v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-07-21 14:17:41    
কোটেডিভারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি  উত্তাল

cri
    ২০০৪ সালের ৬ নভেম্বর কোটেডিভার মধ্যাঞ্চলে মোতায়েন ফরাসী বাহিনীর ঘাঁটির ওপর কোটেডিভার সরকারী বাহিনীর বিমান হামলায় ৯ জন ফরাসী সৈন্য আর ১ জন মার্কিন নাগরিক নিহত হয় এবং অন্য ২৩জন ফরাসী সৈন্য আহত হয় । পরে ফরাসী বাহিনী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট শিরাকের নির্দেশ অনুযায়ী কোটেডিভার বিমান বাহিনীর ওপর আঘাত হানে । এই সংঘর্ষের কারণ এখন স্পষ্টভাবে জানা যায় নি । কিন্তু এ ঘটনার জন্য কোটেডিভারের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয় ।

    কোটেডিভারের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারী বাহিনী আর বিরোধী বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত ব্যাপক সশস্ত্র সংঘর্ষ থেকেই মূলত শুরু । গৃহযুদ্ধে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী লোক নিহত এবং কয়েক হাজার লোক আহত হয়েছে, ১০ লাখ লোক বাস্তুশূন্য হয়ে পড়ে । কোটেডিভার গৃহযুদ্ধ ঘটার পর পশ্চিম আফ্রিকার কমনওয়েল্থ নেতারা ঘানার রাজধানী আক্করায় সম্মেলন আয়োজন করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, অবিলম্বে কোটেডিভারে পশ্চিম আফ্রিকার  শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠায় । এর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্সও কোটেডিভায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাবে।

    ২০০৩ সালের ১৫ জানুয়ারী থেকে ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রস্তাব ও প্রচেষ্টায় কোটেডিভার সংঘর্ষ সমাধান সম্পর্কে এক গোল টেবিল সম্মেলন প্যারিসের উপকন্ঠ মালকুসিতে অনুষ্ঠিত হয় । ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোটেডিভার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, কোটেডিভারের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকার বিরোধী সশস্ত্র দলের প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন । অবশেষে বিভিন্ন পক্ষ একমত হয়েছে যে, শান্তিপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতীয় সমঝোতা সরকার গঠন করা হবে ।

    ২০০৩ সালের ৮ মার্চ কোটেডিভার বিভিন্ন দল ফ্রান্সে স্বাক্ষরিত "মালকুসি চুক্তি"অনুযায়ী বিরোধী দলের প্রতিনিধিসহ জাতীয় সমঝোতা সরকার গঠন করে । ৪ জুলাই কোটেডিভার সরকারী বাহিনী ও বিরোধী সশস্ত্র গৃহযুদ্ধের অবসান ঘোষণা হয় ,কিন্তু সশস্ত্র শক্তি পরিত্যাগের পরিকল্পনা বাস্তব রূপলাভ করে নি । এ পর্যন্ত বিরোধী দলের সশস্ত্র ব্যক্তিরা কোটেডিভারের উত্তরাঞ্চল দখল করে রেখেছে । এবং সরকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দক্ষিণাঞ্চল ।

    ২০০৪ সালের ৪ মার্চ কোটেডিভারের ড্যামক্রাটিক পার্টি, প্রজাতন্ত্রের ব্যক্তিদের লীগ , বিরোধী দল এবং প্রেসিডেন্টের দলের সঙ্গে অসঙ্গতি বেড়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা সরকারীকাজে অংশগ্রহণ করেন না । ২৫ মার্চ আবিদজানে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল ঘটে সার্বিকভাবে "মালকুসি চুক্তি" বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয় । সরকার প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যবহার করে এবং দু'পক্ষের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ ঘটে । এতে ৩৭ জন প্রাণ হারালে কোটেডিভারের পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে ।

    জুলাই মাসে জাতিসংঘ, আফ্রিকান লীগ এবং পশ্চিম আফ্রিকার কমনওয়েল্থ ইত্যাদি ১০টিরও বেশি আফ্রিকান দেশের নেতা কোটেডিভারের শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য মধ্যস্থতা করেন । কোটেডিভারের বিভিন্ন দল ঘানার রাজধানী আক্করায় নতুন সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে, কোটেডিভারে শান্তি প্রক্রিয়ার একটি সুযোগ দেয় । চুক্তি অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে সংশ্লিষ্ট আইন সংস্কার সম্পন্ন করা হবে এবং ১৫ অক্টোবরের আগে সশস্ত্র শক্তি পরিত্যাগের পরিকল্পনা চালু হবে । কিন্তু এ পর্যন্ত এর কোন কিছুই পরিকল্পিতভাবে বাস্তব হয় নি ।

    ৪ নভেম্বর থেকে কোটেডিভার সরকারী বাহিনী পরপর তিনদিন বৌআকেসহ বিরোধী দলের দখলকৃত এলাকার লক্ষ্যবস্তুর ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে , বিমান সংঘর্ষে কয়েক 'শ নিরীহ লোক হতাহত হয় । এতে কোটেডিভার পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয় ।