ড্রাগন রাজার জামাই নয়মুন্ড দানব উখোং-এর কথা শুনে হেসেই উড়িয়ে দিলো । সে উঠে এলো সরোবরের উপরে । উখোং রত্নদিপ চাইলো তার কাছে । কথাটা বলা মাত্রই বেধে গেলো যুদ্ধ । সে কি প্রচন্ড যুদ্ধ । পাঁচিয়ে এসে উখোং-এর পক্ষ নিলো । বর্শা ডান্ডা আর নিড়ানির ঠোকাঠুকিতে কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগলো মাটি ।
হঠাত্ দানব নয়মুন্ড কাঁধে নিয়ে দেখা দিলো নিজের রুপে । উখোং মারলো তার পিঠে এক ঘা । দানব সাঁ করে পাচিয়েকে তার নিড়ানি সহ কামড়ে ধরে নিয়ে গেলো সরোবরের তলায় । সেখানে তাকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা হলো ।
উখোং তখন একটি কাঁকড়ার রূপ নিয়ে ড্রাগন প্রাসাদে এলো । গেলো সরোবরের তলায় । এদিক ওদিক ঘুরে কিছুক্ষণের মধ্যেই সে পাচিয়েকে দেখতে পেলো এবং মন্ত্রবলে মুক্ত করলো তাকে । উখোং অদৃশ্য হয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে পাচিয়ের নিড়ানিটাও নিয়ে এলো সঙ্গে করে ।
হঠাত্ খুদে দানবেরা উখোংকে দেখে চেঁচামেচি করতে লাগলো খুব । তারা বলতে লাগলো এক লম্বা মুখওয়ালা ভিক্ষু এসেছে ড্রাগন রাজার প্রাসাদ আক্রমণ করতে । একথা শুনে রাজা আর নয়মুন্ড জামাই প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে গেলো ভয়ে ।
একটু পরেই নয়মুন্ডদানব আবার ফিরে এসে পাচিয়ের সঙ্গে শুরু করলো লড়াই । দানবের গুষ্টির সকলেই যুদ্ধ করতে এগিয়ে এলো । একটু পরে তাদের চেলা চামুন্ডারাও যুদ্ধ করতে এগিয়ে এলো । পানির ভেতরে সে কি ভিষণ লড়াই ।
যুদ্ধ করতে করতে তারা সরোবরের উপর ভেসে উঠলো । অমনি সুন উখোং ড্রাগন রাজার মাথায় দিলো ডান্ডার প্রচন্ড এক ঘা । দানবের মাথা ফেটে একেবারে চৌচির হয়ে গেলো । ভয়ে অন্য সব দানব সরোবরের তলায় পালিয়ে গেলো আবার । যাওয়ার সময় তারা ড্রাগন রাজার মৃতদেহটাও নিয়ে গেলো ।
এমন সময় আকাশে এরলাং দেবতাকে তার ছয়টি শিকারি কুকুরসহ দেখা গেলো । পাচিয়ে এক ডিগবাজি খেয়ে এরলাং দেবতার কাছে গিয়ে তাঁর সাহায্য চাইলো । দেবতা পাহাড়ের ধারে নামলেন এসে । ড্রাগন রাজা এবং নয়মুন্ড দানবের কথা , রত্নদ্বিপ চুরির কথা সবই শুনলেন । তাদের সাহায্য করতে চাইলেন দেবতা । বললেন , যে করেই হোক নয়মুন্ড দানবকে সরোবরের উপরে আনতে হবে ।
|