গ্রীষ্মকালে অনেক মেয়ে সুন্দর কাপড় পড়তে চান, কিন্তু পেটের অতিরিক্ত মেদের আপনাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে । নিজের শরীরটাকে আরো সুন্দর করতে চান কি ? তাহলে আপনারা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে আজকের অনুষ্ঠান শুনুন । আর সহজেই হয়ে উঠুন আরো সুন্দর ।
প্রথম পদ্ধতি: দুধ খাওয়া
যাদের নিজেদের ওজন একটু ভারী লাগে এবং স্বাস্থ্য ভালো তারা এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন ।
বিস্তারিত উপায় হল:
প্রত্যেকবার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুধু দু'দিন চলবে । তৃতীয় আর চতুর্থ দিন আগের মত খাবার খান ,তারপর আবার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া করুন । সাধারণত প্রথম সপ্তাহেই আপনারা স্পষ্টভাবে পেট ছোট হওয়ার সাফল্য দেখতে পারবেন । যদি বারবার দুই বা তিন সপ্তাহ এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন ,তাহলে আপনাদের ওজন আরো স্থিতিশীল হবে ।
প্রথম দিন : আপেল এক কেজি । সারাদিন আপনি শুধু আপেল খেতে পারবেন , পানি বা দৈ আর কোনো খাবার খেতে পারবেন না । মনে রাখুন, শুধু আপেল খেতে পারবেন এবং আস্তে আস্তে আপেল খান ।
দ্বিতীয় দিন : দৈ বা দুধ ১০০০ মিলিলিটার, তা ছয় বা সাতটি কাপে বিভক্ত করুন , প্রত্যেকবার এক কাপ খান । সারাদিন শুধু দুধ বা দৈ খেতে পারবেন , অন্য কোনো খাবার খেতে পারবেন না । পানি খেতে চাইলে ,দুধ খাবেন ।
যদি এই পদ্ধতিতে আপনাদের ওজন কমে তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আবার একই পদ্ধতি ব্যবহার করুন । মনে রাখুন এই দু'দিনের মধ্যে অবশ্যই পানি খেতে পারবেন না এবং আপেল ও দুধ মিলিতভাবে খেতে পারবেন না । পৃথক পৃথকভাবে খেলে ,কার্যকরীভাবে ওজন কমানো যাবে । পানি না খাওয়ার কারণ হচ্ছে শরীরটাকে স্লিম করার সময়ে আমরা পানি খেলে, শরীরটা প্রথমে পানি গ্রহণ করবে এবং শরীরের পানি খরচ করতে পারবে না । আপেল খাওয়ার দিনে পানি না খেলে শরীরের মধ্যে পানি খরচ হবে , পরের দিন দুধ খাওয়ার সময়ে শরীরের মধ্যে পানি খরচ হয়েছে এবং তাতে শরীরের মেদ কমাবে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
দূধ খাওয়ার দিন ওজন কমানোর জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সেদিন অবশ্যই পানি খাবেন না । এই পদ্ধতি কয়েকবার অনুসরণ করার পর , আপনার শরীর অবশ্যই স্লিম হবে এবং শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমবে ।বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, আপনারা ছুটিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন, তা হলে ভালো হবে ।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: করলা খাওয়া
কাঁচা করলা খেলে আপনাদের ওজন কমানো যায় । প্রতিদিন দুই বা তিনটি কাঁচা করলা খেলে পেটের অতিরিক্ত মেদ অবশ্যই কমে যাবে । বন্ধুরা, যদি আপনারা পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই এই উপায়ে চেষ্টা করবেন ।এতে কম খরচে ভালো ফল পাওয়া যাবে ।
করলা হচ্ছে গ্রীষ্মকালের এক ধরনের সহজ লভ্য সবজি । এর মধ্যে ভিটামিন বি.সি. প্রচুর। প্রাচীনকালে চীনের বিখ্যাত চিকিত্সক লি শিচেন বলেন যে, করলা শরীরের গরম ও ক্লান্তি কমাতে পারে, চোখ পরিষ্কারেও এটা সহায়ক হবে । বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, করলা শরীরে রক্তোচিনির পরিমাণ কার্যকরীভাবে কমিয়ে দেয়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক হবে এবং ভাইরাস ও ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে ।
কাঁচা করলা দুর্বল স্বাস্থ্যের লোক এবং গর্ভবতীদের জন্য ভাল নয়, এ জন্যে তাদের করলা কম খাওয়া ভাল ।
জানা গেছে , কাঁচা করলা খেতে যদিও আপাদের তিক্ত লাগে ,তবুও প্রতিটি করলায় সোনার মত মূল্যবান বিশেষ উপাদান --- মেদ কমানো উপাদান রয়েছে । এ উপাদান থাকার জন্যে করলা খেলে অতিরিক্ত মেদ কমানো যাবে ।
|