চীনের বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছেন , ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিব্বতী এন্টিলোপের সংখ্যা বছরে গড়পড়তা ৭.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ পর্যন্ত তিব্বতী এন্টিলোপের সংখ্য দেড় লাখ হয়েছে ।
তিব্বতী এন্টিলোপ প্রধানতঃ উত্তর তিব্বতের ছিয়াংথান , ছিংহাই প্রদেশের কোকোসিলি আর সিনচিয়াংয়ের আরচিং পাহাড়ে বাস করে । এন্টিলোপের পশম দিয়ে খুব ভালো গুণমানের শাল তৈরী করা যায় বলে কিছু লোক বেআইনীভাবে এন্টিলোপ শিকার করে । গত কয়েক বছরে চীন তিব্বতী এন্টিলোপ রক্ষার অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে । এগুলোর মধ্যে আছে বেআইনীভাবে এন্টিলোপ হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়া , সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময় আর বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ চালানো ইত্যাদি ।
তিব্বতী এন্টিলোপের সংরক্ষণকে ইতোমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় বুনো প্রাণী ও উদ্ভিদ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির আওতাভুক্ত করা হয়েছে । তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন , আন্তর্জাতিক বাজারে এন্টিলোপের পশম দিয়ে তৈরী শালের চাহিদা এখনও বেশী । এন্টিলোপের পশম চোরাচালান নিশ্চিহ্ন করা যায় নি । কাজেই এন্টিলোপ সংরক্ষণের পরিস্থিতি এখনো কঠিন ।
|