১৫ জুলাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ সম্পর্কিত প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপনাস্ত্র গবেষণার সঙ্গে জড়িত সমস্ত প্রাসঙ্গিক তত্পরতা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপে গভীর উদ্বেগ আর নিন্দা ব্যক্ত করা হয়েছে এবং উত্তর কোরিয়াকে আপাতত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলকনিক্ষেপ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এই প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক শাস্তি আরোপ আর বলপ্রয়োগ করার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এই প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের উদ্দেশ্যে সংযম বজায় রেখে রাজনৈতিক আর কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের উপয় খুঁজে বের করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ওয়াং কুয়াং ইয়া ভোটদানের পর এক বক্ততায় বলেছেন, চীন দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, সংলাপ আর আলোচনার মাধ্যমে শান্তিমূলকভাবে কোরীয় উপ দ্বীপের সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান করা উচিত। চীন কোরীয় উপ দ্বীপের পরিস্থিতিকে উত্তেজনাসংকূল করার যে কোনো তত্পরাতার বিরোধিতা করে। তিনি বলেছেন, কোরীয় উপ দ্বীপের শান্তি আর স্থিতিশীলতা রক্ষা করা বিশ্ব সমাজ আর উত্তর-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। চীন এর জন্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে। ১৬ জুলাই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীন আশা করে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব অনুমোদনের সুযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে কোরীয় উপ দ্বীপের পরমাণু ইস্যু সংক্রান্ত ছ'পক্ষীয় বৈঠকের প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরুদ্ধার এবং কোরীয় উপ দ্বীপ আর উত্তর-পূর্ব এশিয়ার শান্তি আর স্থিতিশীলতা রক্ষার করার জন্যে মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে অনুকূল শর্ত সৃষ্টি করবে।
একই দিন দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্যে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসাকরা হয়েছে।
|