অপহৃত ইস্রাইলী সৈন্যকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র ব্যক্তিদেরকে বাধ্য করার জন্যে ইস্রাইলী বাহিনী ২৯ জুন গাজা অঞ্চলে তার সামরিক অভিযান আরো সম্প্রসারণ করেছে।
গাজা অঞ্চলের উপর অব্যাহতভাবে গোলা বর্ষণ করা ছাড়াও ইস্রাইলী বাহিনীর সাজোঁয়া গাড়ী গাজার উত্তরাঞ্চলেও ঢুকে পড়েছে। ফিলিস্তিন ২৯ স্বীকার করেছে যে, ইস্রাইলী বাহিনী একইদিন ভোরে জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের শহরে হামাসের ৬৪ জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে, এদের মধ্যে রয়েছেন স্বায়ত্বশাসিত সরকারের একজন উপ প্রধানমন্ত্রী, ৭ জন মন্ত্রী ও বিধান পরিষদের কুড়িজনের বেশী সদস্য। বর্তমানে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একইদিন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংস্থা "গণ প্রতিরোধ কমিটি" ঘোষণা করেছে, এই সংস্থা ইতোমধ্যেই কিছু দিন আগে আটক করা ইহুদী এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।
ইস্রাইল ও ফিলিস্তিন পরিস্থিতি দিন দিন উত্তেজনাময় হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে চীনের পররাষ্টমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিয়াইউ ২৯ জুন বলেছেন, চীন পক্ষ এর জন্য উদ্বিগ্ন। চীন ইস্রাইলের উদ্দেশ্যে সংযম বজায় রাখা এবং সামরিক অভিযান বন্ধ করার তাগিদ দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চীন ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়িসম্ভব জিম্মীকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছে। এর আগে জর্ডান সফরকারী মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা সম্পর্কিত চীনের বিশেষ দূত সুন বিকান বলেছেন, চীন আশা করে যে, ফিলিস্তিনের শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।
২৮ জুন উপসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা কমিটি এক বিবৃতিতে ইস্রাইলের সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট চার পক্ষের উদ্দেশ্যে জরুরীভাবে ব্যবস্থা নিয়ে ইস্রাইলের অভিযান বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে। ই ইউ, জার্মানী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশ আলাদা আলাদাভাবে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে যত তাড়াতাড়িসম্ভব ইস্রাইলী সৈন্যকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছে। তারা আশা করে, সংঘর্ষলিপ্ত বিভিন্ন পক্ষ সংযম বজায় রাখতে পারবে, যাতে দুঃখজনক পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
|