v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-07-10 15:49:33    
যুক্তরাষ্ট্র কেন রাশিয়ার সঙ্গে বেসামরিক পরমাণু শক্তির সহযোগিতা চালাবে

cri
    জি-৮ বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন ১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত হবে । সম্প্রতি মার্কিন সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে " ওয়াশিংটন পোস্ট" পত্রিকা বলেছে , শীর্ষ সম্মেলনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে একক বৈঠকে মিলিত হবেন এবং যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার কথা ঘোষণা করবেন যাতে বেসামরিক পরমাণু শক্তির সহযোগিতা সম্পর্কে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে । বিশ্লেষকদের মতে এই চুক্তি স্বাক্ষর রাশিয়াকে পৃথিবীর বৃহত্তম পারমাণবিক বর্জ্য পদার্থ ফিরিয়ে আনাকারী দেশে পরিণত করবে ।

    গত শতাব্দির নব্বইয়ের দশক থেকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এরূপ চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল । তবে তা বাস্তবায়িত হতে পারে নি । ৫ বছর আগে রাশিয়ার জারি করা একটি আইনে বিদেশী পারমাণবিক বর্জ্য পদার্থ আমদানি , গুদামজাত করা এবং ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রাশিয়াকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে । তবে মার্কিন আইনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে , যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের কাছে তার সরবরাহ করা পারমাণবিক জ্বালানী ও পারমাণবিক বর্জ্য পদার্থ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তত্বাবধান করবে । সুতরাং কতিপয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পারমাণবিক জ্বালানী কিনে নিতে পারে ,তবে এসব পারমাণবিক জ্বালানী রাশিয়ায় পাঠাতে পারে না । বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সারা পৃথিবীর ৯৫ শতাংশ পারমাণবিক বর্জ্য পদার্থের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে । পারমাণবিক সমস্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা অনুমাণ করছেন যে , পারমাণবিক জ্বালানীর বন্দোবস্ত করা সংক্রান্তসমস্যায় যুক্তরাষ্ট্র রাজি হলে রাশিয়া কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রটোকল লাভ করতে পারবে ।

    রাশিয়া ইরানকে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে সাহায্য করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই মস্কোর সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আসছে । তাহলে এখন ওয়াশিংটনের এই অধিষ্ঠানের পরিবর্তন হয়েছে কি জন্যে ? বিশ্লেষকরা মনে করেন যে , কূটনৈতিক উপায়ে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্যে রাশিয়া গত বছর তার দেশে ইরানের ইউরেনিয়ম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা চালানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল । হোয়াইট হাউস এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে । এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বেসামরিক পারমাণবিক জ্বালানী রাশিয়ায় পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার আর কোনো তাত্পর্য থাকবে না । তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে যে, রাশিয়া ইরানের ওপর আরো বিরাট চাপ প্রয়োগ করে ইরানকে তার পরমাণু পরিকল্পনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে ।

    একই সঙ্গে বিশ্লেষকদের মতে এরূপ চুক্তি স্বাক্ষর তিক্ত মার্কিন-রুশ সম্পর্কের উন্নতির পক্ষেও হিতকর হবে ।

   এই প্রসংগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ম্যাথিও বুন বলেছেন , এটি হবে একটি বিতর্কিত চুক্তি । যুক্তরাষ্ট্রে রুশ -বিরোধী দক্ষিণপন্থী ও পারমাণবিক অস্ত্র-বিরোধী বামপন্থীরা এর তীব্রভাবে বিরোধিতা করবে ।