ঘানা প্রজাতন্ত্র আফ্রিকার পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত । ঘানার পশ্চিমে কোট দিভা এবং উত্তরে হল বুর্কিনাফাসো , পূর্বে তোগো এবং দক্ষিণে আটলান্টিক । এ দেশে কোকোর উত্পাদন অনেক বেশি বলে লোকেরা ঘানাকে "কোকোর দেশ" বলে । এই দেশের খনিতে সোনার পরিমানও বেশি , তাই তাকে "সোনার সমুদ্রতীরও" বলা হয় ।
ঘানার আয়তন ২.৩৮৫ লাখ বর্গকিলোমিটার । লোকসংখ্যা ২১ কোটি । প্রধান ধর্মগুলো হল খৃষ্টান , ইসলাম ও আদি ধর্ম । ইংরেজি হল সরকারী ভাষা ।
১৯৫৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৬০ সালের ১১ জুলাই ঘানা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । ঘানার প্রাকৃতিক সম্পদ বেশি । সোনা , হীরা , বক্সাইট ও ম্যাঙ্গানিজের মজুদ হিসেবে বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে । তা ছাড়া এই দেশে চুনা পাথর , লোহা , এ্যান্ডালুসাইট ও কোটসাইট ইত্যাদি খনিজ দ্রব্যও পাওয়া যায় । ঘানায় সাড়া দেশের আয়তনের ৩৪ শতাংশ পন । সোনা , কোকো ও পন এই তিন রকমের ঐতিহ্যিক রপ্তানি দ্রব্য হল ঘানার অর্থনীতির মূল উত্স ।
ঘানা বিশ্বের বৃহত্তম কোকো উত্পাদন ও রপ্তানি দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম । এই দেশের কোকোর উত্পাদন বিশ্বের প্রায় ১৩ শতংশ ।
১৯৮৩ সালে অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের পর ঘানার অর্থনীতি দ্রুতভাবে উন্নত হয়েছে । ১৯৯৪ সাল থেকে জাতিসংঘ ঘানাকে আর স্বল্বোন্নত দেশ বলে না ।
১৯৬০ সালের ৫ জুলাই , চীন ও ঘানার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপিত হয়েছে । ১৯৬০ সালের পরে দু'দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অনেক বার পারস্পরিক সফর করেছেন । রাজনীতি , অর্থনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক অব্যাহতভাবে আরো উন্নত হচ্ছে । চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ২০০৫ সালে দু'দেশের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান ৭৬.৮৬ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে , গত বছরের তুলনায় যা ৩০.১ শতাংশ বেশি ।
|