ্বকাপে যোগ দেয় নি, কিন্তু চীন এবারকার বিশ্বকাপ থেকে চীনের ফুটবল এবং ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি কাজের জন্য অভিজ্ঞতা পেয়েছে।
চীনা ফুটবল দল ২০০২ সাল দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপান বিশ্বকাপে যোগ দেয়। যদিও চীনা দল এবারকার বিশ্বকাপে যোগ দেয় নি, চীনের ফুটবল ফেডারেশন সমিতি জার্মানীতে পরিদর্শন দল পাঠিয়েছে। পরিদর্শনের পর প্রতিনিধি দল এক অভিজ্ঞতা পেয়েছে যে, একটি বিশ্বের পযায়ের ফুটবল দল হিসেবে প্রথমে নিজের বৈশিষ্ট্য খোঁজবে। প্রতিনিধি দলের সদস্য মা চেংছুয়ান বলেছেন, বহু ইউরোপ ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার দল নিজের বৈশিষ্ট্য আছে, এবং স্থায়ী বজায় রাখে। এশিয়ার জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার দলের নিজের বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু চীনা দলের নিজের বৈশিষ্ট্য নেয়। চীনের ফুটবল সমিতি আরো স্পষ্ট উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, এবং এ স্টেইলে বাজায় রাখবে। তিনি বলেছেন,আমার মনে করি, ইউরোপ ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার দলগুলোর বৈশিষ্ট্য আছে। কিন্তু চীনের যুবক, জুনিয়ার ও সিনিয়ার দলের স্টেইল পুরোপুরি ভিন্ন। এটা কোচের সঙ্গে সম্পর্কিত, আমাদের উচিত ভবিষ্যতে এ সমস্যায় গুরুত্ব দেয়া। যথাসম্ভব নিজের বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ফুটবলের প্রযুক্তি ক্ষেত্র ছাড়া, চীন জার্মানী বিশ্বকাপের সাফল্যজনক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্র থেকে অভিজ্ঞতা শিক্ষতে পারে। এবারকার বিশ্বকাপে, জার্মানী পরিবেশ সংরক্ষণে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, এবং এক ধারাবাহিক সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে, ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
জার্মানী বিশ্বকাপে একটি শ্লোগান হল "সবুজ বিশ্বকাপ", পরিবেশ তত্ত্বাবধান সংস্থার পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, পূর্বপরিকল্পনার নিঃসৃত এক লক্ষ টন বিশাক্ত গ্যাস কমানোর লক্ষ্য অনেক আগে অর্জিত হয়েছে। সেজন্যে জার্মানী বিশ্বকাপের সংগঠনিক কমিটি জাতিসংঘ পরিবেশ কাযলয়ের প্রশংসা পেয়েছে। যদিও জার্মানীর ব্যাক্তিগত গাড়ী খুবই বেশি, তবুও সংগঠনিক কমিটির প্রচারে বিশ্বকাপের সময়ে শুধু তিন ভাগের এক ভাগের প্রদর্শন গাড়ীতে স্ট্যাডিয়ামে যান। ৫০% ফুটবলপ্রমী বাসে যান। সেজন্যে সংগঠনিক কমিটি সরাসরই বাস মোকাবেলা করেছে। জাপান-ব্রাজিল প্রতিযোগিতার সময়ে জার্মানী মোট ৩৭৬টি বাস পাঠিয়েছে, এটা ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। চীনের সিহুয়া তথ্য বার্তার সংবাদদাতা শেন ছেন বলেছেন,
জার্মানীর সবুজ ঘাসগাছের এলাকা বেশি, নানা স্থানে সবুজ দেখা যায়। এবারকার বিশ্বকাপে সংগঠনিক কমিটি এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দেয়, এটা আমাদের উচিত শিক্ষা নেয়া । যদিও বিশ্বকাপ একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, তবুও জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত। যেমন প্রচুর বাস ব্যবহারে পরিবেশ দুষণ কমানো হয়েছে, এবং স্ট্যাডিয়ামের কাছাকাছি পরিবহনের চাপ প্রশমিত করা হয়েছে। এটা আমাদের উচিত শিক্ষা দেয়া।
ভবিষ্যতে দুই বছরে চীনএ এক ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২০০৮ সাল পেইচিং অলিম্পিক গেমস ও ২০০৭ সাল নারী বিশ্বকাপ ফুটবল অন্তর্ভূক্ত করা হবে। আসল পেইচিং অলিম্পিক কমিটি ও ২০০৭ নারী বিশ্বকাপের কমিটি আলাদা আলাদভাবে এবারকার বিশ্বকাপে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে, অভিজ্ঞতা শিক্ষেছে। তাঁরা প্রথমে মুনিছের স্ট্যাডিয়ামের তথ্য কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক রেতার কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছেন। তারপর, প্রতিনিধি দল নিউরেম্বার্গে জাপান-ক্রোতিয়া খেলা পরিদর্শন করেছেন, তাতে সংগঠনিক কাজের অভিজ্ঞতা শিক্ষেছে। তাঁদের তৃতীয় ধাপ হল ফ্রান্কফোর্ট। সেখানে তাঁরা প্রধানত সংগঠনিক কমিটির বাজার সংস্থা ও পরিচালনা সংস্থার পরিস্থিতি গবেষণা করেছেন, এবং জার্মানীর সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাঁদের কাছে এবারকার বিশ্বকাপের নিরাপত্তা সংরক্ষণ কাজ ব্যাখ্যা করেছে।
তাছাড়াও, প্রতিনিধি দল টিকিট বেচার ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেসতবাড়ীর মোকাবেলা, বাজারের উন্নয়ন ইত্যারদি ব্যাপার নিয়ে জার্মানী বিশ্বকাপের সংগঠনিক কমিটির সঙ্গে ব্যাপক আদান-প্রদান করেছে। ফ্রান্কফার্ট খেলা অঞ্চলের একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা মাত্থিয়াস জেইকোওয়িটজ বলৈছেন, দু'পক্ষের আদান-প্রদানের মাধ্যমে তিনি আশা করেন চীন সার্থকভাবে ২০০৭ সাল নারী বিশ্বকাপ ফুটবল ও ২০০৮ সাল অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠান করবে। তিনি বলেছেন,আগামী দু'বছরে বিশ্বের সারা ক্রীড়া মহল চীনের ওপর সজগ দৃষ্টি রাখবে। চীনের প্রতিনিধি দল জার্মানী এসে এবারকার বিশ্বকাপ এবং আমাদের সংগঠনিক কাজ পরিদর্শন করেছে। তাঁদের সঙ্গে আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমি বিশ্বাস করি, চীন সার্থকভাবে ২০০৮ সাল পেইচিং অলিম্পিক গেমস ও আগামী বছরের নারী বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠান করবে।
|