১২ জুলাই লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইস্রাইলের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ১৯ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ইস্রাইল লেবাননের বহু লক্ষ্যের উপর তীব্র বোমাবর্ষণ করেছে, এতে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ইস্রাইল কমপক্ষে লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনের ৭৫০টি রকেট হামলায় শিকার হয়েছে, এতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগের দিনে ইস্রাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট বলেছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনকে ইস্রাইলী সৈন্যদেরকে মুক্তি দিতে এবং ইস্রাইলী জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। না হলে লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠনের উপর ইস্রাইলী বাহিনীর হামলা অব্যাহত থাকবে।
তা সত্ত্বেও, আন্তর্জাতিক সমাজ এই সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্যে কূটনৈতিক মধ্যস্থতার মাত্রা বাড়াচ্ছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী দোমিনিক গালোজেও দ্য ভিলেপিন ইউ'র কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক অধিকর্তা হাভিয়ার সোলানা এবং সংকট মোকাবেলা বিষয়ক জাতিসংঘের তিন জন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি গ্রুপ লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান ১৮ জুলাই বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের লেবাননে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। আরব লীগের মহাসচিব একইদিন ইঙ্গিঁত করে বলেছেন, আরব লীগের এই প্রস্তাব গ্রহণ করার সম্ভাবনা আছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার জন্যে যথাক্রমে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে বিশেষ দূত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু দেশ অব্যাহতভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে লেবানন এবং ইস্রাইলের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ বিরতি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ লেবানন থেকে কম প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদেরকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। রাশিয়া, ক্যানাডা, ভেনিজুয়েলা প্রভৃতি দেশের প্রবাসীরাও সরে যাচ্ছেন।
|