উত্তর কোরিয়ার পররাস্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ৬ জুলাই স্বীকার করেছেন যে , এর আগের দিন উত্তর কোরিয়া ক্ষেপনাস্ত্র উত্ক্ষেপন করেছে । তিনি বলেছেন , এটা উত্তর কোরিয়াবাহিনীর স্বাভাবিক সামরিক প্রশিক্ষণের একটি অংশ , এর উদ্দেশ্য হল উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা শক্তি উন্নত করা ।
মুখপাত্রটি আরও বলেছেন , উত্তর কোরিয়ার সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্তকরণ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অধিষ্ঠানের পরিবর্তন হয়নি । উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র উত্ক্ষেপন ছ'পক্ষীয় বৈঠকের সঙ্গে সম্পর্ক নেই ।
৫ জুলাই সকালে সমস্যাটি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী সভার আয়োজন হয়েছে ।
জাতিসংঘস্থ চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ওয়াং কুয়াংইয়া সভার আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন , উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষামূলক ক্ষেপনাস্ত্র উত্ক্ষেপন উত্তর-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উপর কিছু প্রতিকূল প্রভাব বয়ে এনেছে । নিরাপত্তা পরিষদ কি ধরণের তত্পরতা নেবে তা নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলোর আলাপ-পরামর্শের ফলাফলের উপর নির্ভরশীল । চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাওসিং একই দিন অনুরোধক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান , দক্ষিণ কোরিয়া ও অষ্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে টোলিফোনে কোরীয় উপদ্বীপের সর্ব সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিযে মত বিনিময় করেছেন ।
একই দিন হোয়াইট হাউস বলেছে , উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র উত্ক্ষেপন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এক প্ররোচনা স্বরূপ, কিন্তু এটা যুক্তরাষ্ট্রের ভূখন্ডের উপর হুমকী সৃষ্টি করবে না ।
দক্ষিণ কোরীয় সরকার বলেছে , তারা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যাটির সমাধান করবে ।
|