v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-07-19 17:26:01    
চীনাদের নাদামো উত্সব(ছবি)

cri

**চীনাদের নাদামো উত্সব

 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জের এন সি আর শ্রোতা সংঘের সভাপতি নির্মল চন্দ্র রায়

 উঃ নাদামো উত্সব হচ্ছে চীনের আন্তঃমঙ্গোলিয়া, কানসু, ছিংহাই, সিনচিয়াংয়ে বসবাসকারী মঙ্গোলিয় জাতির জনগণের বার্ষিক ঐতিহ্যিক উত্সব। প্রতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সেখানকার গৃহপালিত পশুগুলো পুরু ও বলিষ্ঠ হয় এবং আবহাওয়া ভালো থাকে। তখন এই উত্সব পালিত হয়। নাদামো হচ্ছে মঙ্গোলিয় ভাষা, এর অর্থ বিনোদন বা খেলা। মঙ্গোলিয় জাতির জনগণের কাছে নাদামো উত্সবের গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা আছে। নাদামো উত্সবের সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। অতীতে নাদামো উত্সব চলাকালে বিরাটাকারের পূজা আয়োজন করা হতো। এখন নাদামো উত্সবের প্রধান বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কুস্তি, ঘোড়দৌঁড়, তীর নিক্ষেপ এবং মঙ্গোলিয় দাবা খেলাসহ ঐতিহ্যিক অনেক খেলা। কিছু কিছু অঞ্চলে দৌঁড়-ঝাপ নিক্ষেপ, ভলিবল, বাস্কেটবল ইত্যাদি ক্রিড়া প্রতিযোগিতাও অন্তর্ভুক্ত থাকে। তা ছাড়া, নাদামো উত্সবে উশু, পোলো খেলা, ঘোড়া চালানোর কৌশল দেখানো ইত্যাদি চমত্কার খেলাও করা হয়। সন্ধ্যা বেলায় তৃণভূমিতে ঘোড়ার মাথা বাদ্যযন্ত্রের সুরে যুবক-যুবতীরা ক্যাম্প-অগ্নির পাশে নাচগানে মেতে উঠে । সবাই যেন উত্সবের আনন্দে ডুবে যায়।

**চীন-বাংলাদেশ পণ্য আমদানী এবং রফতানীর পরিসংখ্যান

 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের রংপুর জেলার গুপ্তপাড়ার হোসেন আবেদ আলী

 উঃ চীনের শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৫ সালে চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল্য ২৪৮.১ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এটা ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে চীন ২৪০.৩ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানী করেছে এবং ৭.৯ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানী করেছে। রপ্তানী আর আমদানী মূল্য আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২৬.১ শতাংশ এবং ৩৭.৯ শতাংশ বেড়েছে।

 বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের বৈদেশিক ঠিকাদারী প্রকল্প করার অন্যতম ঐতিহ্যিক বাজার। ২০০৫ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চীন বাংলাদেশে ৩৩৩.৩ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ঠিকাদারী ও শ্রম চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এ পর্যন্ত ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবসায়ে লেনদেন হয়েছে।

 ২০০৫ সালের শেষ পর্যন্ত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে চীনের পুঁজি বিনিয়োগ মূল্য ২ কোটি ৮০ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। চীনে বাংলাদেশের বাস্তব পুঁজি বিনিয়োগ মূল্য ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

**চীনদেশে কি ইলিশ মাছ পাওয়া যায় ? চীনারা কোন মাছ বেশী খেতে পছন্দ করেন?

 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের পাবনা জেলার কাঠেংগার ডাঃ মোঃ রবিউল করিম, কুষ্টিয়া জেলার চরপাড়া গ্রামের প্রেমা ইন্টান্যাশনাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম জহুরুল ইসলাম জীবন , চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার এম এস জোহা ডিগ্রী কলেজের মোঃ আশরাফুল ইসলাম

 উঃ ইলিশ মাছ হচ্ছে ইয়াংসি নদীর অত্যন্ত দামী এক রকম মাছ। সাম্প্রতিক দশ বছরে ইয়াংসি নদীর পানির মান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইলিশ মাছ প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। এখন বাজারে বলতে গেলে দেখাই যায় না। চীনারা অনেক রকমের মাছ খায়। যেমন পোনামাছ, হেয়ারটেইল, ক্রসিয়ান ও উইভার মাছ ইত্যাদি। এ ছাড়াও বাংলাদেশের সড়পুটি মাছের মত উ ছাং এবং ভেটকি মাছের মত গ্রোনা মাছও পাওয়া যায়।