রত্নদিপ উদ্ধার হয়েছে দেখে এরলাং দেবতা চলে গেলেন । চিনকুয়াং মন্দিরের সকলেই অভ্যর্থনা জানালো উখোংদের । খুব খুশি হলো সবাই ।
চিসাই দেশের রাজাও খুশি হলেন মন্দিরের রত্নদিপ ফিরে পাওয়ার জন্য । তিনি পঞ্চমুখে উখোং-এর প্রশংসা করলেন ।
রত্নদ্বিপটি মন্দিরের বেদিতে রাখা মাত্র উজ্জ্বল হয়ে উঠলো চারদিক । সব সমস্যার সমাধান হলো । আচার্য এবং তার শিষ্যরা আবার রওনা দিলেন পশ্চিম দেশের পথে । ভারতবর্ষে গিয়ে তাঁদেরকে বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহ করতে হবে । যাত্রায় বিরতি দেয়ার উপায় নেই ।
নয়মুন্ড দানব দমনের পর আচার্য তার শিষ্যদের নিয়ে আবার যাত্রা করলেন ভারতবর্ষের দিকে । একদিন কাঁটাগাছে ভর্তি এক পাহাড়ের সামনে এসে তাঁরা থামলেন । কেমন করে এই পর্বত পার হওয়া যায় তা নিয়ে খুবই চিন্তিত হলেন আচার্য ।
পাচিয়ে বললো , আমি এর ব্যবস্থা করছি । সে নিজকে এবং তার নিড়ানিকে বিশাল বড় করলো । তারপর নিড়ানির ঘায়ে কাঁটাআগাছ পরিস্কার করে পথ করলো । সেই পথ দিয়ে এগোতে থাকলো সবাই ।
কিছুক্ষণ চলার পর এক সমতল জায়গায় এলো সকলে । সেখানে দেখা গেলো এক বিরাট প্রাসাদ । সেখান থেকে ঘন্টা ধ্বনি ভেসে আসছে ।
উখোং ভালো করে দেখে বললো , গুরুদেব ওটা একটা মন্দির । ওখান থেকে যে উজ্জ্বল জ্যোতি বের হচ্ছে তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে একটা অশুভ লক্ষণ ।
আচার্য সে কথা শুনলেন না । মন্দিরের সামনে চলে এলেন তিনি । দেখলেন লেখা আছে "ক্ষুদ্র বজ্রধ্বনি মন্দির" । উখোং আচার্যকে ভেতরে যেতে নিষেধ করলো । তিনি তাও শুনলেন না । ঢুকে পড়লেন ভেতরে ।
মন্দিরের ভেতর ঢুকে আচার্য দেখলেন , বেদির দুপাশে সারিবদ্ধ বজ্রপানি , আটজন বোধিসত্ব আর পাঁচশো অর্হতের মুর্তি । তিনি পাচিয়ে আর ভিক্ষু শা মাটিতে মাথা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন । প্রণাম করলো না শুধু উখোং । হঠাত্ পদ্মসন থেকে হুঙ্কার দিয়ে কে যেনো বললো , বানরটা প্রণাম করছে না কেনো ?
উখোং দেখেই বুঝলো পদ্মসনে বসে থাকা তথাগত আসল বুদ্ধ নয় । ভেকধারি এক দানব । উখোংও হুঙ্কার দিয়ে বললো , তুই কোথাকার জানোয়ার ? তথাগত বুদ্ধের রূপ নিয়েছিস কোন সাহসে ?
|