v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-29 11:46:06    
চেক

cri
    ভাসলাভ ক্লৌস ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চেকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একই সালের মার্চ তিনি শপথ গ্রহণ করেন । তাঁর কার্য-মেয়াদ পাঁচ বছর। ২০০৫ সালের এপ্রিল জিরি পারৌবেক চেকের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

    ২০০৪ সালের মে পর্যন্ত চেকের লোক সংখ্যা ১০২.১ লক্ষ। মোট লোক সংখ্যার মধ্যে ৮১.৩ শতাংশই চেক জাতি । চেকের রাষ্ট্রীয় ভাষা চেক ভাষা। প্রধান ধর্ম রোমান ক্যাথলিক ।

    চেকের রাজধানী প্রাগ

    রাজনীতিঃ ১৯৯২ সালের ১৬ ডিসেম্বর চেকের জাতীয় সংসদে প্রথম সংবিধান গৃহীত হয়। সংবিধান অনুযায়ী চেক প্রজাতন্ত্র একটি সার্বভৌম,ঐক্যবদ্ধ, গণতান্ত্রিক আইনগত রাষ্ট্র। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ে সংসদ গঠিত হয়। চেকের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। প্রেসিডেন্ট সংসদের দুটি পরিষদের যৌথ সম্মেলনে নির্বাচিত হন। সংসদসদস্যদের ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেলেই কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাছাড়া, প্রেসিডেন্টের কার্য-মেয়াদ পাঁচ বছর এবং খুব বেশী হলেও শুধু একটানা দুই বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। চেকের সরকার দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ক্ষমতা সংস্থা। সরকার প্রতিনিধি পরিষদের প্রতি দায়ী। সরকারের প্রতি প্রতিনিধি পরিষদের আস্থা বা অনাস্থা প্রকাশ করার ক্ষমতা আছে। সংবিধান আদালত ১৫জন বিচারক নিয়ে গঠিত । বিচারকের কার্য-মেয়াদ দশ বছর। চেকের প্রেসিডেন্টএই ১৫জন বিচারককে নিয়োগ করেন এবং এ ব্যাপারে সিনেটের সম্পতি পাওয়া দরকার।

    চেক এবং স্লোভাকিয়া ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারী পৃথকভাবে স্বাধীন সাবেক ফেডেরাল রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও অস্ত্রশস্ত্র বিভক্ত করা হয়। সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রের তিন ভাগের দুই ভাগ পায় চেক প্রজাতন্ত্র। স্লোভাকিয়া পায় বাকী এক ভাগ। প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট দেশের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর চেকের প্রতিনিধি পরিষদ সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক ভর্তি হওয়ার ব্যাবস্থা বাতিল করা সংক্রান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০৫ সালের প্রথম দিকে চেকের সেনাবাহিনী সার্বিক পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়। ২০০৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক ভর্তি হওয়ার ব্যাবস্থার অবসান ঘটে। ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা হবার পর চেক "ইউরোপে ফিরে আসার" নীতি অব্যাহতভাবে অনুসরণ করতে থাকে। চেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ইত্যাদি উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়াইত্যাদি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপরও চেক গুরুত্ব দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে চেক এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়।

    ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারী, চীন চেকের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০৪ সালের এপ্রিল চেকের প্রেসিডেন্ট চীন রাষ্ট্রীয় সফর করেন। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও আনুষ্ঠানিকভাবে চেক সফর করেন।