১২ জুলাই লেবাননের হেজবুল্লাহর সশস্ত্র ব্যক্তিরা ইস্রাইলের সীমান্ত এলাকায় ইস্রাইলী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে দু'জন ইস্রাইলী সৈন্যকে আটক করার পর , ইস্রাইল সরকার একইদিন রাতে সামরিক বাহিনীকে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা প্রণয়ন করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে ইস্রাইলের উত্তরাঞ্চলের ওপর হেজবুল্লাহর হুমকি দূর করা যায় ।
ইস্রাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট একইদিন বলেছেন, হেজবুল্লাহ ইস্রাইলী বাহিনীর ওপর চালানো হামলা হচ্ছে যুদ্ধের সমতূল্য । লেবানন সরকারের এই ঘটনার সকল দায়িত্ব পালন করা উচিত । সঙ্গে সঙ্গে ইস্রাইলের স্থলবাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে লেবাননের বহু লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হেনেছে ।
একইদিন রাতে লেবানন সরকার হেজবুল্লাহর হামলার প্রতি সমর্থন দানের কথা অস্বীকার করেছে । লেবানন সরকার বলেছে, তারা হেজবুল্লাহর তত্পরতা সম্পর্কে কিছুই জানে না । কিন্তু লেবানন সরকার জাতিসংঘের মাধ্যমে ইস্রাইলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে সমস্যার সমাধান করতে ইচ্ছুক । এর সঙ্গে সঙ্গে লেবানন সরকার আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি লেবাননের ওপর ইস্রাইলের আগ্রাসন বন্ধ করা এবং লেবাননের বিভিন্ন দলের প্রতি ঐক্য বজায় রেখে বর্তমানের উত্তেজনাময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছে ।
হেজবুল্লাহর সাধারণ সম্পাদক নাজরুলা একইদিন বলেছেন, হেজবুল্লাহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতির অবনতি হতে চায় না , শুধু দু'জন আপহৃত ইস্রাইলী সৈন্যের মাধ্যমে ইস্রাইলে আটক রাখা লেবাননীদের মুক্তি চায় ।
এর সঙ্গে সঙ্গে গাজা অঞ্চলে ইস্রাইলী বাহিনীর সামরিক অভিযান অব্যাহতভাবে চলছে, এতে আরো ২৩জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে এবং ৫০জনেরও বেশী আহত হয়েছে ।
|