v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-26 15:04:41    
বৃহদান্ত ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবান খাদ্য খাওয়া উচিত

cri
    বৃহদান্ত ক্যান্সার বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলনের অবস্থা ভিন্ন। সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকায় এই রোগ কম দেখা দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ২০ বছরে সারা বিশ্ব জুড়ে বৃহদান্ত ক্যান্সারের প্রকোপের মাত্রা গুরুতর হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী, বৃহদান্ত ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কারণ জীবনযাপনের মান উন্নত হওয়া এবং খাদ্যের গঠন ও অভ্যাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাতে বলা যায়, দৈনন্দিনের খাওয়ার অভ্যাসের জন্যেও ক্যান্সার হতে পারে।

    পেইচিংয়ের ইয়ে সিয়েন ছুয়েনের বয়স ৬২ বছর। তিনি বৃহদান্ত ক্যান্সার রোগে শেষ পর্বে পৌঁছেছেন। তিনি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ স্মরণ করে বলেছেন:

    "আমি শাকসব্জি খুব কম খেতাম। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত চার বছরে আমি হংকংয়ে চাকরি করতাম। তখন ম্যাকডোনাল্ড, কে.এফ.সি খুব খেতাম। হেম্বার্গ, ফ্রান্চ ফ্রাইড বেশি খেয়েছি এবং আমার মাখন ও চিস খাওয়ার অভ্যাস হয়েছে।"

    আপনি হয় তো বলবেন যে, আমাদের অনেকের অভ্যাস মিস্টার ইয়ের মতো। আমরা বিশুদ্ধ খাদ্য পছন্দ করি, যেমন ফাস্ট ফুড জাতির খাদ্য। কিন্তু আপনাকে জানতে হবে যে, গবেষণা অনুযায়ী, এই জাতীয় খাদ্যের সঙ্গে বৃহদান্ত ক্যান্সারের সম্পর্ক আছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বৃহদান্ত ক্যান্সার-উপদ্রুত এলাকায়, যেমন উত্তর আমেরিয়া ও ইউরোপীয় দেশে বেশীর ভাগ লোক বিশুদ্ধ খাবার খান।

    বিশুদ্ধ খাবারে সাধারণত চর্বি বেশি এবং ফাইবার কম। বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, হাই-চর্বি এবং লও-ফাইবার হলো বৃহদান্ত ক্যান্সার হওয়ার প্রধান কারণ। পেইচিংয়ের সি ইয়েন হাস্পাতালের ডাক্তার ইয়াং ইয়ু ফেই বলেছেন:

    "চর্বিতে কিছু সাটুরেইটিড ফ্যাট এইসিডের(এস.এফ.এই) মধ্যে কিছু ক্যান্সারহেতু পদার্থ আছে। তাছাড়া, বেশি চর্বি খেলে পিত্ত লবনের নিঃসরণ বেশি হবে। আর তা বৃহদান্তের জীবাণুর প্রক্রিয়ায় কিছু ক্যান্সারহেতু পতার্থ উত্পাদন করবে।"

    হাই ফ্যাট খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মাংস। গবেষণা অনুযায়ী, যে লোক প্রতিদিন গরুর মাংস বা পোর্ক হাফ কেজি'রও বেশী খান, তাদের বৃহদান্ত ক্যান্সার হওয়ার হার সাধারণ মানুষের চেয়ে ৩০ বা ৪০ শতাংশ বেশী। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন মাংস খাওয়ার পরিমান ৩০০গ্রামের নিচে সীমিত রাখা ভালো। অথবা বিফ ও পোর্কের পরিবর্তনে মুরগী বা মাছ খাওয়া ভালো, তাতে বৃহদান্ত ক্যান্সার হওয়ার হার অনেক কমবে।

    বিশুদ্ধ খাবারে ফাইবার খুব কম, কারণ প্রক্রিয়াকরণকলে ফাইবারের ক্ষতি হয়। কিন্তু ফাইবার হলো ক্যান্সার সেল প্রতিরোধ করার এক রকম কার্যকর পদার্থ। ডাক্তার ইয়াং বলেছেন:

    "হাই ফাইবার খাবারে সাধারণত ভিটামিন বেশি। আর ভিটামিন হলো ক্যান্সার প্রতিরোধের একরকম কার্যাকর পদার্থ। সঙ্গে সঙ্গে ফাইবার বৃহদান্তের তত্পরতা ত্বারান্বিত করতে পারে, তাতে ক্যান্সারহেতু পদার্থ বৃহদান্তে বেশি ক্ষণ থাকতে পারে না।"

    তাহলে কিকি খাবারে ফাইবার বেশি? সাধারণত অবিশুদ্ধ খাবার, যেমন ভুট্টা, জওয়ার, যব, গাজর, দাল, আলু এবং ফলমূল ও শাকসব্জী। কিন্তু লেটুস, বাঁধাকপি ও শস্যা ইত্যাদি কাঁচা খাওয়া যায় এমন খাবারে ফাইবার পরিমান কম। বিভিন্ন রকমের হাই-ফাইবার খাবারের মধ্যে শুধু এক রকম খাওয়াও ভালো নয়, সব কিছু একটু একটু খেলে ভালো।

    তাছাড়া, ভাজা খাবার খাওয়াও ভালো নয়। ডাক্তার উ ইয়ু বলেছেন:

    "ভাজা খাবার অনেকেই পছন্দ করে, সুসাদু তো। কিন্তু তা বেশি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তেলের তাপমাত্রা ১৬০ ডিগ্রির বেশি হলে তেল থেকে কিছু ক্যান্সারহেতু পদার্থ নিঃসৃত হবে।"

    ভাজা খাবার ছাড়া, কাবাব, আচার ইত্যাদি খাবার এবং টিনের খাবার ইত্যাদিও বেশি খাওয়া ভালো নয়।