** তেং সিয়াওপিং: হংকংয়ে ৫০ বছরের জন্যে "এক দেশ দুই সমাজ ব্যবস্থার নীতির " পরিবর্তন হবে না
১৯৮৪ সালের ২২ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত চীনের প্রাক্তন নেতা তেং সিয়াওপিং আলাদা আলাদাভাবে হংকং শিল্প ও বাণিজ্য মহলের প্রতিনিধি দল আর হংকংয়ের বিখ্যাত ব্যক্তি চোং শিইউয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন । কর্থাবাতায় তিনি বলেন, হংকং সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে চীন সরকারের মতাধিষ্ঠান ও নীতি অটল থাকবে । আমরা বহুবার বলেবহুবার বলেছি, ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে চীন সরকারের সার্বভৌমত্ব পুনপ্রতিষ্ঠার হংকংয়ে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে না, আইন মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকবে, হংকং অবাধ বন্দরের মর্যাদা আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থ কেন্দ্রের মর্যাদারও পরিবর্তন হবে না । হংকং অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাজায় রাখতে পারে এবং বিকশিত করতে পারে ।তাছাড়া, চীন সরকার হংকংয়ে বাহিনী পাঠানো ছাড়া, কোনো কর্মচারি পাঠাবে না । দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষা করার জন্যে হংকংয়ে আমাদের বাহিনী মোতায়েন থাকবে । তারা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না । হংকংয়ে ৫০ বছরের জন্যে আমাদের নীতির পরিবর্তন হবে না । তিনি আরো বলেন, আমাদের নীতি হল "এক দেশ দুই সমাজ ব্যবস্থা"।তার বিস্তারিত বিষয় হল, চীনের মূলভূভাগে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকবে এবং হংকং,তাইওয়ানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা চালু থাকবে ।
**১৯৭৯ সালের ২২ জুন চীন-আয়ারল্যান্ড কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা
আয়ারল্যান্ড ইউরোপের পশ্চিমাংশের আয়ারল্যান্ড দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। তার উত্তর-পূর্ব অংশ ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সংলগ্ন। এর আয়তন ৬৮৮৯০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৪০ লক্ষ ৪০ হাজার (২০০৪ সাল)। অধিকাংশ অধিবাসী হচ্ছেন আয়ারল্যান্ডবাসী। আয়ারল্যান্ড ভাষা এবং ইংরেজী ভাষা হচ্ছে তার সরকারী ভাষা। ৯৪ শতাংশ অধিবাসী রোম ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী। অন্যরা প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম প্রভৃতি ধর্মে বিশ্বাসী। তাঁরা সবাই খৃষ্টান। রাজধানী ডাবলিন। আয়ারল্যান্ড ঐতিহ্যিক কৃষি ও পশুপালন প্রধান দেশ , তার তৃণভূমির আয়তন মোট কৃষি জমির ৭৬ শতাংশ। গরুর মাংস, জ্যন্তগরু এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের রপ্তানী এ দেশ খাদ্যশস্যে আত্মনির্ভরশীল নয়। আয়ারল্যান্ডের প্রধান রপ্তানী দ্রব্যের মধ্যেআছে কৃষি ও গৃহপালিত পশুজাত দ্রব্য, রাসায়নিক দ্রব্য, ঔষধ এবং ইলেকট্রোনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। আমদানি পণ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে কাঁচামাল, আধা-তৈরী দ্রব্য এবং শক্তি সম্পদ। ১২ শতাব্দীতে আয়ারল্যান্ড সামন্ততান্ত্রিক সমাজে প্রবেশ করে। ১১৬৯ সালে ব্রিটেন আয়ারল্যান্ড অনুপ্রবেশ করে। ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ রাজা আয়ারল্যান্ডের রাজা হন। ১৮০১ সালে ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডকে গ্রাস করে। ১৯১৬ সালে ডাবলিনে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে "ঈস্টার অভ্যুত্থান" সংঘটিত হয়। ১৯২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রিটেন বাধ্য হয়ে আয়ারল্যান্ডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে । এই চুক্তি অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের ছয়টি জেলা ব্রিটেনের অধীনে বজায় রাখা ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের ২৬টি জেলা "স্বাধীন রাজ্য" প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্বশাসনের অধিকার ভোগ করে। ১৯৩৭ সালে আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৪৮ সালের ২১ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ড পুরোপুরি বৃটিশ কমনওয়েলথ থেকে মক্ত হয় । ১৯৪৯ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা স্বীকার করে । কিন্তু তার উত্তরাঞ্চলের ছয়টি জেলা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। ১৯৭৯ সালের ২২ জুন আয়ারল্যান্ড চীনের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
|