২০০৩ সালের মে মাসে জেনিভায় অনুষ্ঠিত ৫৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তামাক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো কনভেনশন গৃহীত হয়েছে এবং ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলবত্ হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১১৩টি দেশ এই কনভেনশন অনুমোদন দিয়েছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো কনভেনশন হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সভাপতিত্বে প্রথম আইনসিদ্ধ আন্তর্জাতিক গণ স্বাস্থ্য কনভেনশন। কনভেনশন অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী বিভিন্ন পক্ষকে কনভেনশনের সকল ধারা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবেঃ তামাকের দাম ও কর আদায় উন্নত করা, সিগারেটের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা, তামাক উত্পাদন কোম্পনির পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহন নিষিদ্ধ অথবা সীমিত করা, তামাক পাচাররোধ করা, বালকবালিকাদের কাছে তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা, সিগারেটের প্যাকেটে 'তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর লেখা' এবং ব্যবস্থা নিয়ে গণ-ব্যবহার্য জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি।
২০০৩ সালের নভেম্বরে, চীন এই সংস্থার ৭৭ তম স্বাক্ষরকারীদেশ হয়েছে। ২০০৫ সালের আগস্টে, চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি ভোটে এই কনভেনশন অনুমোদন দিয়েছে এবং অক্টোবর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের কাছে অনুমোদন পত্র হস্তান্তর করেছে ।
স্বাক্ষরকারী বিভিন্ন পক্ষ সম্মেলন হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো কনভেনশনের নির্বাহী সংস্থা। কনভেনশন কার্যকরী করার প্রক্রিয়ায় যে প্রযুক্তিমূলক ও আর্থিক সমস্যা এই সংস্থা তা সমাধান করে। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসের আগে অনুমোদন পত্র দেয়া দেশগুলোর স্বাক্ষরকারী বিভিন্ন পক্ষসম্মেলনে ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে।
ধূমপান শারীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চ রক্তচাপের পর, তামাক বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান হত্যাকারী হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ১.৩ বিলিয়ন ধূমপায়ী আছে। প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন লোক ধূমপান সংক্রান্ত রোগে মারা যায়। তামাক নিয়ন্ত্রণ না করলে, চলতি শতাব্দীতে ধূমপানের কারণে নিহতের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন হবে। তা গত শতাব্দীর চেয়ে ৫০শতাংশ বাড়বে । বর্তমানে চীনে ৩২ কোটি ধূমপায়ী আছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনের ধূমপান হার কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
|