স্কেফার একইদিন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আফগানিস্তান মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাস, দুর্নীতি প্রভৃতি সমস্যার সম্মুখীন হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যে ন্যাটো আফগানিস্তানকে সাহায্য করার প্রচেষ্টা চালাবে।

    তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানকে উপেক্ষা না করা এবং তাকে আরো সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    স্কেফারআবার ঘোষণা করেছেন যে, ন্যাটো আফগানিস্তানে তার মোতায়েন করা বাহিনীর সংখ্যা দিগুন বাড়াবে। এই বছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছবে।

    বর্তমানে আফগানিস্তানে মোতায়েন করা ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌহবাহিনীর সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশী। যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর মধ্যে গত বছরে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী নেটো ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলাভিষিক্ত হয়ে আফগানিস্তানে মোতায়েন আন্তর্জাতিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে এবং সংঘাতকবলিত আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে বাহিনী বাড়াবে।

    এই বছর থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে অবনতি হচ্ছে। এক হাজার একশোরও বেশী লোক বিভিন্ন ধরণের সশস্ত্র সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চাশ জনের বশী বিদেশী সৈন্য।