v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-21 10:26:36    
২১ জুন

cri
বেনজির ভূট্টোর জন্ম

১৯৬৩ সালের ২১ জুন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টোর জন্ম । তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেণ্ট জুলফিকার আলি ভূট্টোর জ্যেষ্ঠা মেয়ে। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেনজির ভূট্টো পাকিস্তানের পিপলস পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যা নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের শেষ দিকে তিনি পাকিস্তানের পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেনজির ভূট্টো চিকিত্সার জন্য বিদেশে যান । ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানে ফিরে তিনি জিয়াউল হকের সরকারের বিরুদ্ধে তত্পরতা চালাতে পিপলস পার্টি পরিচালনা করেন । ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে বেনজির ভুট্টোর নেতৃত্বে পিপলস পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জয় লাভ করে। ডিসেম্বর মাসে তিনি পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেণ্ট গোলাম ইসহাক খান " ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বজনপ্রীতির" অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে পদচ্যূত করেন। তার পর ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচনের পর বেনজির ভূট্টো আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ডিসেম্বর মাসে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নভেম্বর মাসে " গুরুতর দুর্নীতির" অভিযোগে প্রেসিডেণ্ট ফারুক লেঘারি প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে পদচ্যূত করেন। প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকার সময়ে বেনাজির ভুট্টো অনেক বার চীন সফর করেন।

১৯৯০ সালের ২১ জুন ইরানে প্রবল ভূমিকম্পে দশ হাজার লোক নিহত

১৯৯০ সালের ২১ জুন ভোররাতে ইরানের উত্তরপশ্চিম অঞ্চলে রিক্টার স্কেলে ৭.৩ মাত্রার প্রবল ভূমিকম্প ঘটে। প্রধান ভুমিকম্প সংঘটিত হবার পরও আবার প্রকম্পন এবং ভূমিধস প্রভৃতি আনুষঙ্গিক দুর্যোগ ঘটে । তাতে হতাহতদের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। 'তেহরান টাইমস' পত্রিকার খবর অনুযায়ী , অন্তত ৫০ হাজার লোক নিহত এবং প্রায় দুই লক্ষ লোক আহত হয়েছেন। তা'ছাড়া পাঁচ লক্ষ লোক বাড়ি হারিয়েছেন।

১৯৯১ সালের ২১ জুন জার্মানির প্রতিনিধি পরিষদে ভোট নেয়ার পর জার্মানির রাজধানী বন থেকে বার্লিনে স্থানান্তরিত করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

১৯৯২ সালের ২১ জুন চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান লি সিয়েননিয়েনের মৃত্যু

লি সিয়েননিয়েন ছিলেন চীনের সর্বহারাশ্রেণীর মহান বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ এবং সমরবিদ। ৬০ বছরেরও বেশি দীর্ঘ সময়ে তিনি নানা বিপ্লবী কাজকর্মে লিপ্ত হন। তিনি মৃত্যু ও কষ্ট উপেক্ষা করে চীনা জনগণের মুক্তিব্রত, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও গঠনকাজে অবিনশ্বর অবদান রাখেন এবং দেশের সব ক'টি জাতির জনগণের আন্তরিক ভালবাসা জয় করেন।

লি সিয়েননিয়েনের জন্ম চীনের হুপেই প্রদেশের হুয়াংআন জেলার এক গরীব কৃষক পরিবারে। ছোটবেলায় তাঁর মা-বাবা মারা যান । ১৯২৭ সালে লি সিয়েননিয়েন চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন এবং একই বছরে "হুয়াংমা" অভ্যুত্থানে অংশ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ বিপ্লবী সংগ্রামে তিনি ক্রমেই এক বিখ্যাত সমরবিদে সুপরিণত হন। নয়াচীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি পর্যায়ক্রমে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী , পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, পলিটব্যুরোর স্ট্যাণ্ডিং কমিটার সদস্য, রাষ্ট্রপতি, চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হন। চীনের জাতীয় অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন । দেশ ও জাতির বিপদের সময়ে তিনি একজন রাজনীতিবিদের দূরদর্শিতা , বিচক্ষণতা ও সাহসের পরিচয় দেন । ১৯৯২ সালের ২১ জুন তিনি পেইচিংয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান।