v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International Wednesday Apr 9th   2025 
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-30 13:57:45    
সিদ্দিকীঃ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সংস্কারে চীনের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ

cri

 সম্প্রতি চীনের বৈদেশিক মৈত্রী সমিতির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ চীন সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও গণ-সংযোগ কেন্দ্রের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী এফ আর সিদ্দিকী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সফরকালে প্রকৌশলী এফ আর সিদ্দিকী চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে একটি সাক্ষাত্কার দেন।

 সাক্ষাত্কারে মিঃ সিদ্দিকী বলেনঃ তাঁর প্রতিনিধি দলের এবারকার চীন সফরের উদ্দেশ্যে চীনের সঙ্গে খাত-ওয়ারি সহায়তা করা। তিনি বাংলাদেশ আর চীনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা নির্ধারণ ইত্যাদি এবারকার চীন সফরের মূল উদ্দেশ্য।

 প্রশ্নঃ ইদানীং লক্ষ্য করা গেছে, আপনি বছরে কয়েকবার চীন সফর করেন। তাই না?

 উঃ আমি বছরে অন্ততঃ ১০ বার চীন সফর করি। চীনের সাংহাই, কোয়াংচৌ আর সেনজেনে বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে আসি।

 প্রশ্নঃ আপনি একসময় চীনা ভাষা শিখেছিলেন। চীনের বহু বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও আছে আপনার। আপনি মৈত্রী সংগঠনও প্রতিষ্ঠা করেছেন। কখনও ভেবেছেন, চীনা ভাষা না শিখলে এখন আপনার জীবন কেমন হতে পারতো?

 উঃ চীন মানে চীনা ভাষা। চীনা ভাষা ছাড়া চীনের সংস্কৃতি , অর্থনীতি বা অন্য যে কোনো কিছু কল্পনা করা অসম্ভব। সে জন্যে চীনা ভাষা শিখে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। চীনা ভাষা এখন বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ মানুষের ভাষা। এবং চীন এখন বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার। জাপান, জার্মানী, আমেরিকা ইত্যাদি দেশের পণ্য চীনা পণ্যের সমকক্ষ হতে পারছে না। তাই চীনা প্রযুক্তি আমাদের শিখিতে হবে। চীনা ভাষা আমাদের দেশেও প্রচুর লোক শিখছে। আমি নিজেও চীনা ভাষা কেন্দ্র খুলেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ চীনা ভাষা শিখতে চায়।

 মিহির বিশ্বাসঃ পরিবেশ রক্ষায় মিলিত প্রয়াস চাই

 প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য মিহির বিশ্বাসও কিছু কথা বলেছেন। তিনি "বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন" এর সদস্য-সচিব এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম-সম্পাদক। তিনি একজন পরিবেশ ও পানি গবেষক।

 প্রশ্নঃ পেইচিং অলিম্পিক্স ২০০৮ উপলক্ষে পেইচিং এর পরিবেশের ওপর খুব গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার কোনো মতামত বা অভিজ্ঞতা আছে কি?

 উঃ পেইচিং অলিম্পিক্স ২০০৮ এর লে-আউট আমাদের দেখানো হয়েছে। সেখানে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যে, যাতে অনেক লোক একসঙ্গে আসার কারণে যেন পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়। আমরা প্ল্যানিঙের মধ্যে পেইচিং এর অবকাঠামো, পরিবহন ব্যবস্থা, বনায়ন, অলিম্পিক্স সম্পন্ন করার জন্যে প্রয়োজনীয় মাঠ ও অন্যান্য অবকাঠামো, বিশ্ব মেট্রোপলিস গঠনের প্রস্তুতি, ত্রি-মাত্রিক প্রেক্ষাগৃহ, ভবিষ্যত্ আবাসনের কল্পচিত্র ইত্যাদি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তবে মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেল যে পেইচিংয়ের অনেক নদী মরে গেছে, আমরা অনেক গাছ-পালা দেখতে পাই নি। আমার মনে হয় নগরায়ন আর অত্যধিক জনসংখ্যার চাপে এমনটি হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি নতুন নতুন গাছ দেখে আমরা উত্সাহিতও হলাম।

 আমাদের ধারণা হয়েছে, পেইচিংয়ের উন্নয়নের সাথে সাথে তারা পরিবেশও উন্নত করবে। তার নমূনা আমরা দেখেছি।

 প্রশ্নঃ বাংলাদেমের পরিবেশ উন্নয়নের অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে?

 উঃ বাংলাদেশ দারিদ্র্য নিরসনের দূরুহ কাজের পাশাপাশি পরিবেশের সুস্থতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। যেমন, সরকার পলিথিন উত্পাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। সিএনজি-চালিত যানবাহন চলাচল বাধ্যতামূলক করেছে। বুড়িগঞ্জা নদীসহ সব নদী রক্ষা করে বৃত্তাকার নৌপথ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এগুলো ভালো দিক।

 সাক্ষাত্কারের শেষ দিকে মিহির বিশ্বাস সকলের উদ্দেশ্যে বলেনঃ একসঙ্গে অনেকযাত্রীবাহী নৌকা মাঝ-সমুদ্রে ডুবে গেলে যেমন সবাই মরে যাবে, তেমনি পরিবেশ রক্ষা না করলে পৃথিবীর সবাই মরে যাবে। তাই সবাই এ গিয়ে আসুন, পরিবেশ রক্ষা করুন।

 ইকতেদার আহমেদঃ সেবাখাতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চাই

 প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য বিচার বিভাগের জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা ইকতেদার আহমেদ চীনের উন্নয়নকে সারা বিশ্বের জন্যে উদাহরণ বলে মনে করেন। তাঁর ধারণা, আগামী ২০/২৫ বছরের মধ্যে চীন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা অর্জন করবে।

 তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার জন্যে চীনের টেক্সটাইল শিল্পকে বাংলাদেশে রি-লোকেট করার প্রস্তাব দেন। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানী করতে পারে। সেবাখাতে দু'দেশের সহযোগিতার বিরাট অবকাশ আছে বলে উল্লেখ করে মিঃ ইকতেদার চিকিত্সা ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China