১। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার উত্তরছোট কুপটের ওয়ার্ল্ড রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান লিখেছেন, মিতালী আসরে ২০০৫ সালে সি আর আই আয়োজিত চীনের মূল্যবান দ্বীপ তাইওয়ান শীর্ষক জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতায় বিশেষ বিজয়ী শ্রোতা বাংলাদেশ সি আর আই লিসেনার্স ক্লাবের মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলুর ১০ দিনব্যাপী পেইচিং ও সিয়ামেন নগর সফরের অভিজ্ঞতার ওপর মহিউদ্দীন তাহেরের নেওয়া সাক্ষাত্কারে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে পারলাম। এতে সিয়ামেন নগরের অপরুপ নৈসর্গিক দিক নিখুঁত ভাবে ফুটে উঠেছে।
২। কুষ্টিয়া জেলার কমলাপুরের সি আর আই ক্লাব-৯৫ এর পরিচালক বিপ্লব কুমার অধিকারী লিখেছেন, সি আর আই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের মহাসচিব জনাব জিল্লুর রহমান জিল্লু শ্রেষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে চীনে ভ্রমণের জন্য সি আর আই ক্লাব -৯৫ এর পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তিনি চীনের মূল্যবান দ্বীপ তাইওয়ান সম্পর্কে শ্রোতাদের অনেক তথ্য দিয়েছেন। এতে শ্রোতারা তাইওয়ান বা চীন ভ্রমণে না গিয়েও জিল্লু ভাইয়ার আলোচনায় আমরা মনে করি যে , চীনের মূল্যবান দ্বীপ তাইওয়ানে ঘুরছি। আমি বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছি যে , জিল্লু ভাইয়া ঠিক চীনের বেতার বন্ধুদের মতো ভাষা দিয়ে তাইওয়ান সম্পর্কিত তথ্যগুলো শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন। চীনাদের বাংলা ভাষা বলার মতো ভাষা দিয়ে কথাগুলো আমার কাছে ভীষণভাবে ভাল লেগেছে। আমি আশা করি প্রতিটি মিতালি অনুষ্ঠানে তিনি যেন এই ভাষায় তথ্যগুলো প্রচার করেন। তিনি যে নিখুঁতভাবে চীনের মূল্যবান দ্বীপ তাইওয়ান ঘুড়ে বেড়িয়ে শ্রোতাদের তথ্যগুলো দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
আমরা সকল শ্রোতাদেরকে চীনে ভ্রমণের সুযোগ দিতে না পারলেও আমরা সৌভাগ্যবান শ্রোতাদের মুখে ব্যাপক শ্রোতাদের কাছে সত্যিকার চীনকে দেখাতে চাই। জিল্লু সাহেবের দেয়া সাক্ষাত্কার শ্রোতাদের পছন্দ হয়েছে জেনে আমার বিশ্বাস , তিনি নিজেও ধন্য বোধ করবেন। এর জন্য বন্ধু বিপ্লব কুমার অধিকারী এবং আনিসুর রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।
৩। সিরাজগঞ্জ জেলার মোঃ আব্দুল লতিফ লিখেছেন, সি আর আই বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটের প্রশংসা আমি আগেও করেছি। আবারও করতে বাধ্য হচ্ছি। এত ব্যাপক তথ্য সমৃদ্ধ আর update ওয়েবসাইট আমি আর অন্য কোন বেতারে পাই নি। তা ছাড়া পুরো সময়ে সি আর আই যে অতি আন্তরিকতার সাথে সাবলীলভাবে বিনোদন আর তথ্যমূলক অনুষ্ঠান উপহার দিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। আশা করি ২০০৬ সালও হয়ে উঠবে সি আর আই আর শ্রোতাদের অকৃত্রিম আন্তরিকতার বছর।
মোঃ আব্দুল লতিফ আমাদের ওয়েবসাইটের উপর নজর দিয়েছেন জেনে আমি খুব খুশি। গত মে মাসে আমাদের বাংলা ওয়েবসাইট বাংলাদেশের দি ডেইলী স্টার পত্রিকার সঙ্গে লিংক করা হয়েছে। আশা করি, এতে আরো বেশি বাঙালি বন্ধু আমাদের ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন এবং জানতে পাবেন।
৪। বগুড়া জেলার চাঁদনী বাজারের পুরান বগুড়া গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম "আমি তুমি সে"প্রসঙ্গে কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রথমেই একটি প্রাপ্তী সংবাদ জানাই, তা হচ্ছে গতকাল আপনাদের বিভাগ থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে "আমি তুমি সে"পত্রিকার সঙ্গে ভিউকার্ডও পেয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সি আর আইকে। "আমি তুমি সে" এর ২০০৬ সালের প্রথম সংখ্যায় খুব সুন্দর সুন্দর বিষয়গুলি স্থান পেয়েছে। যেমন 'সালা' জাতির ইতিকথা, নারী চলচ্চিত্র পরিচালক সুই চিং লেই সম্বন্ধে কথা এবং দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌ সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। যদিও এ অনুষ্ঠানগুলো আমরা শুনেছি তারপরও "আমি তুমি সে" থেকে আরো বিশদ জানতে পারবো।
বন্ধুরা, "আমি তুমি সে" পত্রিকার ২০০৬ সালের দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রধান বিষয় হচ্ছে চলমান "চীন-ভারত মৈত্রী নামে জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতা। আপনারা শীঘ্রই তা পাবেন।
৫। রংপুর জেলার গুপ্তাপারার হোসেন আবেদ আলী লিখেছেন, রবিবারের ছোটদের গল্পের আসর শুধু ছোটদের নয় , এ আসরটি আমারও ভিষণ প্রিয়। সবদেশেরই রুপকথার গল্পগুলো সুন্দর। কিন্তু চীনের রূপকথার ভান্ডারটি যেন ব্যতিক্রমধর্মী সুন্দর, তেমনি বিশাল। সুন্দর আয়োজনের জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
৬। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বড়গাছীহাটের কৃষ্ণপুর হেলাচী গ্রামের শামীম উদ্দিন শ্যামল লিখেছেন, বিজ্ঞান বিচিত্রা অনুষ্ঠানে স্থান পাওয়ায় সি আর আই বাংলা বিভাগকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। বিজ্ঞান বিচিত্রা অনুষ্ঠানে আপনারা যদি চীনের কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের আর্শিবাদগুলো তুলে ধরেন তাহলে আমার মত শ্রোতারা খুবই উপকৃত হবে।
৭। ঝিনাইদহ জেলার জয়দিয়ার সাফদাপুর গ্রামের মোঃ আবুউবাইদা লিখেছেন, ক্রিকেট খেলা এবং বিভিন্ন খেলার জন্য একটি "খেলার আসর" নামক আসর যদি খুলতেন আমার মনে হয় সব শ্রোতারা আপনাদের মাধ্যমে উপকৃত হত।
উপরোক্ত প্রস্তাব এবং মতামত জানানোর জন্য এই কয়েকজন বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই। অনুষ্ঠানের মান উন্নয়ন করা হচ্ছে আমাদের বরাবরের আশা । আমার বিশ্বাস , আপনাদের সমর্থন এবং সাহায্যে আর আমাদের প্রচেষ্টায় সি আর আই এর অনুষ্ঠান দিনে দিনে আরো ব্যাপক শ্রোতাদের মনের কাছে আসবে।
৮। সাতক্ষিরা জেলার উত্তর ছোটোকুপটের ওয়ার্ল্ড রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সম্পাদক আনিসুর রহমান লিখেছেন, ২০০৪ সালে সি আর আই আয়োজিত "নয়া চীনের ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী" উপলক্ষ্যে জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতার প্রথম শ্রেণীর পুরস্কার বিজয়ীর সম্মান স্বরূপ আপনাদের পাঠানো ডিজিটাল রেডিওটি পেয়ে ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত বোধ করছি । সি আর আই এর দীর্ঘ শ্রোতা জীবনে এটি আমার অত্যন্ত মূল্যবান প্রাপ্তি, যা সি আর আই এর সাথে আমার মৈত্রী আরো প্রগাঢ় করবে।
২০০৬ এর 'আমি তুমি সে' পত্রিকায় আমার চিঠির অংশ বিশেষ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। এখন সি আর আই শ্রোতা হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। আশা করি আপনারা আমি তুমি সে পত্রিকায় মাঝে মাঝে আমার চিঠি প্রকাশ করবেন এবং সি আর আইতে লিখতে প্রেরণা যোগাবেন।
বন্ধু আনিসুর রহমান হচ্ছেন আমাদের একজন পুরোনো শ্রোতা। আমি প্রায় পাই তাঁর হাতের লেখা মোটা মোটা চিঠি পাই। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার জন্য তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
৯। কুষ্টিয়া জেলার আমলার রেইনবো শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ ওবায়দুল্লাহ্ পিন্টু লিখেছেন, আমরা চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠানমালা নিয়মিতভাবে শুনছি এবং এলাকার জনসাধারণকেও চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানমালা শুনতে উত্সাহিত করছি , যার প্রমাণ আপনারা খুব শীঘ্রই পাবেন। আপনাদের প্রচারিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে প্রতিদিন বিশ্বে ঘটে যাওয়া নানা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নিয়ে বিশ্বসংবাদ , প্রতিদিন বিশ্বের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিশ্লেষণ নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন, বিজ্ঞানের সমসাময়িক আবিস্কার ও তথ্য ভিত্তিক অনুষ্ঠান বিজ্ঞান-বিচিত্রা, শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেবার আসর মুখোমুখি, নারীদের সমস্যা , প্রত্যাশা, চাওয়া-পাওয়া ও সফলতা কথা নিয়ে কন্যা জায়া জননী, শ্রোতাদের পছন্দের গান শোনার আসর চাওয়া পাওয়া, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি জগতের খবরাখবর নিয়ে অর্থনীতির অগ্রযাত্রা, সাহিত্য জগতের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ও পরিবেশনা নিয়ে সংস্কৃতি সম্ভার ইত্যাদি পরিবেশনা আমাদের খুব ভাল লাগছে। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের মূল্যায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যতগুলো বেতার বাংলা অনুষ্ঠান প্রচার করে তার মধ্যে চীন আন্তর্জাতিক বেতারই সেরা। আমাদের সবার পক্ষ থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে ধন্যবাদ জানাই নিরপেক্ষ থেকে বিশ্বসংবাদসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান প্রচার করার জন্য।
বন্ধু মোঃ ওবায়দুল্লাহ পিন্টুর চিঠি পড়ে বুঝা যায় যে, আমাদের প্রত্যেক অনুষ্ঠানের উপর তাঁর স্পষ্ট ধারণা আছে। জেনে ভালো লাগলো।
১০। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নাপিতা পাড়া গ্রামের কুলদ্বীপ চাকমা লিখেছেন, সি আর আই পাঠানো অনুষ্ঠানসুচী আমি যথাসময়ে পেয়েছি। সি আর আই এর পুরো সপ্তাহের অনুষ্ঠান আগ্রহের সাথে শুনে থাকি। সি আর আই আমার ভালো লাগে। প্রতিদিন বসে থাকি সি আর আই এর অপেক্ষায়। কখন অনুষ্ঠান আরম্ভ হবে।
আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমার সঙ্গে আরও দুজন শ্রোতা সি আর আই এর অনুষ্ঠান শুনছে, তারা হচ্ছেন রিজুম চাকমা এবং শিমু চাকমা। আমার আশা ও বিশ্বাস সি আর আই পরিবারের সদস্য সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। তৈরী হবে বিশ্বের মানুষের সাথে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মৈত্রির বন্ধন। মুছে যাবে মন থেকে হিংসা, দ্বেষ, থাকবে শুধু ভালোবাসার সৌহাদ্যপূর্ণ মৈত্রী।
বন্ধু কুলদ্বীপ চাকমার আশা আমাদেরও বটে। আশা করি, আপনার সুন্দর আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়িত হবে।
|