১ জুলাই সকালে দীর্ঘ হুইসেল বাজাতে বাজাতে ছিংহাই প্রদেশের গুলমুড থেকে তিব্বতের লাসা গামী প্রথম যাত্রিবাহী রেলগাড়ি ৬০০ যাত্রী নিয়ে ধীরে ধীরে গুলমুড রেল স্টেশন থেকে রওয়ানা হয় । এটা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে বিশ্বের উচ্চতম রেলপথ--ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ পুরোপুরি চালু হওয়ার নিদর্শন । কয়েক মিনিট পর গুলমুডগামী প্রথম রেলগাড়ি লাসা থেকে রওয়ানা হয় ।
চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও গুলমুড শহরে ছিংহাই-তিব্বত রেলপথের চালু হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত উদযাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং লাসাগামী প্রথম রেলগাড়ির যাত্রাসূচক ফিতা কাটেন । তিনি বলেছেন , রেলপথটির নির্মাণ যেমন চীনের রেলপথ নির্মাণ ইতিহাসে এক মহান ঘটনা তেমনি বিশ্বের রেলপথ নির্মাণ ইতিহাসে এক বিস্ময় ।
তিনি ভাষণে বলেছেন, ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ নির্মাণ করা কয়েক যুগের চীনা লোকদেরস্বপ্ন ও আশাআকাঙক্ষা । এমন একটি রেলপথ নির্মাণ করা যেমন চীনের বহুমুখী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও বিজ্ঞান- প্রযুক্তিগত ক্ষমতার পরীক্ষা তেমনি মানবজাতির উত্কর্ষের নিদর্শনও । এখন সকল নির্মাণকারী ও বিভিন্ন পক্ষের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের পর যুগযুগ ধরে চীনাদের, বিশেষ করে রেলপথের আশেপাশের বিভিন্ন জাতির জনসাধারণের আশাআকাঙ্ক্ষা অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে ।
উদযাপনী অনুষ্ঠানে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ছিংহাই প্রাদেশিক কমিটির সম্পাদক , চাও ল্যচি এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সম্পাদক চাং ছিংলিও ভাষণ দিয়েছেন । তারা বলেছেন , রেলপথটি চালু হওয়া দু প্রদেশেরআর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যসম্পন্ন ।
উল্লেখ্য , ছিংহাই-তিব্বত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৯৫৬ কিলোমিটার , সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর গড়পগতা উচ্চতা ৪০০০ মিটারেরও বেশি ।
|