v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-28 16:07:14    
২৮ জুন

cri

    ১৮৪০ সালের ২৮ জুন আফিম যুদ্ধ বাধে

    আফিম যুদ্ধ ছিল ১৮৪০ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত চীনের ওপর ব্রিটেনের পরিচালিত এক আগ্রাসী যুদ্ধ। এই যুদ্ধ এমন এক নিদর্শন যে, চীনের ইতিহাস এই যুদ্ধের সময় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আধুনিক যুগে প্রবেশ করে এবং চীন এই সময় থেকে একটি আধা-ঔপনিবেশিক ও আধা-সামন্ততান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়।

    অষ্টাদশ শতাব্দির শেষ দিক থেকে ব্রিটেন চীনের কাছে প্রচুর আফিম রপ্তানি শুরু করে। অবিরাম ধারায় আমদানী করা আফিম শুধু যে চীনা জনগণের মনস্তাত্ত্বিক আর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তা নয়, উপরন্তু চীনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ রূপা নিয়ে যাওয়া হয় ,ফলে চীনের সরকার ও চীনা জনগণ গরীব হয়ে পড়ে । আফিমের মারাত্মক ক্ষতি উপলব্ধি করে চীনের বিচক্ষণ ব্যক্তিগণ এবং ব্যাপক জনসাধারণ আফিম প্রতিরোধের ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেন।  অপরাধমূলক আফিম ব্যবসা রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ শাসকরা প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আফিম যুদ্ধ চালায়।

    ১৮৪০ সালে 'বাণিজ্য বন্দর রক্ষা'র অজুহাতে ব্রিটিশ সরকার চীনের ওপর হামলা চালাতে সৈন্য পাঠায়। চীনের দুর্বল ছিং রাজবংশের সরকার হামলাকারীদের কাছে নতি স্বীকার করে এবং ১৮৪২ সালের আগস্ট মাসে চীনদেশকে নিজের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার 'নানকিং চুক্তি' স্বাক্ষর করে । তার পর থেকে সাম্রাজ্যবাদীরা চীনের ওপর তাদের সামরিক , রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, নিয়ন্ত্রণ ও লুণ্ঠন আরও জোরদার করে। ফলে হাজার হাজার বছর স্থায়ী চীনের সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ভেঙ্গে গিয়ে ক্রমেই আধা-ঔপনিবেশিক এবং আধা-সামন্ততান্ত্রিক এক সমাজে রূপান্তরিত হয়।

   

১৯৯২ সালের ২৮ জুন চীনা বিজ্ঞানী ছিয়েন সানছিয়াংয়ের মৃত্যু

    ১৯৯২ সালের ২৮ জুন চীনের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী চীনের পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা , চীনের বিজ্ঞান একাডেমির একাডেমিশিয়ান, চীনের বিজ্ঞান সমিতির সাম্মানিক চেয়ারম্যান ছিয়েন সানছিয়াং রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

    ১৯১৩ সালের ১৬ অক্টোবর চীনের চেচিয়াং প্রদেশের শাওসিং শহরে ছিয়েন সানছিয়াংয়ের জন্ম হয়। ১৯৩৬ সালে তিনি ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক হন । ১৯৩৭ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ফ্রান্সে যান। তিনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী মিস্টার এবং মিসেস কুরির সাহায্যে পরমাণু বিজ্ঞান গবেষণা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেন।

    ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালে ছিয়েন সানছিয়াং এবং তাঁর স্ত্রী দেশে ফিরে আসেন। তিনি মাতৃভূমিকে ভালবাসেন এবং সারা জীবন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্রতে আত্মনিয়োগ করেন। বিশেষ করে দেশের পরমাণু বিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজকর্ম প্রতিষ্ঠা এবং পারমাণবিক বোমা গবেষণা, চীনের বিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন, প্রতিভা প্রশিক্ষণ ও আমদানী, আন্তর্জাতিক বিদ্যাগত আদান প্রদানে বিশিষ্ট অবদান রাখেন।

    ১৯৯৩ সালের ২৮ জুন ব্যাংক অব চায়না ইউরোপীয় বাজারে ফিরে আসে

    ১৯৯৩ সালের ২৮ জুন ব্যাংক অব চায়নার ডেপুটি গভর্নর ইয়াং হুইছিউ লণ্ডনে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং গোষ্ঠীর সঙ্গে লণ্ডনের বাজারে ব্যাংক অব চায়নার ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ইউরোপীয় বণ্ড ইস্যু করা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অর্থাত্ ১৯৮৮ সালের পর থেকে ব্যাংক অব চায়না প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাজারে ফিরে এলো।